ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেছেন, “অনেকেই জানতে চান—মার্কেট কবে ঘুরে দাঁড়াবে? আমি মনে করি, বাজার ঘুরে দাঁড়াবে সাংবাদিকদের ইতিবাচক লেখনির মাধ্যমেই।” 

সোমবার (৩০ জুন) রাজধানীর পল্টনে সিএমজেএফের অডিটোরিয়ামে সিএমজেএফ আয়োজিত ‘ফল উৎসব ২০২৫’-এ তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে পুঁজিবাজারে যত অনিয়ম ঘটেছে, তা সাহসিকতার সঙ্গে গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্য সাংবাদিকরা। ইতিবাচক তথ্যভিত্তিক লেখনির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আশাবাদী করে তোলা সম্ভব। আর সেই কাজটি করে যাচ্ছেন সিএমজেফের সদস্য দায়িত্বশীল সাংবাদিকরা। ইতিবাচক লেখনিতে ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার।”

আরো পড়ুন:

ডিজিটাল আইনের মামলা থেকে ২ সাংবাদিক খালাস 

বিএসআরএফের সভাপতি মাসউদুল, সম্পাদক বাদল

তিনি আরো বলেন, “আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করছি। তবে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও বিশ্বাস সবচেয়ে জরুরি। এ কাজে সিএমজেএফ সদস্য সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। তারা সব সময়ই বাজারের মঙ্গল কামনায় সংবাদ প্রকাশ করে থাকেন।”

সাইফুল ইসলাম বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে গত ৯ মাস ধরে সিএমজেএফ ডিবিএকে সবসময় সহযোগিতা করে আসছে। বাজারের স্বার্থে আমরা এক ও অভিন্ন। আমাদের মধ্যে রয়েছে আত্মিক সম্পর্ক।”

সাইফুল ইসলাম আরো বলেন, “বাজার সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে রেগুলেটরের কাছে যাওয়ার আগে আমরা সিএমজেএফের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করি। কারণ, সাংবাদিকদের বাজার বিষয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্লেষণ বাজারের জন্য ইতিবাচক দিকনির্দেশনা দিতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, সিএমজেএফ ও ডিবিএ—দুই সংগঠনই পুঁজিবাজারের কল্যাণে কাজ করছে।”

দেশীয় ফলের এ উৎসবকে সময়োপযোগী ও প্রাণবন্ত উদ্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করে ডিবিএ সভাপতি বলেন, “ফল উৎসব যেমন আমাদের আনন্দ দেয়, তেমনি বাজারে ভালো শেয়ার এলে বিনিয়োগকারীরাও ভালো ফল পাবেন। তবে সবসময় যদি দুর্বল কোম্পানি বাজারে আসে, তাহলে কখনোই বাজার থেকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাবে না।”

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, “পেরাভান্ডার, মাতৃভাণ্ডার, শীতল ভাণ্ডার—এসব জায়গার কোনো শাখা নেই, মালিক নিজে দাঁড়িয়ে ব্যবসা করে। তেমনি আমাদের বাজারেও দায়বদ্ধতা ও উপস্থিতির গুরুত্ব অপরিসীম।”

তিনি আগামী বছর ফল উৎসবের সঙ্গে রসমালাই উৎসবের আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও দেন।

এ সময় ডিএসই পরিচালক ও বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ডিএসইর সাবেক পরিচালক আনোয়ার হোসেন, ডিবিএর সহসভাপতি সাইফুদ্দিন আহমেদ, পরিচালক দিদার গনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফের সভাপতি এস এম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। এছাড়া সিএমজেএফের যুগ্ম সম্পদক ইব্রাহীম হোসেন রেজোয়ানসহ অন্যান্য সদস্যরা ফল উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।

মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, “শুধু ফল উৎসব নয়, আরো যতো উৎসব আছে তা পালন করা দরকার। একটা উপলক্ষ কেন্দ্র করে সবাই একসঙ্গে হওয়া যায়, যা অত্যন্ত আনন্দের। গত ১৫ বছর ধরে সাংবাদিকরা ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে অনেক অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেছেন; যা অত্যন্ত সাহসিকতার সাক্ষর রেখেছে। আইপিও সংক্রান্ত অনিয়মসহ বিভিন্ন অনাচারের খবর তারাই তুলে এনেছেন।”

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সহকারী পরিচালক মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, “পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এ ধরনের আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আয়োজনের জন্য তিনি সিএমজেএফকে ধন্যবাদ জানাই।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র ব দ কর র জন য সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে

বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।

সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।

খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।

এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও  সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।  

তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে  পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া  খালটি ভরাট করার কারনে  বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।

বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান,  এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে  একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। 

এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা  করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে দুর্গোৎসব: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
  • দেবী দুর্গার বিদায়ের সুরে রাজশাহীতে প্রতিমা বিসর্জন
  • ঢাকঢোল বাজিয়ে চট্টগ্রামে প্রতিমা বিসর্জন, বৈরী আবহাওয়ায়ও মানুষের ঢল
  • অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয় হোক: হাওলাদার
  • দর্পণ বিসর্জন: মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের সুর
  • উৎসবের আনন্দে ভরা পূজার মেলা
  • বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই পর্যটকের ঢল, বিকেলে প্রতিমা বিসর্জন উৎসব
  • বিজয়া দশমীতে আজ শেষ হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব
  • ড. ইউনূসকে অসুর রূপে উপস্থাপন নিন্দনীয়: উপদেষ্টা 
  • বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে