বন্দরে ইয়াবাসহ ৫ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
Published: 29th, July 2025 GMT
বন্দরে পৃথক অভিযানে ১৮০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৫ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার পূর্ব কুশিয়ারা এলাকার রবিউল মিয়ার ছেলে পায়েল (৩১) ফতুল্লা থানার জালকুড়ি এলাকার ওমর চাঁদ মিয়ার ছেলে আলম (৩৩) ও একই থানার তল্লা এলাকার আল আমিন মিয়ার ছেলে বাহাদুর (৪২) বন্দর থানার রুপালী আবাসিক এলাকার এমদাদ মিয়ার ছেলে পাভের (২৬) ও সালেনগর এলাকার মৃত শফিউদ্দিন মিয়ার ছেলে ফয়সাল ওরফে গাড়ী ফয়সাল (২৩)।
বন্দরে পৃথক স্থান থেকে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মাদক আইনে ৩টি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে উল্লেখিত মাদক মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে গত সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে বন্দর থানার কুশিয়ারা, রুপালী ও সালেনগর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে বন্দর থানার এসআই শহিদুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স কুশিয়ারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী পায়েল, আলম ও বাহাদুরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
অপর দিকে বন্দর ফাঁড়ি উপ পরিদর্শক আরিফ তালুকদারসহ সঙ্গী ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সালেনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদত কারবারি ফয়সাল ওরফে গাড়ী ফয়সালকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ ছাড়াও বন্দর থানার উপ পরিদর্শক ইদ্রিস আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স একই রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রুপালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০পিস ইয়াবাসহ মাদক বিক্রেতা পাভেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র প ত র কর এল ক য় এল ক র ফয়স ল
এছাড়াও পড়ুন:
সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন
প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।
জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।
অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।
কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।
সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।