রূপগঞ্জে এলাকাবাসীর সম্মিলিত চাপে স্ট্যাম্পে লিখিত মুচলেকা দিয়ে মাদকের কারবার ছাড়ার অঙ্গীকার করেছেন ৭জন মাদক কারবারি।  শনিবার (২৬ জুলাই) বিকালে তারাব পৌরসভার মৈকুলী বাজারে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে তারা এ অঙ্গীকার করেন। 

 অঙ্গীকারকারীরা হলেন হোসেন আলী প্রধানের ছেলে আলী আজগর, একই এলাকার বারেক মিয়ার মেয়ে সুফি বেগম, রাবি বেগম, সাদ্দাত ভূঁইয়ার ছেলে শ্যামল, কালা চান্দের ছেলে রিপন মিয়া, নুরু মিয়ার ছেলে বিল্লাল ও সায়েদ আলীর ছেলে আলম মিয়া। এরা সকলেই উপজেলা তারাব পৌরসভার মৈকুলি গ্রামের বাসিন্দা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তারাব পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত তাদের লোকজন দিয়ে খুচরা ও পাইকারিভাবে মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছিলো। এতে করে এলাকায় মাদক সেবীদের আনাগোনায় এলাকা অশান্ত ও নিরাপত্তাহীন হয়ে উঠেছিল।

এলাকায় শান্তি ফেরাতে গত বৃহস্পতিবার রাতে মৈকুলী এলাকায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ এলাকাবাসী মাদকবিরোধী একটি সভার আয়োজন করে। 

সভায় সিদ্ধান্ত হয় মৈকুলী এলাকায় কাউকে মাদক ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। এর প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ৪২ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। এতে মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়। এলাকাবাসীর সম্মিলিত চাপের মুখে এ ৭ মাদক ব্যবসায়ীরা সরকারি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। 

মৈকুলি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি জাহাঙ্গীর আলম হানিফ জানান, দীর্ঘদিন যাবত এই মাদক বিক্রেতা চক্রটি এলাকার পরিবেশ বিষিয়ে তুলেছিল। তাই আমরা সকলে মিলে এলাকাকে মাদক মুক্ত করার বিষয়ে কাজ শুরু করি। এরই ফলশ্রুতিতে আমরা দুই মাদক কারবারিকে ৪২ পিস ইয়াবাসহ ধরে পুলিশের সোপর্দ করি।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, মাদক ব্যবসা রোধে এ ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই ভাল। তবে এ সময় যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়। মাদক রোধে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ এল ক ব স এল ক য় ক রব র

এছাড়াও পড়ুন:

৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।

প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।

আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।

প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।

পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—

পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’

আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ