ভারতীয় বাংলা ‘ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখছেন বাংলাদেশের মডেল-অভিনেত্রী তানজিন তিশা। ছোট পর্দার অভিনেতা খায়রুল বাসার ও ‘থ্রি ইডিয়টস’ তারকা শারমন যোশিও সিনেমাটিতে অভিনয় করছেন বলে নিশ্চিত করেন পরিচালক এম এন রাজ। 

বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের কিছু সময় পরই সিনেমাটি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন অভিনেতা খায়রুল বাসার। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকালে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান তিনি। 

খায়রুল বাসার লেখেন, “ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমায় সম্পৃক্ত হবার কথাবার্তা আগাচ্ছিল। খুব শিগগির চুক্তিবদ্ধ হতে যাচ্ছিলাম, যদি শিডিউল জটিলতার সমাধান করতে পারতাম। সঙ্গত কারণে আমি এই সিনেমায় থাকতে পারছি না। ধন্যবাদ। ‘ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমার জন্য শুভকামনা।” 

আরো পড়ুন:

চলচ্চিত্রে তিশা, সঙ্গী ‘থ্রি ইডিয়টস’ তারকা যোশি

আমাকে খারাপভাবে স্পর্শ করত, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে জনি লিভারের কন্যা

এর আগে পরিচালক জানান, চলতি মাসে সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন খায়রুল বাসার। কিন্তু এ অভিনেতার দাবি—“সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। শিডিউল মেলানোর চেষ্টা করছিলেন।”  

খায়রুল বাসারের এমন বক্তব্যে হতবাক হয়েছেন পরিচালক রাজ। তার দাবি, “সিনেমাটির জন্য বাসার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কেবল তাই নয়, তার পারিশ্রমিকের এক চতুর্থাংশ অভিনেতাকে দেওয়া হয়েছে। এরপরও এসব কথা কেন বলছেন বুঝতে পারছি না। তবে আমি তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।” 

সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারতের দার্জিলিংয়ে সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে। টানা ২৩ দিন দৃশ্যধারণের কাজ চলবে। এরপর অক্টোবরে মুর্শিদাবাদে শুটিং হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রেন হ্যাক: স্বাভাবিক হওয়ার পাঁচ উপায় জেনে নিন

আমাদের জীবনে এমন অনেক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যখন আমাদের মস্তিষ্ক হাল ছেড়ে দিতে চায়— এবং ক্লান্ত বোধ করে। ধীরে ধীরে, আমরা এই পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করতে শিখি, কিন্তু যে কারও জন্য, প্রথম কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চলাফেরা করা কঠিন।এখানে ৫টি উপায় দেওয়া হলো, যার মাধ্যমে আপনি নিজেই নিজের মেজাজ পরিবর্তন করতে পারবেন।

সুগন্ধি পরিবর্তন
আমাদের অনুভূতির ওপর সুগন্ধির এক অনস্বীকার্য প্রভাব রয়েছে। এগুলো আমাদের ভালো স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যে ভালো সময় আমরা আগে কাটিয়েছি এবং আবার যে সময় ফিরে পেতে চাইছি। আর ঘ্রাণতন্ত্র হল আমাদের ঘ্রাণশক্তির জন্য দায়ী সংবেদনশীল ব্যবস্থা।যখন আমরা কোনও ঘ্রাণ শ্বাস নিই, তখন গন্ধের অণুগুলি আমাদের নাকের ঘ্রাণশক্তি রিসেপ্টরের সংস্পর্শে আসে, যা প্রক্রিয়াকরণের জন্য আমাদের মস্তিষ্কে সংকেত বহন করে। যদি এটি আপনার প্রিয় স্মৃতিগুলির সাথে সম্পর্কিত একটি পরিচিত ঘ্রাণ হয়, তাহলে মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি সনাক্ত করবে এবং আপনার মেজাজ পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। সুগন্ধি আমাদের যুক্তিবাদী মনকে এড়িয়ে যায় এবং দ্রুত আবেগগত অবস্থা পরিবর্তন করতে পারে।

বরফ ছুঁয়ে থাকুন
থেরাপিস্টরা পরামর্শ দেন, বরফ ছুঁয়ে থাকতে। যখন কেউ বরফ ধরে রাখে, তখন মনোযোগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠান্ডা অনুভূতিতে চলে যায়। অসাড় অনুভূতি চাপ থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেয় এবং বরফের শীতলতা এবং শরীরের উষ্ণতার মধ্যে পার্থক্য আপনার মনকে বর্তমানের দিকে টেনে আনতে পারে, নেতিবাচক চিন্তাভাবনাগুলোকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

আশপাশের পরিবেশে পরিবর্তন আনুন
কখনও কখনও একই জিনিস এবং মানুষ দ্বারা বেষ্টিত থাকার ফলে আমাদের মন অবচেতনভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আটকে থাকার অনুভূতি তৈরি হতে শুরু করে। অন্য জায়গায় চলে যান—এমনকি যদি তা ঘরের ঠিক ওপারে বা বাইরে এক পাওয়া যায়। আশেপাশের পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তন আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে সতেজ করে তুলতে পারে। হয়তো এই কারণেই বেশিরভাগ ছবিতে, নায়কদের সমুদ্রের ধারে বা খোলা জায়গায় বসে জীবন সম্পর্কে ভাবতে দেখানো হয়।

গভীর শ্বাস নিন
আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন, যখনই কেউ চাপে থাকে, তখন আশেপাশের অন্তত একজন ব্যক্তি কেন বলে, "একটি গভীর শ্বাস নাও"? এটি কি আসলেই কাজ করে, নাকি এটি কেবল একটি মিথ?

স্নায়ুবিজ্ঞান পরামর্শ দেয় যে এটি সত্যিই মানসিক চাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। কীভাবে? দ্রুত ‘‘শারীরিক দীর্ঘশ্বাস’’ চেষ্টা করুন - নাক দিয়ে দুটি দ্রুত শ্বাস নিন, তারপরে মুখ দিয়ে একটি দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ুন। এটি আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে দ্রুত শান্ত করে। এই কৌশলটি কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) কমাতে সাহায্য করে এবং শারীরিক উত্তেজনা কমায়।

ইলিজম পদ্ধতিতে নিজের সঙ্গে কথা বলুন
এটা সবসময়ই ঘটে—যখন কোন বন্ধুর পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তখন আমরা পেশাদার হয়ে উঠি, অনানুষ্ঠানিকভাবে 'অনপেইড থেরাপিস্ট' উপাধি অর্জন করি। কিন্তু যখন আমাদের সাথেও একই ঘটনা ঘটে, তখন সেই ভেতরের থেরাপিস্ট কোথায় যায়?
এটি ঘটে কারণ তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে বস্তুনিষ্ঠভাবে কথা বলা সহজ। যখন আপনি কোনও চাপের পরিস্থিতিতে থাকেন বা উদ্বিগ্ন থাকেন, তখন 'আমি'-এর পরিবর্তে আপনার নাম বা 'সে/সে' ব্যবহার করে নিজের সাথে কথা বলার চেষ্টা করুন। এটি আপনার আবেগ এবং চিন্তাভাবনা থেকে একটি মানসিক দূরত্ব তৈরি করে, যার ফলে অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং আরও ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। এই পদ্ধতিটি 'দূরবর্তী স্ব-কথা' বা 'ইলিজম' নামে পরিচিত।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ