মুহাম্মদ জিয়া-উল-হককে নিজের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ভেবেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো। এ বিশ্বাস থেকে তিনি জিয়াকে সেনাপ্রধান করেছিলেন। ভুট্টোর বিশ্বাসের মর্যাদা অবশ্য রাখেননি জেনারেল জিয়া। সেনাপ্রধান হওয়ার মাত্র এক বছরের মাথায় জিয়া তাঁরই নিয়োগকর্তা ভুট্টোকে নাটকীয়ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করেন।

রক্তপাতহীন কয়েক ঘণ্টার সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে বিতর্কিত বিচারের মাধ্যমে ভুট্টোকে ফাঁসিতে ঝোলান জিয়া। প্রতাপশালী সেনাশাসক জিয়ার নিজের জীবনও স্বাভাবিকভাবে শেষ হয়নি। এক ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে তাঁর জীবন ও স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। সামরিক উড়োজাহাজ ‘বিধ্বস্ত’ হয়ে তিনি নিহত হন। ঘটনাটি এখনো রহস্যঘেরা।

সাতজনকে ডিঙিয়ে সেনাপ্রধান

জিয়ার জন্ম ১৯২৪ সালের ১২ আগস্ট, ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধরের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে। তাঁর জন্মস্থানের এলাকাটি এখন ভারতের অন্তর্ভুক্ত।

বাবা মুহাম্মদ আকবর আলী। তিনি অবিভক্ত ভারতের দিল্লিতে আর্মি জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে কাজ করেছেন। জিয়ার স্কুল-কলেজের শিক্ষা সিমলায়। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন’স কলেজ থেকে ১৯৪৩ সালে বিএ পাস করেন। এরপর দেরাদুনের রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে কমিশন লাভ করেন তিনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন জিয়া। যুদ্ধকালে ১৯৪৫ সালে তৎকালীন বার্মা, মালায় ও ইন্দোনেশিয়ায় দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর জিয়ার পরিবার পাকিস্তানে চলে যায়। একই বছর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক প্রশিক্ষণ নেন জিয়া। ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় তিনি ১০১ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট কোয়ার্টার মাস্টার ছিলেন।

পরে ব্রিগেডিয়ার পদে থাকাকালে জিয়া ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত জর্ডানে পাকিস্তানের সামরিক প্রশিক্ষণ মিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় তিনি ডেপুটি ডিভিশন কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭৫ সালে জিয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল হন।

পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক জিয়ার উড়োজাহাজে কী হয়েছিল

মুহাম্মদ জিয়া-উল-হককে নিজের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ভেবেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো। এ বিশ্বাস থেকে তিনি জিয়াকে সেনাপ্রধান করেছিলেন। ভুট্টোর বিশ্বাসের মর্যাদা অবশ্য রাখেননি জেনারেল জিয়া। সেনাপ্রধান হওয়ার মাত্র এক বছরের মাথায় জিয়া তাঁরই নিয়োগকর্তা ভুট্টোকে নাটকীয়ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করেন।

রক্তপাতহীন কয়েক ঘণ্টার সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে বিতর্কিত বিচারের মাধ্যমে ভুট্টোকে ফাঁসিতে ঝোলান জিয়া। প্রতাপশালী সেনাশাসক জিয়ার নিজের জীবনও স্বাভাবিকভাবে শেষ হয়নি। এক ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে তাঁর জীবন ও স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। সামরিক উড়োজাহাজ ‘বিধ্বস্ত’ হয়ে তিনি নিহত হন। ঘটনাটি এখনো রহস্যঘেরা।

সাতজনকে ডিঙিয়ে সেনাপ্রধান

জিয়ার জন্ম ১৯২৪ সালের ১২ আগস্ট, ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধরের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে। তাঁর জন্মস্থানের এলাকাটি এখন ভারতের অন্তর্ভুক্ত।

বাবা মুহাম্মদ আকবর আলী। তিনি অবিভক্ত ভারতের দিল্লিতে আর্মি জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে কাজ করেছেন। জিয়ার স্কুল-কলেজের শিক্ষা সিমলায়। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন’স কলেজ থেকে ১৯৪৩ সালে বিএ পাস করেন। এরপর দেরাদুনের রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে কমিশন লাভ করেন তিনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন জিয়া। যুদ্ধকালে ১৯৪৫ সালে তৎকালীন বার্মা, মালায় ও ইন্দোনেশিয়ায় দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর জিয়ার পরিবার পাকিস্তানে চলে যায়। একই বছর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক প্রশিক্ষণ নেন জিয়া। ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় তিনি ১০১ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট কোয়ার্টার মাস্টার ছিলেন।

পরে ব্রিগেডিয়ার পদে থাকাকালে জিয়া ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত জর্ডানে পাকিস্তানের সামরিক প্রশিক্ষণ মিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় তিনি ডেপুটি ডিভিশন কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭৫ সালে জিয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল হন।

পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক

সম্পর্কিত নিবন্ধ