চালকদের শেখাতে ৩০০ ‘প্রশিক্ষক’ তৈরি হচ্ছে, খরচ ৫৩ লাখ টাকা
Published: 27th, June 2025 GMT
রাজধানীর রাস্তায় চলাচলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের একটি দলের নকশা করা রিকশা অনুমোদন দিচ্ছে সরকার। ওই রিকশা চালাতে চালকদের দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স। চালকেরা প্রশিক্ষণ নিয়ে লাইসেন্স পাওয়ার পর ঢাকার প্রধান সড়ক বাদে পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে এসব রিকশা চালানোর অনুমতি পাবেন।
নতুন নকশার ব্যাটারিচালিত এসব রিকশা চালাতে রিকশাচালকদের যাঁরা প্রশিক্ষণ দেবেন, সরকারিভাবে সেই প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমন ৩০০ জন প্রশিক্ষকের বা ‘মাস্টার ট্রেইনারের’ প্রশিক্ষণে ব্যয় করা হচ্ছে মোট ৫৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রথম দফায় ২০০ জন প্রশিক্ষককে তিন দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে আগামীকাল শনিবার এবং রবি ও সোমবার (২৮, ২৯ ও ৩০ জুন)।
রিকশা চালানোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বাবদ এ অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) থেকে। ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রোগ্রামকে। ব্র্যাকের ২৩ জন প্রশিক্ষক তাঁদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
ঢাকা উত্তর সিটি ও ব্র্যাক সূত্রে জানা গেছে, রিকশা চালানোর প্রশিক্ষক হতে নির্বাচিত ৩০০ জনের মধ্যে ২০০ জনের তালিকা দেওয়া হয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে। এর মধ্যে ১৭৫ জন হলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, যাঁরা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বাকি ১০০ জন হলেন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধি।
বুয়েটের নকশা করা এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর বিষয়ে চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ৩০০ প্রশিক্ষক তৈরিতে প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। তিন দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে তাঁরা চালকদের প্রশিক্ষণ দেবেন। ঢাকা উত্তর সিটির নগর ভবনের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার তোলা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ লকদ র
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে