ভারতের ক্রিকেটে উঠে আসছে বিরাট কোহলি, বীরেন্দর শেবাগদের পরের প্রজন্ম। দিল্লি প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সামনের আসরে দেখা যেতে পারে কোহলির ভাতিজা আর্যবীর কোহলি ও শেবাগের ছেলে আর্যবীর শেবাগকে। আগামী ১৫ জুলাই অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে এই দুজনের নাম নিলামে উঠবে।

গত বছর দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে খেলেই আইপিএলে ডাক পেয়েছিলেন প্রিয়াংশ আর্য ও দিগ্বেশ রাঠি। দুজনই খেলেছিলেন লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসে।

আর্যবীর কোহলি বিরাট কোহলির বড় ভাই বিকাশ কোহলির ছেলে। ১৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার লেগ স্পিনার। বিরাট কোহলির ছেলেবেলার কোচ রাজ কুমার শর্মার তত্ত্বাবধানে আছে আর্যবীর। এরই মধ্যে দিল্লি অনূর্ধ্ব-১৬ দলের খেলোয়াড় হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে সে। দিল্লি দলে তালিকাভুক্ত বলতে বোঝায় ৩০ জনের স্কোয়াডে থাকা।

এবারের দিল্লি প্রিমিয়ার লিগের নিলামে আরেক আর্যবীর বীরেন্দর শেবাগের ছেলে আর্যবীর শেবাগ। ভারতের সাবেক ওপেনারের ছেলে এরই মধ্যে দিল্লি অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছে। ১৭ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের কুচবিহার ট্রফিতে মেঘালয়ের বিপক্ষে ২৯৭ রানের ইনিংসও আছে। আর্যবীর শেবাগের ছোট ভাই বেদান্ত শেবাগ দিল্লি অনূর্ধ্ব-১৬ দলে খেলে।

দিল্লি প্রিমিয়ার লিগ চালু হয়েছে গত বছর। প্রথম আসরে ৬টি দল খেললেও এবার দ্বিতীয় আসরে দুটি দল বেড়েছে। আউটার দিল্লি ও নিউ দিল্লি যোগ হয়েছে ইস্ট দিল্লি রাইডার্স, নর্থ দিল্লি স্ট্রাইকার্স, ওয়েস্ট দিল্লি লায়নস, সাউথ দিল্লি সুপারস্টারজ, পুরানি দিল্লি ৬ এবং সেন্ট্রাল দিল্লি কিংসের সঙ্গে। গত বছর সাউথ দিল্লিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্ট দিল্লি।

সে আসরে সাউথ দিল্লির হয়ে নর্থ দিল্লির বিপক্ষে ৬ বলে ৬ ছক্কা মেরে আলোচনায় আসেন প্রিয়াংশ আর্য, পরে জায়গা পান আইপিএল নিলামে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে ৩ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে কেনে পাঞ্জাব কিংস, রানার্সআপ হওয়া দলটির হয়ে একটি সেঞ্চুরিসহ ৪৭৫ রান করেন প্রিয়াংশ।

দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে খেলা আরেক ক্রিকেটার দিগ্বেশ রাঠি আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে ১৩ ম্যাচ খেলে নেন ১৪ উইকেট।

দিল্লি প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় আসর শুরুর দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

আরও পড়ুনকোহলি, আপনি শুধু বাণিজ্যিক নন, আর্ট ফিল্মেরও নায়ক০৪ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক হল র

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে নারী খুন

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামে তৃপ্তি রাণী (৪০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে তৃপ্তি রানী মাঠে ঘাস কেটে বাড়িতে ফেরার পথে শংকর নামের এক স্থানীয় যুবক তৃপ্তি রানীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন:

প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা

যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিলেন স্বামী

তৃপ্তি রানী উপজেলার কৃষ্ণবাটি দক্ষিণ পাড়ার অবনিশ মল্লিকের স্ত্রী। অভিযুক্ত শংকর নিহতের প্রতিবেশী। হত্যাকাণ্ডের পরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। 

তৃপ্তি রানী পরকীয়ার জের ধরে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

কৃষ্ণবাটি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাধন দাস বলেছেন, তৃপ্তির স্বামী অবনিশ ভ্যানচালক। এই দম্পতির একটি সন্তান আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের এক নারীর সঙ্গে মাঠ থেকে ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন তৃপ্তি। পথে শংকর তাদের গতিরোধ করে। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তৃপ্তির ঘাড়ে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তখন তৃপ্তির সঙ্গে থাকা নারী বাধা দিতে গেলে তাকেও হত্যার ভয় দেখায় শংকর। 

সাধন দাস বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত তৃপ্তি রাণীকে মনিরামপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে স্বজনরা তৃপ্তিকে নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যায় নড়াইলে পৌঁছালে পথেই তৃপ্তির মৃত্যু হয়। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তৃপ্তির সঙ্গে শংকরের পরকীয়া নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছিল। একপর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ঘরে তুলতে চান। তখন তৃপ্তি শংকর কাছে তার ভিটাবাড়ি দাবি করেন। শংকর তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তৃপ্তিকে খুন করেছে শংকর। 

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেছেন, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে শংকর নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃপ্তি রানীকে কুপিয়ে আহত করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে তৃপ্তি মারা যান। গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শংকর পলাতক আছে। 

ঢাকা/রিটন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ