তিশার সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন খায়রুল বাসার
Published: 25th, July 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা ‘ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখছেন বাংলাদেশের মডেল-অভিনেত্রী তানজিন তিশা। ছোট পর্দার অভিনেতা খায়রুল বাসার ও ‘থ্রি ইডিয়টস’ তারকা শারমন যোশিও সিনেমাটিতে অভিনয় করছেন বলে নিশ্চিত করেন পরিচালক এম এন রাজ।
বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের কিছু সময় পরই সিনেমাটি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন অভিনেতা খায়রুল বাসার। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকালে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান তিনি।
খায়রুল বাসার লেখেন, “ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমায় সম্পৃক্ত হবার কথাবার্তা আগাচ্ছিল। খুব শিগগির চুক্তিবদ্ধ হতে যাচ্ছিলাম, যদি শিডিউল জটিলতার সমাধান করতে পারতাম। সঙ্গত কারণে আমি এই সিনেমায় থাকতে পারছি না। ধন্যবাদ। ‘ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমার জন্য শুভকামনা।”
আরো পড়ুন:
চলচ্চিত্রে তিশা, সঙ্গী ‘থ্রি ইডিয়টস’ তারকা যোশি
আমাকে খারাপভাবে স্পর্শ করত, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে জনি লিভারের কন্যা
এর আগে পরিচালক জানান, চলতি মাসে সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন খায়রুল বাসার। কিন্তু এ অভিনেতার দাবি—“সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। শিডিউল মেলানোর চেষ্টা করছিলেন।”
খায়রুল বাসারের এমন বক্তব্যে হতবাক হয়েছেন পরিচালক রাজ। তার দাবি, “সিনেমাটির জন্য বাসার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কেবল তাই নয়, তার পারিশ্রমিকের এক চতুর্থাংশ অভিনেতাকে দেওয়া হয়েছে। এরপরও এসব কথা কেন বলছেন বুঝতে পারছি না। তবে আমি তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।”
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারতের দার্জিলিংয়ে সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে। টানা ২৩ দিন দৃশ্যধারণের কাজ চলবে। এরপর অক্টোবরে মুর্শিদাবাদে শুটিং হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
‘সাগরের জলদস্যু’ বলা হয় যে পাখিকে
সামুদ্রিক পাখি ম্যাগনিফিসেন্ট ফ্রিগেটবার্ড। বড় ঠোঁটওয়ালা এই পাখি অন্য পাখিদের নিজেদের খাদ্য বানানোর চেষ্টা করে। এই পাখি অন্য পাখিদের কাছ থেকে খাবার ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পরিচিত। তাই একে ‘সাগরের জলদস্যু’ বলা হয়।
এই পাখিরা খুব কমই পানিতে নামে। কারণ এদের জলরোধী পালক নেই, কিন্তু এরা দীর্ঘ দূরত্ব উড়তে পারে, এমনকি উড়ন্ত অবস্থাতেই ঘুমায়।
আরো পড়ুন:
পশুপাখিরা কী ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পায়?
বিরক্ত হলে গাছের চূড়ায় উঠে যায় ‘লাল ঝুটি টিয়া’
ম্যাগনিফিসেন্ট ফ্রিগেটবার্ড। ছবি: সংগৃহীত
একটি বড় ম্যাগনিফিসেন্ট ফ্রিগেটবার্ড-এর দৈর্ঘ্য ৮৯-১১৪ সেমি হতে পারে। এদের ডানার বিস্তার ২.৪৪ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। পুরুষ পাখির বুকের কাছে একটি উজ্জ্বল লাল থলির মতো অংশ থাকে। যা প্রজনন ঋতুতে নারী পাখিদের আকর্ষণ করার জন্য ফুলিয়ে তোলে।
এদের পা ছোট এবং দুর্বল। এরা উষ্ণ বাতাসের ওপর ভর করে দিনে প্রায় ২৫৫ মাইল পর্যন্ত উড়তে পারে, এবং উড়ন্ত অবস্থায়ই ঘুমায়।এরা উড়ন্ত মাছ, স্কুইড, টুনা, এবং অন্যান্য ছোট সামুদ্রিক প্রাণী পানি থেকে ধরে খায়।
এরা অন্য পাখিদের হয়রানি করে এবং তাদের মুখ থেকে সদ্য ধরা খাবার ছিনিয়ে নেয়, যার কারণে এদেরকে ‘সাগরের জলদস্যু’ বলা হয়।
ম্যাগনিফিসেন্ট ফ্রিগেটবার্ড সাধারণত গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলের মহাসাগরের কাছাকাছি বাস করে এবং ম্যানগ্রোভ বা নিচু গাছপালায় বাসা তৈরি করে। এরা প্রতি প্রজনন মৌসুমে একটি সাদা ডিম দেয়। এই পাখির সংখ্যা দিনকে দিন উল্লেখযোগ্যহারে কমে চলেছে।
সূত্র: অল অ্যাবাউট বার্ডস
ঢাকা/লিপি