ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইজিবাইকে ডাম্প ট্রাকের চাপায় জেসমিন আক্তার (৩০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোয়ালন্দ ইমামবাড়া শরীফের সামনে এ দুর্ঘটনায় ওই নারীর স্বামী ও তিন শিশু সন্তানসহ মোট সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহত জেসমিন ফরিদপুর সদর উপজেলার ইশান গোপালপুর ইউনিয়নের অম্বিকাপুর জালিয়াডাঙ্গা এলাকার দুলাল শেখের স্ত্রী। আহতরা হলেন- নিহত জেসমিনের স্বামী দুলাল শেখ (৪০), ছেলে রিহাদ (৭), মেয়ে সানজিদা (১২) ও ৪ মাস বয়সী ছেলে আবু রেহান। এছাড়া আহত হয়েছেন মো.

জনি সরদার (৩১), ফেরদৌস (৫৫) ও টিপু মোল্লা (৩০)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত জনিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার আব্দুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে আহতদের গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেসমিন আক্তার মারা যান। আহত প্রত্যেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সবাইকে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।

আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন জানান, দৌলতদিয়া ঘাটমুখী একটি ডাম্প ট্রাক ও বিপরীতমুখী ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাকচালক মো. জাহিদ মণ্ডলকে আটক করা হয়েছে। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার কামালদিয়া ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের সামাদ মণ্ডলের ছেলে। পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

মুন্সিগঞ্জে এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত ৪

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪-১৫ জন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বাসের যাত্রী যশোর সদর উপজেলার মধুগ্রামের জিল্লুর রহমান (৬৫), একই উপজেলার পাগলাদাহ গ্রামের মো. জালাল (৬৫), চিকিৎসক আব্দুল হালিম (৫৫) ও বাসটির চালকের সরকারী হাসিব (৩২)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাতে হামদান এক্সপ্রেসের একটি নৈশকোচ যাত্রী নিয়ে যশোরের নোয়াপাড়া থেকে রাজধানীর ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। একই পথে মালবোঝাই একটি মিনিট্রাকও যাচ্ছিল। এক্সপ্রেসওয়ের সিংপাড়া-নওয়াপাড়া ও হাঁসাড়া ব্রিজ-২–এর মাঝামাঝি লন্ডন স্কুলের সামনে এলে বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি সামনে থাকা চলন্ত ট্রাকের পেছনের বাঁ পাশে সজোরে ধাক্কা দেয়। পরে বাস ও ট্রাক দুটোই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের মাঝামাঝি সড়কদ্বীপের রেলিংয়ে আলাদাভাবে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে জিল্লুর রহমান ও মো. জালাল নিহত হন।

উপজেলার সিংপাড়া-নওয়াপাড়া ও হাঁসাড়া ব্রিজ-২–এর মাঝামাঝি লন্ডন স্কুলের সামনে ট্রাকের পেছনে যাত্রীবাহী একটি বাস সজোরে ধাক্কা দেয়। বাস ও ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের সড়কদ্বীপের রেলিংয়ে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে বাসের দুই যাত্রী নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও দুজন। বাসের আরও ১৪ থেকে ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক আ. হালিম ও বাসটির চালকের সহকারী হাসিব মারা যান।

হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদের জিলানী গণমাধ্যমকে জানান, দুর্ঘটনার পর বাস ও ট্রাকের চালকেরা পালিয়ে গেছেন। দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ