শিক্ষক–জনবল নিয়োগসহ ৪ দাবিতে ময়মনসিংহ আইএইচটি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
Published: 29th, June 2025 GMT
ময়মনসিংহের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) শিক্ষক ও জনবল নিয়োগসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে পাঠ কার্যক্রম বন্ধ রেখে একাডেমিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি করা হয়।
নগরের মাসকান্দা এলাকায় আইএইচটির অবস্থান। কোনো জনবল নিয়োগ না হলেও বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ল্যাবরেটরি ও রেডিওলজি বিভাগে ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি ও পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে তিনটি ব্যাচে ১৫৬ শিক্ষার্থী আছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে শুরু থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মোহাম্মদ ছাইফুল ইসলাম খান। গত ৪ মার্চ তিনি ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন হিসেবে বদলি হন। এরপর প্রশাসনিক দায়িত্বে আর কেউ নেই। তবে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষক সপ্তাহে দুই দিন করে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
ক্যাম্পাসে আছে একটি চারতলা একাডেমিক ভবন, একটি পুরুষ ও একটি নারী আবাসিক হল ও কর্মকর্তা–কর্মচারীদের আবাসন। পুরো চত্বরে ঘাস বড় হয়ে জঙ্গলময় পরিস্থিতি। একাডেমিক ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে আছে প্যাকেটবন্দী কিছু জিনিসপত্র। নিচতলার একটি কক্ষকে শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেখানে কিছু চেয়ার ও একটি টেবিল রয়েছে। এ ছাড়া পুরো ভবনে কক্ষ থাকলেও নেই আসবাব ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিভাগভিত্তিক কোনো শিক্ষক না থাকায় ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ প্রায় ছয় মাস। ছাত্রদের জন্য ব্যবহারিক কোনো যন্ত্রপাতি ও ক্লাসে পর্যাপ্ত আসবাব, যেমন চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ নেই। হলে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো আসবাব, বিছানা, চেয়ার ও টেবিল নেই; নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী। ২৫ জুন বেলা ১১টার দিকে ৯ লাখ টাকা বকেয়ার কারণে ক্যাম্পাসের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। পরে অবশ্য আবার সংযোগ দেওয়া হয়। এমন অবস্থায় শিক্ষাজীবন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন।
আজ পাঠ কার্যক্রম বর্জন করে সকাল ১০টা থেকে প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের চারটি দাবির মধ্যে আছে, অবিলম্বে অধ্যক্ষ ও শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে, বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সব সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন ও মানসম্মত ক্যাম্পাস করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আজ মানববন্ধনের পর স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে স্মারকলিপি ও পরে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুফিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন১৫৬ শিক্ষার্থী থাকলেও নেই কোনো শিক্ষক–কর্মচারী ৮ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থী দেবী দেবনাথ বলেন, ‘সরকারের আছে আমাদের প্রশ্ন, যদি শিক্ষার সুব্যবস্থা না দিতে পারে, তাহলে এত টাকা খরচ করে, এত সুন্দর ভবন কেন করা হলো। ভর্তি হওয়ার সময় অনেক টাকা খরচ করে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হয়েছি। আমরা যদি জানতাম, এখানে এসে ক্ষতি হবে, তাহলে ভর্তি হতাম না। রাষ্ট্র কেন আমাদের এত ক্ষতি করল? আমাদের সঙ্গে একপ্রকার দুর্নীতি করা হচ্ছে।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মিছবাহ উদদীন আহমদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষকসহ অন্যান্য জনবল কাঠামো অনুমোদন ও নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এক ড ম ক ভবন অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
একাদশ জাতীয় ত্বকী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশ
একাদশ জাতীয় ত্বকী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৫–এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ রোববার সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আগামী ২০ ডিসেম্বর বেলা তিনটায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ওই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এবার সারা দেশ থেকে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ৮৫০ ও রচনা প্রতিযোগিতায় ৩০০ প্রতিযোগী অংশ নেয়। চিত্রাঙ্কন ও রচনার প্রতিটি বিষয়ে তিনটি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি বিভাগের প্রথম স্থান অধিকারীকে ‘ত্বকী পদক’ দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে বিশেষ ক্রেস্ট, বই ও সনদ এবং সেরা ১০ জনকে ক্রেস্ট, বই ও সনদ দেওয়া হবে।
উভয় বিষয়ের প্রতিটি বিভাগের সেরা ১০ জনের ছবি ও লেখা নিয়ে একটি সুশোভিত স্মারক ‘ত্বকী’ প্রকাশিত হবে। প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত বিচারক ছিলেন রচনায় আনু মুহাম্মদ ও রফিউর রাব্বি। চিত্রাঙ্কনে রফিকুন নবী, জাহিদ মুস্তাফা ও অশোক কর্মকার।
প্রতিযোগিতার ‘ক’ বিভাগে ‘স্বপ্নের স্বদেশ’ বিষয়ে রচনায় প্রথম হয়ে ‘ত্বকী পদক’ পেয়েছে নুসাইবা জাহান জ্যোতি (নারায়ণগঞ্জ), দ্বিতীয় আবু ইমরান (ফেনী) ও তৃতীয় রক্তিম ঘোষ (নারায়ণগঞ্জ)। সেরা ১০–এ আছে নারায়ণগঞ্জের আজমাইন আন্ত, তাশফিয়া জারিন হায়দার, নাফিসা আনজুম, জুনাইরা জারা আরিবা, সুরাইয়া জাহান রুশান, বরিশালের প্রাপ্তি লতা কুণ্ডু ও ময়মনসিংহের শেখ রাইছা।
‘খ’ বিভাগে ‘জুলাই ছাত্র গণ–অভ্যুত্থান’ শিরোনামে রচনায় প্রথম হয়ে ‘ত্বকী পদক’ পেয়েছে মো. তাওহীদুল ইসলাম (ঢাকা), দ্বিতীয় আবদুল্লাহ আল ওয়াহিব (বগুড়া) ও তৃতীয় মুহিব ই যাহরা ফিজা (ঢাকা)। সেরা ১০–এ আছে বগুড়ার মো. সামিন ইয়াসির, দিশা বসাক, নাফিম হায়াত, রংপুরের আরণ্যক পাল প্রাচুর্য, ঢাকার জায়ান দেওয়ান, নারায়ণগঞ্জের অথৈ বিশ্বাস ও ঐশি সিংহ।
‘গ’ বিভাগে ‘ত্বকীকে নিয়ে রচনা’য় প্রথম হয়ে ‘ত্বকী পদক’ পেয়েছে দেবাশ্রিতা পাল, দ্বিতীয় আমানুর রহমান (নারায়ণগঞ্জ) ও তৃতীয় ফারবিন ফাইজা (ঝিনাইদহ)। সেরা ১০–এ আছে মো. নাজমুল হাসান খান (জামালপুর), নাহিমা আক্তার নিপা (ঢাকা), সাদিয়া আফরিন (ফেনী), নির্ভিক পাল চৌধুরী (যশোর), রামিছা আক্তার মমি (ময়মনসিংহ), নারায়ণগঞ্জের মাহমুদুর রহমান ও ফারিনা সাঈদ এশা।
চিত্রাঙ্কনের ‘ক’ বিভাগে প্রথম হয়ে ‘ত্বকী পদক’ পেয়েছে সফ্ফান সাদ মাহিম (ঢাকা), দ্বিতীয় ছড়া ইসলাম (ঢাকা) ও তৃতীয় প্রিয়ন্তী নন্দী (বগুড়া)। সেরা ১০–এ আছে ঢাকার সাফওয়ান আহনাফ, আসফিয়া আয়রাত আসমানী, মুরতাহা ইকবাল বুশরা, সান্নিধ্য মজুমদার ও জয়িতা রহমান এবং নারায়ণগঞ্জের অনুভব ধর ও শৌনক সাহা।
‘খ’ বিভাগে প্রথম হয়ে ‘ত্বকী পদক’ পেয়েছে সৌভিক সাহা (নারায়ণগঞ্জ), দ্বিতীয় জান্নাতুল ওয়ারিশা (ঢাকা) ও তৃতীয় শাহরিয়ার রহমান হাবিব (নারায়ণগঞ্জ)। সেরা ১০–এ আছে ঢাকার তাসরিফ রহমান পরম, ফাতেমাতুজ জাহারা, অনিরুদ্ধ ধর, বগুড়ার প্রত্যাশা সরকার পিহু, নুবাইরা চৌধুরী অহনা, নারায়ণগঞ্জের মনয় পরশ সরকার ও আইশা তাজরিয়ান ইউশরা।
‘গ’ বিভাগে প্রথম হয়ে ‘ত্বকী পদক’ পেয়েছে হামীম উজ জামান (বগুড়া), দ্বিতীয় মৌমিতা ভৌমিক (বগুড়া) ও তৃতীয় ঈশান সাহা (বগুড়া)। সেরা ১০–এ আছে বগুড়ার জয়পাল, হুমায়রা জান্নাত নিহা, আতকিয়া আনজুম তাশা ও প্রত্যাশা সাহা দিঘা, রংপুরের আরণ্যক পাল প্রাচুর্য, প্রত্যয় পাল রাজ ও উৎস সাহা (নারায়ণগঞ্জ)।