হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর ওই গৃহবধূর দেবর পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত নারীর নাম আলম বেগম (৩০)। তিনি ওই গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী সেতু মিয়ার স্ত্রী। পুলিশ ও নিহতের পরিবারের বরাতে জানা গেছে, রোববার রাতে ঘটনার সময় আলম বেগম বাড়িতে একা ছিলেন। তাঁর স্বামী ও ১২ বছর বয়সী ছেলে ব্যবসায়িক কাজে স্থানীয় বাজারে গিয়েছিলেন। রাত আটটার দিকে বাজার থেকে বাড়ি ফিরে ছেলে দেখেন, ঘরের মেঝেতে তাঁর মায়ের গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে। আশপাশে রক্তের চিহ্ন। তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। আজ সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহতের স্বামী সেতু মিয়া বলেন, ঘটনার সময় তিনি ও তাঁর ছেলে বাড়িতে ছিলেন না। রাতে তাঁর ছেলে ঘরে এসে এ দৃশ্য দেখে তাঁকে খবর দেয়। তাঁর ধারণা, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর পেছনে তাঁর ভাই জড়িত থাকতে পারে।

পইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল জলিল বলেন, সেতু মিয়া ও তাঁর ভাই কদর আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। স্থানীয়ভাবে কয়েকবার মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম শাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, পারিবারিক বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। নিহত আলম বেগমের সঙ্গে তাঁর দেবর কদর আলীর সম্পর্ক ভালো ছিল না। ঘটনার পর থেকে কদর আলী পলাতক। তাঁকে আটক করতে পারলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

হামফ্রে ফেলোশিপ–ডাড স্কলারশিপ–আইডিবির প্রশিক্ষণ, আবেদন শেষ ৩১ জুলাই

আমেরিকা হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ, জার্মান সরকারের ডাড হেলমুট-শ্মিট মাস্টার্স স্কলারশিপ এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশন ওয়াক্ফ আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ে আবেদন চলছে। তিনটির আবেদনের সুযোগ আছে আর দুদিন। আগামীকাল ৩১ জুলাই শেষ হবে হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ, ডাড হেলমুট-শ্মিট মাস্টার্স স্কলারশিপ এবং আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের। আবেদনের পদ্ধতিসহ জেনে নিন এসব বৃত্তি ও ফেলোশিপের বিস্তারিত তথ্য।

১. হামফ্রে ফেলোশিপ: মাসিক ভাতাসহ ১০ মাস আমেরিকায় পড়াশোনার সুযোগ

১০ মাসের হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপে বেসরকারি সংস্থাসহ সরকারি ও বেসরকারি খাতে পেশাজীবীরা আবেদন করতে পারবেন।

ফেলোশিপের সুযোগ-সুবিধা—

নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ টিউশন ফি দেওয়া হবে;

প্রয়োজন হলে প্রাক্‌-একাডেমিক ইংরেজি ভাষা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে;

জীবনযাত্রার ব্যয় ভাতা;

এককালীন সেটলিং ভাতা;

দুর্ঘটনা ও অসুস্থতাজনিত ব্যয় ভাতা;

বই কেনার খরচ;

কম্পিউটার কেনার জন্য এককালীন ভাতা;

বিমান ভ্রমণ ভাতা (প্রোগ্রামের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ইভেন্টে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ;

ফেলোশিপের জন্য প্রয়োজনীয় পেশাদার উন্নয়ন ভাতা যেমন ফিল্ড ট্রিপ, পেশাদার পরিদর্শন ও সম্মেলন।

আরও পড়ুনএসএসসি উত্তীর্ণদের শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক, মাসে আড়াই হাজার টাকা, মিলবে ২ বছর১৩ জুলাই ২০২৫আবেদনকারীর যোগ্যতা—

আবেদনকারীকে অবশ্যই তরুণ ও মধ্য পর্যায়ের নেতৃত্বশীল পদে থাকা পেশাজীবী হতে হবে, যার জনসেবায় দৃষ্টান্তমূলক কাজ ও পেশাগত জীবনে অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন, এমন কেউ আবেদন করতে পারবেন না

পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে চার বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার সনদ থাকতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জনের পর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ বছর পূর্ণকালীন কাজ করার পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (২০২৫ সালের আগস্টের আগে) এবং তাঁদের শিক্ষা ও কাজসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের নীতিগত দিকগুলোয় আগ্রহ থাকতে হবে

শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা একাডেমিক গবেষক এই ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না। তাঁদের অবশ্যই ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (ব্যতিক্রম হিসেবে বিবেচিত হবেন যদি কেউ বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখানোর দায়িত্ব পালন করেন)।

২০২৬ সালের আগস্টের আগে সাত বছরের মধ্যে আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্নাতক স্কুলে এক শিক্ষাবর্ষ বা তার বেশি সময়ের জন্য লেখাপড়ায় অংশ নিয়ে থাকলে তিনি এই ফেলোশিপের জন্য অযোগ্য হবেন।

২০২৬ সালের আগস্টের আগে পাঁচ বছরের মধ্যে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি এই ফেলোশিপের জন্য যোগ্য হবেন না।

ইংরেজি লেখা ও কথা বলা উভয় ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে এবং টোয়েফল স্কোর (ইন্টারনেটভিত্তিক) হতে হবে। প্রার্থীদের যাঁদের টোয়েফল স্কোরের বৈধ মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাঁদের নির্বাচনপ্রক্রিয়া শেষে টোয়েফল পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। (আমেরিকান সেন্টার কেবল নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য টোয়েফল পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে।)

আবেদনকারীকে অবশ্যই ফেলোশিপের জন্য নির্ধারিত প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও প্রতিশ্রুতি দেখানোর পাশাপাশি এ কথাও জানাতে হবে যে তিনি কীভাবে এই ফেলোশিপ থেকে উপকৃত হবেন, যা তিনি আগে কখনো হননি এবং হামফ্রে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাড়া এমন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ তাঁর নেই।

ফেলোশিপ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে।

ফাইল ছবি প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ