ঢাকার নবাবগঞ্জে বাড়ির পাশের ফসলি জমি থেকে আমজাদ হোসেন (৫২) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৬ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার মৃধাকান্দা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, তাকে গ্রেপ্তারে তার বাড়িতে পুলিশ গিয়েছিল। আমজাদ হোসেন উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোর ৪টার দিকে চেক জালিয়াতির মামলায় এক বছরের সাজাসংক্রান্ত পরোয়ানা নিয়ে আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তারে তার বাড়িতে যায় নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশ। কিন্তু, এ সময় তাকে না পেয়ে পুলিশ ফিরে যায়। পুলিশ চলে গেছে জানতে পেরে আমজাদ ঘর থেকে বের হন।

আরো পড়ুন:

খেলার সময় বল পড়ে যায় পানিতে, তুলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

মগবাজারে হোটেল থেকে উদ্ধার তিন মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, যা জানালেন চিকিৎসক

পরিবারের সদস্যরা ধারণা করেন, আমজাদ ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলেন। তবে ভোর ৫টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন ধনচে খেতের পাশে আমজাদকে পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। দ্রুত আমজাদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্বজনেরা লাশ বাড়িতে নিয়ে যান।

এদিকে, এ ঘটনার পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘হত্যা’র অভিযোগ তুলে বিভিন্ন পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে যুবদলের নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা আমজাদের বাড়িতে যান।

খবর পেয়ে নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশ আমজাদের বাড়িতে গিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করে। পুলিশ জানায়, আমজাদের নামে রাজনৈতিকসহ অন্তত ২৭টির বেশি মামলা রয়েছে। একটি চেক জালিয়াতির মামলায় তার বিরুদ্ধে এক বছরের সাজা পরোয়ানাও ছিল।

নিহতের স্ত্রী মাহফুজা বেগম বলেন, ‘‘আমি জানি না আমার স্বামী কীভাবে মারা গেল। আল্লাহর কাছে বিচার চাই।’’

আমজাদের ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমার ভাই রাজনীতি করে। তার অনেক প্রতিপক্ষ আছে। পুলিশ তাকে ধরতে আসলেও সে কেন ওখানে গিয়ে পড়ে মারা গেল? এটা আমরা বুঝতে পারছি না।’’

নিহতের বড় মেয়ে আশা আক্তার বলেন, ‘‘বাবার মুখে ও চোখের কোণে জখমের চিহ্ন আছে। বাবাকে কেউ হত্যা করেছে কি না, তা এখনো বলতে পারছি না।’’

নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’’

ভোররাতে গ্রেপ্তার অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমজাদের নামে সাজার পরোয়ানা ছিল। পুলিশ ভোর ৪টায় তাকে ধরতে যায়। বাসার দরজা না খোলায় পুলিশ ফিরে আসে। পরে স্থানীয় লোকজন মুঠোফোনে আমজাদের মৃত্যুর খবর জানান।’’

গ্রেপ্তার অভিযানে অংশ নেওয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিবুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেন জানান, তারা আমজাদের বাড়িতে ঢোকেননি।

ঢাকা/শিপন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমজ দ র

এছাড়াও পড়ুন:

মাহি বলেছিলেন ‘ডিভোর্স’, হঠাৎ স্বামীর সঙ্গে ছবি পোস্ট নিয়ে রহস্য

দেড় বছর আগে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেছিলেন, রাজনীতিবিদ স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। গণমাধ্যমে দেওয়া সেই ঘোষণার পর স্বামীর সঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি মাহিকে। দুজন দুজনের মতো করেই ব্যস্ত ছিলেন। এদিকে কয়েক মাস ধরে মাহি রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে, আর স্বামী রাকিব কোথায় আছেন, তা কেউ জানেন না।

হঠাৎ করে স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে দুটি স্থিরচিত্র পোস্ট করেন মাহি। ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে মাহি সেই ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘মাশ আল্লাহ।’ এর ঠিক এক ঘণ্টা আগে একই স্থিরচিত্র পোস্ট করেন রাকিব সরকারও। মাহি ও রাকিবের কাছাকাছি সময় স্থিরচিত্র পোস্ট করা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও রাজনীতিবিদ রাকিব সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, তাঁরা দুজন এক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার কেউ বলছেন, তাঁরা আগে থেকেই এক ছিলেন, মাঝে শুধু সম্পর্কের অবণতি হয়েছে। এদিকে মন্তব্যের ঘরে কেউ লিখেছেন, ‘আবার সব আগের মতো হয়ে যাক।’ কেউ কেউ মাহির সঙ্গে স্বামী–সন্তানের স্থিরচিত্র দেখে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে জানিয়েছেন অভিনন্দনও।

রাকিব সরকার ও মাহিয়া মাহি

সম্পর্কিত নিবন্ধ