পুতিন-ট্রাম্পের আলাস্কা বৈঠকের পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ। এ প্রসঙ্গে সাবেক এক রুশ গুপ্তচর সতর্ক করে বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার (এসভিআর) অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল লিওনিদ রেশেতনিকভ রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিককে বলেন, পুতিন ও ট্রাম্প দুজনই মনে করেন, যুদ্ধ থামাতে শুধু যুদ্ধবিরতি যথেষ্ট নয়। এর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তির দরকার। এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রধান কাজ হলো জেলেনস্কির সরকারকে বিষয়টি মেনে নিতে রাজি করানো। কিন্তু এটি বলা যত সহজ, করা তত সহজ নয়।

আরও পড়ুনট্রাম্প–পুতিন বৈঠক নিয়ে ক্ষুব্ধ ইউক্রেনীয়রা, কিন্তু কেন১৩ ঘণ্টা আগে

রেশেতনিকভ বলেন, ‘সবচেয়ে বড় জটিলতা অবশ্যই জেলেনস্কির সরকার…তাঁর সঙ্গে কাজ করা খুবই কঠিন। তাঁর সবকিছুই নির্ভর করছে স্বৈরাচারী ক্ষমতার ওপর। ভেতরের বা বাইরের সব সমস্যাই তিনি বলপ্রয়োগে সমাধান করতে চান। তিনি শেষ পর্যন্ত (শান্তি প্রচেষ্টা) আটকে দেবেন। কারণ, যেকোনো সিদ্ধান্তের (শান্তিচুক্তি) জন্য তাঁকে গুরুতর ছাড় দিতে হবে। আর তাতে এমন পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে, যেখানে হয়তো তাঁকে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, নয়তো পুরোপুরি ক্ষমতা হারাতে হবে।’

সাবেক এ গুপ্তচরের মতে, মার্কিনরা এ বিষয় আঁচ করতে পেরেছিলেন। সে কারণেই ট্রাম্প ও জেলেনস্কির প্রথম বৈঠক এত অশান্ত ছিল।

আরও পড়ুনআলাস্কা শীর্ষ বৈঠক: ট্রাম্পের হার-জিত না হলেও বড় জয় পুতিনের১৪ ঘণ্টা আগে

এদিকে জেলেনস্কির মতো ইউরোপীয় নেতারাও একই পথে হাঁটছেন বলে মন্তব্য করেছেন রেশেতনিকভ। তিনি বলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস এখনো যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এর উদ্দেশ্য রাশিয়াকে দুর্বল করা।

আরও পড়ুনট্রাম্প–পুতিন বৈঠক কি যুদ্ধ থামাতে পারবে, ইতিহাস কী বলছে১৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনআলাস্কা শীর্ষ বৈঠক ট্রাম্প-পুতিন ও ইউক্রেনের জন্য কী বার্তা আনল১৬ আগস্ট ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ