ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ক্রিয়াশীল অন্তত আটটি ছাত্র সংগঠন তাদের কার্যালয় হিসেবে মধুর ক্যান্টিনকে নিজেদের কার্যালয় বলে দাবি করে। তাদের এমন কর্মকান্ড আইনগতভাবে কতটা বৈধ ও গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। নতুন বাংলাদেশে সংগঠনগুলোর এমন দাবিতে ক্ষুব্ধ রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীরা। 

সম্প্রতি সংগঠনগুলোর দেওয়া বিভিন্ন বিবৃতি ও নতুন কমিটির ঘোষণাপত্র অনুসন্ধান করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

মধুর ক্যান্টিনকে নিজেদের কার্যালয় হিসেবে দাবি করা সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট’। 

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে ৩ মাদরাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজ, উ‌দ্বিগ্ন প‌রিবার

শাবিপ্রবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৪ দিনের রিমান্ডে ২ যুবক

গত ২০ জুন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বাংলা কলেজ সংসদের আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণাপত্রে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে মধুর ক্যান্টিনকে দাবি করা হয়েছে।

গত ১০ জুন ঢাবি বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ১৮ জুন ঢাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী), ১১ জুন ঢাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ), ৫ মার্চ বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, ২১ মে ঢাবি ছাত্র ফেডারেশন, ৬ মে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও ১ জুন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের দেওয়া বিবৃতিতে কার্যালয় বা ঠিকানা হিসেবে মধুর ক্যান্টিন দাবি করা হয়েছে। 

বামপন্থী ছাত্র সংগঠন গুলোর জোট গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটে ‘বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ’ অন্তর্ভুক্ত।

২০২২ সালের ২৬ মে ‘আট ছাত্র সংগঠন’ এর ব্যানারে দেওয়া এক বিবৃতিতেও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের কার্যালয় হিসেবে মধুর ক্যান্টিনকে দাবি করেছে। ওই আট ছাত্র সংগঠনের ভিতরে ছাত্র ইউনিয়নও অন্তর্ভুক্ত ছিল। 

২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর ‘প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ’ ব্যানারে বামপন্থী নয়টি ছাত্র সংগঠনের দেওয়া বিবৃতিতেও কার্যালয় হিসেবে মধুর ক্যান্টিন দাবি করা হয়েছে। 

ঢাবির ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ বলেন, “আমরা কোন রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যালয় বলতে বুঝি, যেখানে ওই সংগঠনের দাপ্তরিক কার্যাবলী সম্পাদিত হয়ে থাকে। মধুর ক্যান্টিন হলো সব শিক্ষার্থীদের জন্য চা-কফির সঙ্গে আলাপচারিতা ও বসে সময় কাটানোর জায়গা। এটা রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সব শিক্ষার্থীদের জন্যই সমান অধিকারের জায়গা। এটাকে কোনো ছাত্র সংগঠন তাদের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ঘোষণা করে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্যপারে নির্দেশনা কী তা অস্পষ্ট থেকে যায়।”

তিনি বলেন, “আদৌ মধুর ক্যান্টিনকে কি বিশ্ববিদ্যালয় কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে? উত্তর হবে ‘না’। তাহলে মধুর ক্যান্টিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত কোনো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠিত কার্যকলাপের জায়গা নয়।”

তিনি আরো বলেন, “যদিও ঢাবির ছাত্র সংগঠনগুলো অঘোষিতভাবেই দীর্ঘকাল থেকেই মধুর ক্যান্টিনে তাদের রাজনৈতিক আলাপচারিতা, সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা করে থাকে। তার মানে এই নয় যে, কোনো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন তাদের প্রধান কার্যালয় হিসেবে মধুর ক্যান্টিনকে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই একাধিক রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন মধুর ক্যান্টিনকে তাদের রাজনৈতিক প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এটা সুস্পষ্টভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতি বা নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল।”

ঢাবির সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক প্রান্ত মাহমুদ বলেন, “ঢাবির মধুর ক্যান্টিন শুধু বিভিন্ন দল, মত ও পথের রাজনৈতিক আড্ডা হিসেবে পরিচিত ছিল—এই ধারণাটি একপাক্ষিক ও অসম্পূর্ণ। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, এই ক্যান্টিন ছিল তরুণ রাজনৈতিক কর্মীদের পাশাপাশি, নবীন কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের চিন্তা বিনিময়ের প্রাঙ্গণ। এখানে শিল্প, সাহিত্য, নাটক, সিনেমা কিংবা সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে বহু আলাপ-আলোচনা হয়েছে, মতের অমিল হলেও চিন্তার বহুত্ব ছিল একটানা।”

তিনি বলেন, “দুঃখজনকভাবে, আজ মধুর ক্যান্টিনে সেই সাংস্কৃতিক-সাহিত্যিক প্রাণ নেই বললেই চলে। এখন কিছু ব্যক্তি মধুর কান্টিনকে শুধুই রাজনৈতিক সংগঠনের দাপ্তরিক কার্যলয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। আমার মতে, এটা মধুর ক্যান্টিনের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে সংকুচিত করে ফেলছে। আমরা চাই, এই প্রজন্ম রাজনৈতিক ফোবিয়াকে অতিক্রম করে এক বৈচিত্র্যপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক চিন্তার চর্চা হোক। মধুর ক্যান্টিন হোক মুক্ত আলোচনার ক্ষেত্র, যেখানে রাজনীতি সঙ্গে থাকবে সাহিত্য, শিল্প, সমসাময়িক চিন্তার সমান জায়গা।”

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, “ছাত্র রাজনীতির সূতিকাগার হিসেবে মধুর ক্যান্টিনকে অফিসের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করলে আপত্তি নেই আমাদের। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মধুর ক্যান্টিন সংস্কার করে সব ছাত্র সংগঠনের জন্য আলাদা আলাদা স্পেস তৈরি করে দিলে গণতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির চর্চা ও বিকাশ হবে।”

জানতে চাইলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, “এটা তো অলংকারিক কার্যালয় হিসেবে বিবেচিত হয়। যে কোনো সংবাদ সম্মেলন থেকে শুরু করে আলোচনা, মতবিনিময়ের ইতিহাস মধুর ক্যান্টিনে। সেই জায়গা থেকে আমরাও এটা করেছি আর কী। এটা একটা অলংকারিক কার্যালয় আমরা চিন্তা করতেই পারি। আমরা মনে করছি এটা একটি ঐতিহাসিক জায়গা, সেই জায়গা থেকে আমরা এটি নির্ধারণ করেছি।”

ঢাবি ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক আরমানুল হক বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ঠিকানাটা আমরা সব সংগঠনই এভাবে লিখে আসছি। কারণ সবাই মধুর ক্যান্টিনে থাকে, আড্ডা দেয়। এটা অফিস না, এটা আগে থেকেই করে আসছে.

আর কি।”

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) আহ্বায়ক মুক্তা বাড়ৈ বলেন, “ভিন্ন মত থাকা সত্ত্বেও মধুর ক্যান্টিনের টেবিলগুলো সেখানে কিন্তু তারা বসে। এটা কারো কার্যালয় না। প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা কার্যালয় থাকে। এটা (মধুর ক্যান্টিন) কারো সাংগঠনিক কার্যালয় বলে আমরা জানি না। এমন যদি কেউ দাবি করে, সেটা আমরা ঠিকও মনে করি না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার মিসেস ফাতেমা বিনতে মুস্তাফা বলেন, “এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এখন পর্যন্ত এ বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করিনি। মধুর ক্যান্টিনের বিষয় নিয়ে কিছুদিন পরে কাজ শুরু করব।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “এই স্থাপনাগুলো দেখভাল করে আমাদের এস্টেট অফিস। আমি এস্টেট অফিসের সঙ্গে কথা বলব, তারা মধুর ক্যান্টিনের সঙ্গে কথা বলুক। তারপরে আমি এটাতে হস্তক্ষেপ করব। কারণ আমি চাই, যার যেটা দায়িত্ব সে সেটা করুক।”

ঢাকা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণত ন ত র ক ছ ত র ছ ত র স গঠন র র জন ত ক স র আহ ব য ক স গঠনগ ল র র জন ত ব মপন থ দ বল ন

এছাড়াও পড়ুন:

ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ঢাবির ৭৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষার্থীদের তিন বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩) এবং শিক্ষকদের পাঁচ বছরের (২০২১, ২০২২, ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫) ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।

অনুষদের ৫টি বিভাগের মোট ৪৪ জন শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়া দেশে-বিদেশে প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ এবং স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের জন্য ৩০ জন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে শুরু হচ্ছে ইকবাল ও নজরুলকে নিয়ে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স

ঢাবি প্রক্টরকে হুমকি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়।

ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সোনালী ব্যাগের উদ্ভাবক ও বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের সাবেক বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমেদ খান ডিনস অ্যাওয়ার্ড স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করেন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির।

এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রাধ্যক্ষ, অনুষদের শিক্ষক ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ করা হয়।

ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন-জগন্নাথ বিশ্বাস, মো. নিজাম উদ্দিন তানিম, শ্রাবণী সরকার, নাজমুল হাসান নাঈম, আফসানা আনজুম আঁখি, নুসাইবা এহসান, আসমা ইয়াসমিন খান রিমু, মেহরিন ফাত্তাহা, কায়সারী ফেরদৌস, মোহাম্মদ আজমাঈন ফাতিন (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং), নিশাত তামান্না আদিবা, এহসানুল হক, মো. শাহিদুল ইসলাম, মো. আহসানুল হক মামুন, মো. আব্দুল হাসনাত, সাহাল জুবায়ের, তাইমিমা মাহবুব, ফাইরুজ তাহিয়া, ফাতেমা-তুজ-জহুরা (ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল), মো. আমিনুল কাদের বুলবুল, শাবাব মুর্শেদ, রাহিব হাসান, জহির সাদিক মনন, তাহমিদ মোসাদ্দেক, মহিদুল হক মৃদুল, আবদুল্লাহ ইবনে হানিফ আরিয়ান, মাবসুর ফাতিন বিন হোসাইন, ইত্তেহাদ সালেহ চৌধুরী, সৌমিক শাফকাত অভ্র (কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল), এইচ রাইনাদ খান রোহান, কে. এম. সৌরভ, মো. নবীর হোসেন, মো. ফাহিম ফরায়েজি, তাসফিয়া রহমান রিভা, মাহমুদুল হাসান তামিম, জেরিন তাহসিন আনজুম, তাসনুভা তামিসা অর্পি, ফারহান লাবিব অর্ণব (নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং), মিকদাম-আল-মাদ রৌন, আব্দুল মোনাফ চৌধুরী, হুমায়রা রশিদ, সানিয়া কায়েনাত চৌধুরী, মো. এহতেশামুল হক, আতিক তাজওয়ার (রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং)।

ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক (২০২১, ২০২৩, ২০২৫), মো. তানভীর আলম (২০২৪) (কম্পিউটার বিজ্ঞান অ্যান্ড প্রকৌশল), ড. আবুল খায়ের মল্লিক (২০২১, ২০২৩), অধ্যাপক ড. মো. নুরনবী (২০২৪), ড. তাসলিম উর রশিদ (২০২২, ২০২৩), অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল ইসলাম মোল্লা (২০২৪), সাদিত বিহঙ্গ মালিথা (২০২১) (ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল), ড. সেঁজুতি রহমান (২০২১, ২০২৩, ২০২৪) (রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং), মো. আরিফুল ইসলাম (২০২৩), মো. সিফাত-ই-আরমান ভূঁইয়া (২০২৩, ২০২৫), ড. মো. মেহেদী হাসান (২০২৪), মো. হোসাইন শাহাদাত (২০২১), ড. অনিমেষ পাল (২০২১, ২০২৫), অধ্যাপক ড. আফরোজা শেলি (২০২২, ২০২৫) (নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং), ড. মাইনুল হোসেন (২০২২, ২০২৪, ২০২৫), ড. শেখ মো. মাহমুদুল ইসলাম (২০২২, ২০২৩), ড. মো. আহসান হাবীব (২০২৫), ইমতিয়াজ আহমেদ (২০২৪) (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “মেধাকে মূল্যায়ন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। একই সঙ্গে অভিভাবকদেরও আমরা সঙ্গে রাখতে পেরেছি। আসলে আপনারাও আমাদেরই অংশ।”

উপাচার্য বলেন, “মেধার অন্যতম ভিত্তি হলো পরিশ্রম। মনে রাখতে হবে, সাফল্যের পেছনে অনেকের অবদান থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের যে পরম্পরা তা তোমরা ধরে রেখেছো। এটাই আমাদের গর্ব। তবে মনে রাখতে হবে অহংবোধ যেন আমাদের মধ্যে জাগ্রত না হয়।”

ঢাকা/সৌরভ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের মাস্ক কি সত্যিই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন
  • ইলেকশন অবজারভার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ
  • বুড়িগঙ্গায় লঞ্চের ধাক্কায় ডুবল নৌকা, ছিলেন জগন্নাথের ১৫ শিক্ষার্থী
  • ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ঢাবির ৭৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
  • তালেবানের নিষেধাজ্ঞায় আফগানিস্তানে ব্যাপকভাবে কমেছে আফিম চাষ
  • ইউআইইউ মার্স রোভার টিমের অনন্য সাফল্য, শুনুন পেছনের গল্প
  • এসে গেল আর্জেন্টিনার ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি, দাম কত