বানিয়াচংয়ে বাছাই করে ‘পুলিশ হত্যা’, কী ঘটেছিল?
Published: 26th, July 2025 GMT
বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্রাম হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গত ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের দিন সংঘর্ষ, থানায় হামলা, পুলিশের গুলিতে গ্রামবাসীর মৃত্যুর পর সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর ‘পুলিশ হত্যা’র দাবি নিয়ে দর–কষাকষির এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। ওই দিন বিক্ষুব্ধ লোকজন বানিয়াচং থানায় আক্রমণ চালিয়ে অস্ত্র লুট ও অগ্নিসংযোগ করে এবং অর্ধশতাধিক পুলিশকে অবরুদ্ধ করা হয়।
এর আগে সেখানে পুলিশের গুলিতে অন্তত আট গ্রামবাসী নিহত হয়। পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর পর হাজার হাজার গ্রামবাসী থানা ঘেরাও করে সেখানে থাকা সব পুলিশকে হত্যার হুমকি দেয়।
দিনভর আলাপ–আলোচনার পর গভীর রাতে পুলিশের সদস্যদের থানার ভেতর থেকে উদ্ধারের সময় উপপরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ চৌধুরীকে বাছাই করে ছিনিয়ে নিয়ে থানা চত্বরেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন ৬ আগস্ট তাঁর মরদেহ থানার সামনে একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
বানিয়াচংয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা শেষ পর্যন্ত সন্তোষ চৌধুরীকে জনতার হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে অনঢ় অবস্থানে ছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় মানুষেরা।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি), জেলা প্রশাসক (ডিসি); এমনকি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতারা একযোগে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সন্তোষ চৌধুরীকে শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেননি।
ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘প্রথমে তারা সব পুলিশকে চাইতেছিল মারার জন্য, কিন্তু সেনাবাহিনী দেয় নাই। একপর্যায়ে তারা বলছিল যে “সন্তোষকে না দিলে আমরা রাস্তা ছাড়ব না। আপনারা একজনকেও নিয়ে যেতে পারবেন না।”’
ওই দিন থানায় অবরুদ্ধ পুলিশের অর্ধশতাধিক সদস্যকে উদ্ধার করে নিরাপদে হবিগঞ্জে সরিয়ে নেয় সেনাবাহিনী। বানিয়াচং থানা থেকে সেদিন সেনাসহায়তায় উদ্ধার হওয়া একজন পুলিশ কর্মকর্তা মো.
এ ঘটনার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এসআই সন্তোষকে কেন টার্গেট করা হলো, তার পেছনে দুটি বিষয় কাজ করেছে। প্রথমত, ৫ আগস্ট গুলি করা এবং এলাকায় পুলিশ হিসেবে তাঁর অতীত ভূমিকা। উদ্ধার হওয়া পুলিশ কর্মকতা জানান, ওই দিন গুলি চালিয়ে একাধিক মানুষ হত্যার দায়ে সন্তোষ চৌধুরীকে অভিযুক্ত করা হয়। এ ছাড়া অতীতের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়েও একটি অংশ তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল বলে জানান এলাকার লোকজন।
বানিয়াচংয়ের স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী বলেন, তাঁর (এসআই সন্তোষ) ওপর কিছু মানুষের ক্ষোভ ছিল। ‘সে অনেক মানুষরে জ্বালাইছে। যারা আওয়ামী লীগ ভিন্ন আছিল, তাদের ধরছে, টেকা–পয়সা আদায় করছে। তার প্রতি ক্ষোভ ছিল।’
থানার কাছে গ্রামের একজন বাসিন্দা অবশ্য ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তোষকে টার্গেট করার বিষয়টি সামনে আনেন। তাঁর ভাষায়, ‘থানা থেকে সে (এসআই সন্তোষ) মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাইত। মাদক ব্যবসায়ী যারা আছে, তাদের সে গ্রেপ্তার করত। আইনের আওতায় আনত। কোর্টে দিত। একজন যদি ব্যবসার মধ্যে ক্ষতি করে, তারে চাইব জড়ানোর লাগি। যারা মাদকের ব্যবসা করে, তারাই উঠাল “সন্তোষ চাই, সন্তোষ চাই।”’
সন্তোষ কেন গুলি করতে গেলেন, এ প্রশ্নের জবাবে থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে সন্তোষ ভেবেছিল, গুলি করলে ওরা চলে যাবে। হাজার হাজার মানুষ থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল মারতেছিল, থানা পোড়ায় দিছিল। যে দোতলা বিল্ডিং, তার প্রত্যেকটা রুম আগুন দিয়ে পোড়ায় দিছিল। নিচতলায় আগুন, ওপর তলায় একটা রুমে আমরা বন্দী ৬০–৬৫ জন। নিচে অস্ত্রাগার পুড়তেছিল আর ধোঁয়া আমাদের চোখে–মুখে লাগতেছিল। হয়তো আর ১০–১৫ মিনিট থাকলে আমরা শ্বাসকষ্টে মারা যাইতাম। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের মতো ঘটনা ঘটত আরকি।’
৫ আগস্ট সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের উপস্থিতির পরও সন্তোষকে কেন রক্ষা করা গেল না, সে রকম জিজ্ঞাসা আছে তাঁর পরিবারের। তাঁর বাবা বলেন, ‘সেনাবাহিনী উদ্ধার করতে গেছে, আমরা শুনেছি; তো যাওয়ার পর অন্যরা সবাই আসছে, ও একাই রয়ে গেছিল। প্রশ্ন জাগে, কিন্তু সদুত্তর পাই না।’
সন্তোষ চৌধুরী পরিবারের একমাত্র ছেলে। মৃত্যুর ১০ মাস আগে তিনি বিয়ে করেন। মৃত্যুর তিন মাস পর তাঁর একটি সন্তান হয়েছে। সন্তোষের মা বলেন, ‘আমার ছেলে তো চাকরিতে গেছিল। চাকরি করছিল। এটা তো আমার মা হইয়া অনবরত প্রশ্ন জাগে যে সব বাঁচল, আমার ছেলে কেনে বাঁচল না। কেনে আসল না?’
বানিয়াচং থানায় হামলা এবং পুলিশ হত্যায় গত বছরের ২২ আগস্ট পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে। সে মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বানিয়াচং থানার পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, মামলা তদন্তের অগ্রগতি সামান্য, কোনো গ্রেপ্তারও নেই।
এ রকম ঘটনা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ‘ও মাই গড! এটা তো হতে পারে না। এটা হতে পারে না। হয়তোবা পুলিশটা দোষী। হয়তোবা ওই পুলিশ অনেক বাড়াবাড়ি করেছে। বিচার করেন। বিচার করে তাকে শাস্তি দেন। দিয়ে জেলে রাখেন, এটাই তার শাস্তি। আপনি যদি তাকে মেরে ফেলেন, আপনি তো একটা এনার্কিকে উৎসাহিত করলেন।’
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সময় বাংলাদেশ পুলিশের কমপক্ষে ৪৪ জন সদস্য নিহত হন বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়। পুলিশের এই সদস্যদের অনেকেই সহিংস হত্যার শিকার হন। বিভিন্ন স্থানে, এমনকি থানার মধ্যে আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন পুলিশের সদস্যরা। জুলাই-আগস্টে পুলিশের বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পুলিশের ওপর মানুষের ব্যাপক ক্ষোভ কাজ করেছিল। কিন্তু তার জন্য এভাবে হত্যা কাম্য নয় বলে মনে করেন আইনবিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবীরা।
মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী এলিনা খান বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। যাঁরা সম্পৃক্ত, তাঁদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। একটা হত্যা, যেটাই হোক না কেন, সবকিছুরই কিন্তু একটা ডায়েরি থাকা উচিত এবং সেটা লিপিবদ্ধ হওয়া উচিত। সেটা থেকে কী ঘটনা ঘটেছিল, তার তদন্ত হোক, চার্জশিট হোক অথবা ফাইনাল রিপোর্ট হোক; যেটাই হোক না কেন, সেটাও কিন্তু থাকা উচিত। কারণ, এটা তো ইতিহাস, এই ইতিহাস অনেক বছর যাবে।’
থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের সদস্য মেরে ফেলার ঘটনায় মামলার অগ্রগতি নেই। এ ছাড়া ২০২৪ সালের অক্টোবরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় একপ্রকার দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলেও সমালোচনা আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাফিজুর রহমান বিবৃতির খবর দেখিয়ে বলেন, ‘মামলা করতে পারবেন না, গ্রেপ্তার করা যাবে না, হয়রানি তো প্রশ্নই ওঠে না। এইটাই তো দায়মুক্তি। ১৫ জুলাই থেকে শুরু করে ৮ আগস্ট পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেটা কি আপনার আইনের লঙ্ঘন, সেটা কি আপনার এমন কোনো ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে যে আপনি সেটাকে দায়মুক্তি দিলেন? সুতরাং অনেকগুলো প্রশ্নের কিন্তু আমরা কোনো উত্তর পাই না।’ এ ধরনের দায়মুক্তি টিকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি কোনো ফৌজদারি অপরাধ করে থাকে, সে ক্ষেত্রে দায়মুক্তি দেওয়া যায় না। এগুলো টিকবে না।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র মব স সদস য তদন ত ব যবস আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশের খসড়াটি সচিব কমিটির মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশনের কাঠামো ও কার্যক্রমের খসড়া তৈরি করেছে।
খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এই কমিশনের চেয়ারপারসন হবেন। সদস্য থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ; গ্রেড-২ পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা; পুলিশ একাডেমির একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ; আইন, অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ের একজন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক; ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন একজন মানবাধিকারকর্মী।
আরও পড়ুনপুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে স্বাধীন কমিশন অপরিহার্য৮ ঘণ্টা আগেকমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন।কমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন। সদস্যরা যোগদানের দিন থেকে চার বছর নিজ নিজ পদে থাকবেন। মেয়াদ শেষে কোনো সদস্য আবার নিয়োগের যোগ্য হবেন না।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, পুলিশ কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বলা হয়েছে—এই কমিশন যেকোনো কর্তৃপক্ষ বা সত্তাকে কোনো নির্দেশ দিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সত্তা অনধিক তিন মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। তবে কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো অসুবিধা হলে সে ক্ষেত্রে নির্দেশ বা সুপারিশ পাওয়ার অনধিক তিন মাসের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। কমিশন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে যে নির্দেশ বা সুপারিশ পাঠাবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ বা সুপারিশ কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে কমিশনকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুনকোনো দল নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে আইন ও দেশের প্রতি৯ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।এই কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য সাত সদস্যের সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। খসড়া অধ্যাদেশে প্রধান বিচারপতির মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মনোনীত একজন সরকারদলীয় এবং একজন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যকে বাছাই কমিটিতে রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ন্যূনতম পাঁচ সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হওয়া ও বাছাই কমিটির বাছাই প্রক্রিয়া শুরুর ৩০ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে।
আরও পড়ুন‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’ তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা১৭ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ খসড়ায় কমিশন প্রতিষ্ঠা, কার্যালয়, সদস্যদের নিয়োগ, মেয়াদ, কমিশনের সদস্য হওয়ার জন্য কারা অযোগ্য, সদস্যদের পদত্যাগ, অপসারণ, পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধি, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান-নিষ্পত্তি, পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসন, পুলিশপ্রধান নিয়োগ, আইন-বিধি, নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা বিষয়েও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনমাঝেমধ্যে শুনতে হয়, ‘উনি কি আমাদের লোক’: আইজিপি১৭ ঘণ্টা আগে