ছবি: আবদুল্লাহর মা ফাতেমা তুজ জোহরার কাছ থেকে সংগৃহীত
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিস্তা পাড়ের ২০ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
উজানে লাগাতার বৃষ্টি এবং ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের জলকপাট খুলে দেওয়ায় লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী এই জেলার ২০টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছেন।
নদীর পানিতে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক, ফসলের মাঠ এবং সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অনেক পুকুরের মাছও ভেসে গেছে। পানিবন্দি এলাকার মানুষ গবাদি পশু নিয়ে উঁচু স্থান, বাঁধ ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকেই তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রাত পানি আরো বৃদ্ধি পায়। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৬টায় পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১৩ স্কুল বন্ধ ঘোষণা
তিস্তা পাড়ের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পানিতে তলিয়ে গেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী, পাটিকাপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ও রাজপুর ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল। এসব এলাকার ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা/সিপন/মাসুদ