ভারতীয় বাংলা বা হিন্দি গানের প্রবাদ পুরুষ কিশোর কুমার। তার আসল নাম আভাস কুমার গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু গায়ক নয়, প্রযোজক, নির্দেশক, সুরকার, গীতিকার, অভিনেতা হিসেবেও সমান জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। ১৯২৯ সালের ৪ আগস্ট মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়াতে জন্মগ্রহণ করেন কিশোর কুমার। বেঁচে থাকলে আজ ৯৬ বছর পূর্ণ করতেন বরেণ্য এই শিল্পী।
কিশোর কুমারের গোটা পরিবারই বিখ্যাত। বাবা কুঞ্জলাল গাঙ্গুলি ও মা গৌরি দেবী। এই দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ কিশোর কুমার। তার বড় ভাই অশোক কুমার ছিলেন হিন্দি ও বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা। তার আরেক ভাই অনুপ কুমারও ছিলেন বড় মাপের অভিনেতা। তিনি ৭৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কিশোর কুমার যেমন গেয়েছেন হিন্দি সিনেমায়, তেমনি আলোড়ন তুলেছেন বাংলা সিনেমায়ও। ‘এ আমার গুরু দক্ষিণা’, ‘আমার পূজার ফুল’, ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’, ‘কারো কেউ নইকো আমি’, ‘এক পলকের একটু দেখা’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান গেয়েছেন তিনি। তার গানের মাঝেই অমর হয়ে আছেন এই শিল্পী।
কিশোর কুমারের গাওয়া আরো কিছু কালজয়ী বাংলা গান রয়েছে। যেমন—‘আকাশ কেন ডাকে’, ‘সে যেন আমার পাশে আজো বসে আছে’, ‘সে তো এলো না’, ‘মোর স্বপনের সাথী তুমি কাছে এসো’, ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’, ‘হাওয়ায় মেঘ সরায়ে’, ‘সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা’, ‘আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো’, ‘তোমরা যতই আঘাত করো’, ‘ওগো নিরুপমা’, ‘তোমার পড়েছে মনে’, ‘ও পারে থাকব আমি’, ‘তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে’, ‘নয়ন সরসী কেন ভরেছে জলে’, ‘পৃথিবী বদলে গেছে’, ‘কি আশায় বাঁধি খেলাঘর’, ‘চোখের জলের হয়না কোনো রঙ’, ‘এত কাছে দুজনে’, ‘এই যে নদী যায় সাগরে’, ‘আমি যে কে তোমার’, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, ‘আমার পূজার ফুল’, ‘আশা ছিল ভালোবাসা ছিল’, ‘আমারো তো গান ছিল’, ‘আধো আলো ছায়াতে’, ‘আমি দুঃখকে সুখে ভেবে বইতে পারি’ ইত্যাদি। এমন অনেক জনপ্রিয় গান কান পাতলেই শোনা যায় এখনও।
আরো পড়ুন:
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার: শাহরুখ-রানী-বিক্রান্ত কত টাকা পাবেন?
সাইয়ারা: ১৭ দিনে আয় ৬৩৫ কোটি টাকা
কিশোর কুমার বাংলা-হিন্দি ছাড়াও মারাঠি, অসমীয়া, গুজরাটি, কন্নড়, ভোজপুরি, মালায়লাম, ওড়িয়া, এবং উর্দুতেও গান গেয়েছেন। তার ব্যক্তিগত অ্যালবামেও বিভিন্ন ভাষায় গান করেছেন, বিশেষত তার বাংলা গানগুলো সর্বকালের ধ্রুপদী গান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ৮ বার শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন। একই বিভাগে সর্বাধিক ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ের রেকর্ড করেছেন। তাকে মধ্যপ্রদেশ সরকার কর্তৃক লতা মঙ্গেশকর পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং তার নামে হিন্দি চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য কিশোর কুমার পুরস্কার চালু করা হয়।
গায়ক হিসেবে তাকে দেখা হলেও হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের একজন গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতাও ছিলেন কিশোর কুমার। তার অভিনীত বিখ্যাত কমেডি চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে—‘বাপ রে বাপ’, ‘চলতি কা নাম গাড়ি’, ‘হাফ টিকিট’, ‘পড়োশন’, ‘হাঙ্গামা’, ‘পেয়ার দিওয়ানা’, ‘বাড়তি কা নাম দাড়ি’ ইত্যাদি। এছাড়া তার অভিনীত অন্যান্য জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে রয়েছে—‘নোকরি’, ‘বন্দী’, ‘দূর গগণ কি ছাঁও মে’, ‘দূর কা রাহি’ প্রভৃতি।
কিশোর কুমার শুরুতে অভিনেতা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলেও গায়ক হিসেবেই প্রতিষ্ঠা পান। কিশোর কুমার নিয়ে রয়েছে অনেক রটনা-ঘটনা। যেমন—অশোক কুমারের কাছে একটি ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলেন গায়ক-সংগীত পরিচালক শচীন দেব বর্মণ। সেখানে কিশোর কুমারকে গাইতে শুনে সেদিনই সিনেমায় গান গাওয়ার জন্য রাজি করান। আবার ৭০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে একটি সিনেমায় অতিথি শিল্পী হিসেবে অভিনয়ে অস্বীকৃতি জানালে অমিতাভ বচ্চনের জন্য গান না গাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কিশোর কুমার।
১৯৭৫-৭৭ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করে রাষ্ট্রীয় সব অনুষ্ঠান ও মাধ্যম থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন কিশোর কুমার। রেডিওতে তার গান প্রচার বন্ধ করা হয়, এমনকি দ্বৈত সংগীতগুলো থেকে তার গাওয়া অংশগুলো কেটে বাদ দেওয়া হয়। মধুবালাকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নাম নেন করিম আবদুল।
যত বড় পরিচালকই হোক না কেন, সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক না পাওয়া পর্যন্ত গান রেকর্ডিং করতেন না কিশোর কুমার। লতা মুঙ্গেশকরের অসম্ভব ভক্ত ছিলেন তিনি। তার সম্মানে সব সময় পারিশ্রমিক নিতেন লতার চেয়ে ১ রুপি কম। তার অভিনয়ে পাগলামির ছাপ ছিল স্পষ্ট, যা তিনি ইচ্ছা করেই তৈরি করেছিলেন। এমনকি খান্ডোয়ায় তার বাড়ির সামনে নিজেই ‘মেন্টাল হসপিটাল’ লেখা সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলেন।
সংগীত জীবনে চরম সাফল্যের মাইলফলক ‘আরাধনা’ সিনেমা। ১৯৬৯ সালে ‘আরাধনা’ মুক্তি পায়। এই সিনেমার নায়ক ছিলেন নবাগত রাজেশ খান্না। রাজেশ খান্নার জন্য এই সিনেমায় কিশোর তিনটি গান গেয়েছিলেন। এর মধ্যে ‘কোরা কাগজ থা ইয়ে মন মেরা’ গানটি লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে গেয়েছিলেন। বাকি দুটো হলো—‘রূপ তেরা মাস্তানা’ এবং ‘মেরে সপনো কি রানী’। তিনটি গানই দারুণ জনপ্রিয়তা পায় এবং কিশোর কুমারের সংগীতজীবনকে অনেক উপরে উঠিয়ে দেয়। এই সিনেমায় ‘রূপ তেরা মাস্তানা’ গানের জন্য কিশোর প্রথমবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান।
পরবর্তী বছরগুলোতে কিশোর গায়ক হিসেবে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেন। সে সময়ে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত সব নায়ক যেমন রাজেশ খান্না, শশী কাপুর, ধর্মেন্দ্র, রণধীর কাপুর, সঞ্জীবকুমার এবং দেব আনন্দের গলায় তিনি গান গান। এই সময়ে শচীন দেব বর্মন এবং রাহুল দেব বর্মনের সুরে তিনি প্রচুর কালজয়ী গান গেয়েছেন। রাহুল দেব বর্মনের সুরে তিনি ‘বম্বে টু গোয়া’ সিনেমাতে প্রথমবারের জন্য অমিতাভ বচ্চনের জন্য গান করেন। ১৯৭৩ সালে অমিতাভের ‘অভিমান’ সিনেমার জন্য তার গাওয়া গানগুলো সুপারহিট হয়। এরফলে পরবর্তী মেগাস্টার অমিতাভের নেপথ্য গায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
কিশোর কুমারের এই সাফল্যের পর বলিউডের অন্য সুরকারেরাও তাকে নিজেদের প্রধান গায়ক হিসেবে বেছে নেন। এদের মধ্যে প্রধান ছিলেন লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলাল জুটি। গীতিকার আনন্দ বক্সী সুরকার লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলাল এবং কিশোর কুমার জুটি রাজেশ খান্নার সিনেমার জন্য বেশ কিছু অনবদ্য সংগীত উপহার দেন। যেমন: দাগ, রোটি, হাতি মেরে সাথি। লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলালের সুরেই কিশোর ও মোহাম্মদ রফি একসঙ্গে গান করেন এবং কিশোর ও লতা মঙ্গেশকরের বেশ কিছু ভালো ডুয়েট গান তৈরি হয়।
কিশোর কুমার এবং সুরকার কল্যাণজি-আনন্দজি জুটিও বেশ কিছু হিট গান উপহার দেন। যেমন—ধর্মাত্মা, লাওয়ারিস, কাবিলা, জনি মেরা নাম, ডন, কাগজ, সফর, মুকাদ্দর কা সিকান্দর প্রভৃতি সিনেমার গান। সত্তর এবং আশির দশকজুড়ে অব্যাহত থাকে কিশোরের জয়যাত্রা। নতুন অল্প বয়সি নায়ক যেমন: ঋষি কাপুর এবং সঞ্জয় দত্তের জন্যও সফল গান উপহার দেন। রাহুলদেব বর্মনের সুরেই কিশোর কুমার সবচেয়ে বেশি হিট গান উপহার দিয়েছেন।
রাহুল এবং কিশোর জুটির কিছু অনবদ্য সিনেমার নাম হল—শোলে, ওয়ারেন্ট, হীরা পান্না, শরীফ বদমাশ, আঁধি, রকি, দ্য বার্নিং ট্রেন, আপকি কসম, আপনা দেশ, ধরম করম, টক্কর, সীতা আউর গীতা, জোশিলা, কসমে ভাদে, রামপুর কা লক্ষ্মণ, কালিয়া, গোলমাল প্রভৃতি। নতুন সুরকার যেমন রাজেশ রোশান এবং বাপ্পি লাহিড়ির সুরেও তিনি বেশ কিছু হিট গান গেয়েছেন। রাজেশ রোশানের সুরে—দো অর দো পাঁচ, দুসর আদমি, মনপসন্দ, এবং বাপ্পি লাহিড়ির সুরে—নমক হালাল এবং শরাবী সিনেমার গান উল্লেখযোগ্য।
হিন্দির পাশাপাশি প্রচুর জনপ্রিয় বাংলা সিনেমাসহ বাংলা আধুনিক গানও গেয়েছেন কিশোর কুমার। প্লেব্যাক করা বাংলা সিনেমার মধ্যে রয়েছে—অমরকন্টক, আশ্রিতা, অনিন্দিতা, অমর সঙ্গী, কবিতা, গুরুদক্ষিণা, জীবন মরণ, জ্যোতি, তুমি কত সুন্দর, দোলন চম্পা, পাপ পুণ্য, বান্ধবী, মিলন তিথি, মোহনার দিকে, সংকল্প, সুরের আকাশে ইত্যাদি।
ব্যক্তিগত জীবনে চারবার বিয়ে করেছেন কিশোর কুমার। রুমা গুহ ঠাকুরতা (১৯৫০-১৯৫৮), মধুবালা (১৯৬০-১৯৬৯), যোগিতা বালি (১৯৭৫-১৯৭৮) এবং লীনা চন্দাভারকর (১৯৮০-১৯৮৭)। কিশোরের প্রথম পুত্র অমিত কুমারের মা রুমা গুহ ঠাকুরতা। অমিত কুমারও একজন বিখ্যাত গায়ক। যোগিতা বালি পরবর্তীতে মিঠুন চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন। কিশোর কুমারের ছোট ছেলে সুমিত কুমারও (লীনা চন্দাভারকর) একজন গায়ক।
কিশোর কুমার সর্বমোট ২,৭০৩টি গান গেয়েছেন, যার মধ্যে ১১৮৮টি হিন্দি চলচ্চিত্রে, ১৫৬টি বাংলা এবং বাকি তেলেগু ও অন্যান্য ভাষায়। ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর ৫৮ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এই মহান শিল্পীর মৃত্যুবরণ করেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র প রস ক র চলচ চ ত র ন র জন য উপহ র দ জনপ র য় স রক র কর ছ ন লক ষ ম গ শকর
এছাড়াও পড়ুন:
সনদ বাস্তবায়নে আবারো কমিশনের সভা আয়োজনের দাবি
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন অধ্যাদেশ ২০২৫-এর সুপারিশ চূড়ান্ত করতে আবারো ঐকমত্য কমিশনের সভার আয়োজন করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর তোপখানা রোডে নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “জুলাই অভুত্থান থেকে উঠে আসা সংস্কার আকাঙ্খা বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘ পাঁচ মাস যাবৎ ঐকমত্য সভায় আলাপ আলোচনার পর ঐক্য কমিশন তার জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। ঐক্য কমিশন যে ঐক্যকে সামনে রেখে প্রায় এক বছর যাবৎ তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছে বাস্তবায়নের সুপারিশ সেই ঐক্যকে একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে নিয়ে ফেলেছে।
‘চ্যালেঞ্জের মূল কারণ হচ্ছে ঐক্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যেটুকু আলোচনা হয়েছিল সেখানে এই প্রস্তাবে উল্লেখিত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া উপস্থাপন করা হয় নাই। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছনোর পর যদি এই প্রস্তাব জাতির সামনে হাজির করা হতো সেক্ষেত্রে এই চ্যালেঞ্জ আমরা পরিহার করতে পারতাম।”
এতে আরো বলা হয়, “ঐকমত্য কমিশনে বাস্তবায়ন নিয়ে আলাপে রাজনৈতিক দলগুলো গণভোটের মাধ্যমে পরবর্তী সংসদকে সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল কিন্তু যেসব প্রস্তাবে কিছু কিছু দল আপত্তি জানিয়েছিল সেগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন হবে সেই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয় নাই।
‘এমতাবস্থায় সংস্কার প্রস্তাবে লিপিবদ্ধ আপত্তির বিষয়গুলোকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ থাকে মুছে দেওয়াতে স্বাভাবিক কারণেই রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মনে করে দ্রুত আমরা এই সুপারিশ থেকে বের হয়ে না আসলে রাজনৈতিক দলগুলোর এক অংশের ভেতরের যৌক্তিক ক্ষোভ পরবর্তীতে দেশের মানুষের ভেতর সঞ্চালিত হয়ে পড়বে।”
এতে বলা হয়, “সারা দেশের মানুষ যখন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে তখন রাজনৈতিক দলগুলোর একাংশের প্রতি কৃত অন্যায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। আর নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠলে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে এবং দেশের মানুষকে স্বৈরাচার সরকারের সময়ের চাইতে উন্নত কোনো জীবন উপহার দেওয়ার সুযোগ হারিয়ে যাবে।
‘বাংলাদেশ যাতে এই সংকটে গিয়ে না পড়ে সেজন্যে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, ঐক্য কমিশনকে দ্রুত তাদের এই সুপারিশ নিয়ে পুনরায় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐকমত্য সভার আয়োজন করার দাবি জানাচ্ছে। সংবিধান টেকসই এবং সর্বজনীন করার জন্য তাড়াহুড়া করা থেকে বিরত থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোই দেশ কাল ভেদে সংবিধান সংস্কারের একমাত্র পথ।”
“আমরা আশা করি ঐকমত্য কমিশন সঠিক বিবেচনাবোধকে গুরুত্ব দিয়ে দেশকে আসন্ন সংকট থেকে মুক্ত রাখতে প্রয়াস নেবে।” আশাবাদ ব্যক্ত করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এস