বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও ছিনতাই করা মোবাইল ফোনসহ কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

বুধবার (২৫ জুন) ভোরে সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নের চালিতাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনীর একটি দল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বগুড়া সদর সেনা ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট ফাহাদ।

সেনাবাহিনীর বগুড়া সদর ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চালিতাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় আসিফ ও শাওন নামের কিশোর গ্যাংয়ের দুই সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়।

আরো পড়ুন:

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৪

নাটোরে ৬ ‘ডাকাত’ আটক

এ বিষয়ে লেফটেন্যান্ট ফাহাদ বলেন, “আটক দুজনসহ উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মোবাইল ফোনগুলো বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সেনাবাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। অপরাধী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

ঢাকা/এনাম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ নত ই আটক

এছাড়াও পড়ুন:

বুমরাকে আটকে রাখলেই জয় নিশ্চিত—পরিসংখ্যান এমনই বলছে

নিক হল্ট ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’–এর প্রধান ক্রিকেট সংবাদদাতা। হেডিংলিতে কাল ইংল্যান্ডের জয়ের পর ম্যাচ প্রতিবেদনের একটি অংশে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বের সেরা, সম্ভবত সর্বকালের সেরা বোলারকে ভোঁতা করে জিতেছে ইংল্যান্ড।’

খেলা হয়েছে ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে, যেখানে ৫ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকেরা। এই ম্যাচে নিক হল্ট কাকে এত বড় প্রশংসায় সিক্ত করলেন তা না বললেও চলে। যশপ্রীত বুমরা! ‘দ্য টেলিগ্রাফ’–এর প্রধান ক্রিকেট লেখক ও উইজডেনের সাবেক সম্পাদক শিল্ড বেরি গত রোববার তাঁকে নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম বাংলা করলে হয়, ‘লাল বলের ক্রিকেটে এ গ্রহে জন্মানো সেরা ফাস্ট বোলার যশপ্রীত বুমরা।’

আরও পড়ুনএক ম্যাচে ৭ ক্যাচ মিস, গিলদের গাভাস্কার বললেন—ওসব ঐচ্ছিক অনুশীলন বাদ দাও৮ ঘণ্টা আগে

বুমরা সর্বকালের সেরা কি না, তা নিয়ে তর্ক হতে পারে। দিস্তা দিস্তা পরিসংখ্যান নিয়েও কথার লড়াই হতে পারে। তবে একটি পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে বুমরা–কীর্তির প্রতি বিশ্বাস যে কারও শক্ত হতে পারে। বুমরা তাঁর ৪৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৮৮ ইনিংসে বোলিং করেছেন। এর মধ্যে ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে বোলিং করেছেন ২৪ ইনিংসে। এর মধ্যে ৬ বার চতুর্থ ইনিংসে বোলিং করে উইকেটশূন্য ছিলেন বুমরা। এই ৬ বারই ভারত হেরেছে।

সর্বশেষ টেস্ট থেকেই দেখা যাক। হেডিংলিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ৩৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ইংল্যান্ড। ১৯ ওভার বোলিং করেও বুমরা উইকেট পাননি। ফলটা তো প্রায় সবারই জানা এবং লেখায় আগেই তা জানানো হয়েছে। একটি বিষয় এখানে মোটামুটি পরিষ্কার—টেস্ট জিততে হলে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিতে হবে। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন বুমরা, স্বাগতিকেরা অলআউট হয়েছিল ৪৬৫ রানে। তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে এই বুমরাকে প্রয়োজন ছিল ভারতের।

কিন্তু ক্রিকেটে সবাই সব সময় জ্বলে উঠতে পারেন না, বুমরাও পারেননি। আর তাই তাঁকে ছাড়া নখদন্তহীন মনে হয়েছে ভারতের বোলিং। এককথায়, বুমরা জ্বলে উঠতে না পারলে বোলিং নিয়ে যথেষ্ট দুশ্চিন্তার জায়গা আছে ভারতের।

আরও পড়ুনস্টোকসের ইংল্যান্ড যেখানে অনন্য, ভারত যেখানে পাঁচ সেঞ্চুরিতে ‘প্রথম’১২ ঘণ্টা আগে

পরিসংখ্যানের গল্পে ফেরা যাক। হেডিংলি টেস্টের আগে গত বছর সর্বশেষ বোর্ডার–গাভাস্কার সিরিজে অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে উইকেটশূন্য ছিলেন বুমরা। তবে সে টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের জন্য মাত্র ১৯ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল ভারত। এত অল্প পুঁজি নিয়ে কারও আসলে জেতার কথা নয়। বুমরা ১ ওভার বোলিং করে ছিলেন উইকেটশূন্য, ভারত হারে ১০ উইকেটে। অ্যাডিলেডের পর হেডিংলিতে চতুর্থ ইনিংসে বোলিং করলেন বুমরা।

অ্যাডিলেডের আগে বুমরা চতুর্থ ইনিংসে বোলিং করেছেন তিন বছর আগে (২০২২ সালের জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গ টেস্টে। সেই টেস্টে জয়ের জন্য ২৪০ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। ১৭ ওভারে ৭০ রান দেওয়া বুমরাকে উইকেটশূন্য রেখে সেই টেস্ট ৭ উইকেটে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

জোহানেসবার্গের আগে ২০২১ সালের জুনে সাউদাম্পটনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডকে ১৩৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ভারত। বুমরা ১০.৪ ওভার বোলিং করে ছিলেন উইকেটশূন্য। নিউজিল্যান্ডও ৮ উইকেটে জয় পায়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সেই অ্যাডিলেডেই অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের জন্য মাত্র ৯০ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল ভারত। ৭ ওভারে ২৭ রান দেওয়া বুমরাকে উইকেটশূন্য রেখে ম্যাচটি ৮ উইকেটে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০২০ সালে ওয়েলিংটন টেস্টেও একই ঘটনা দেখা গেছে। চতুর্থ ইনিংসে মাত্র ৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের ১০ উইকেটের জয়ে বুমরা বল করেছিলেন মাত্র ৪টি।

২০২০–এর ওয়েলিংটন কিংবা ২০২০ ও ২০২৪–এর অ্যাডিলেডে বুমরা চতুর্থ ইনিংসে উইকেট না পাওয়ায় ভারত হেরেছে—এ কথাটা সরাসরি বলার সুযোগ নেই। কারণ, ভারতের পুঁজিই ছিল খুব কম। কিন্তু বুমরা চতুর্থ ইনিংসে উইকেট না পেলে ভারত যে ভোগান্তিতে পড়ে সেটাও তো তিন বছর আগের জোহানেসবার্গ কিংবা কালকের হেডিংলির ঘটনায় পরিষ্কার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ