ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেছেন, “ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কারণে আজ আমরা একটি ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী। এতে আমাদের দায় অনেক বেড়েছে। এখন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের পথে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রবিবার (৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ এবং আইন অনুষদ আয়োজিত পৃথক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে উপজীব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সেমিনার আয়োজন সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.

মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

আরো পড়ুন:

বিসিএসে সার্কুলারে নেই আরবি বিভাগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ঢাবিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নিয়ে রচনা লিখে পুরস্কার পেলেন ৬ শিক্ষার্থী

বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের উদ্যোগে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ ফারুক মাল্টিপারপাস কনফারেন্স হলে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: অর্থনৈতিক শোষণ ও নৈতিক অবক্ষয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন।। বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

আইন অনুষদের উদ্যোগে ‘মানবাধিকার ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ শীর্ষক সেমিনার অনুষদের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক এতে স্বাগত বক্তব্য দেন। আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আবদুল্লাহ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. খুরশীদ আলম এবং অধ্যাপক ড, শাহনাজ হুদা আলোচনায় অংশ নেন। সেমিনারের শুরুতে জুলাই অভ্যুত্থানকে উপজীব্য করে আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অভিনীত ‘বিপ্লবটা ভেতরের’ শীর্ষক নাটিকা মঞ্চস্থ হয়।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের বেশ কিছু সেমিনার, সম্মেলন, স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জুলাই যোদ্ধাদের ঋণ স্বীকার এবং একাডেমিক প্রেক্ষাপট থেকে জুলাইকে বিশ্লেষণ করার লক্ষ্যে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জাতীয় আয়োজনগুলো শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এর একটি প্রায়োগিক রূপ আমরা দিতে চাই।”

তিনি বলেন, “সেমিনার থেকে উঠে আসা দিকনির্দেশনা, মতামত ও আলোচ্যবিষয়গুলো আমরা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চাই। এ ক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ঐক্য বিনষ্ট হওয়ার পরিণতি আমাদের সবারই জানা। তাই আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে ঐক্যই শক্তি।”

এছাড়া, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে আরসি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে ‘৩৬ জুলাই: বিপ্লবেই মুক্তি’, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগে ‘ফিরে দেখা জুলাই: গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক ন্যায়বিচারের ধারণা’ এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ‘স্মৃতিতে অম্লান জুলাই ২০২৪’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য আম দ র অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

আলোচনা অব্যাহত থাকা অবস্থায় কর্মসূচি দেওয়া স্ববিরোধিতা মনে করছে বিএনপি

জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অব্যাহত থাকা অবস্থায় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণাকে স্ববিরোধিতা বলে মনে করছে বিএনপি।

জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনসহ কয়েকটি দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামীসহ চারটি রাজনৈতিক দল। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি।

এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অব্যাহত আছে। এ অবস্থায় রাস্তায় কর্মসূচি দেওয়া অনেকটা স্ববিরোধিতা। তবে অবশ্যই যেকোনো দলের কর্মসূচি দেওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। তারা কর্মসূচি দিতে পারে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ

জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের দাবির মধ্যে জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষেও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এই নেতা বলেন, জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতির বিষয়টি কখনো ঐকমত্য কমিশনে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল না। এখন কোনো দল তাদের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে এটি নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতে চাইলে দিতে পারে। কিন্তু জনগণের নামে এক দলের আদর্শ বা দাবি অন্যদের ওপর আরোপ করা কতটা সঠিক, সেটা দেখতে হবে।

জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা বলেছি, শুধু প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা আমরা সমর্থন করি না। আগে আইন ছিল না, এখন আইন হয়েছে। কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হওয়া উচিত। এখন ঢালাওভাবে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে চাইলে তা কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না, সেটা জনগণ বিবেচনা করবে।’

শুরু থেকেই আমরা বলেছি, শুধু প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা আমরা সমর্থন করি না। আগে আইন ছিল না, এখন আইন হয়েছে। কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হওয়া উচিত। সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপি নেতা

সালাহউদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে আরও বলেন, এই আন্দোলন কাদের বিরুদ্ধে, সেটা দেখতে হবে। এটা কি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে, নাকি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে, নাকি বিএনপির বিরুদ্ধে? এটা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার কোনো কৌশল কি না, সেটাও দেখতে হবে। যারা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করার অধিকার আছে। তারা যদি রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে কর্মসূচি দেয়, তাদের মাঠের রাজনৈতিক বক্তব্যের জবাব বিএনপি মাঠের বক্তৃতার মাধ্যমেই দেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ
  • পাঁচ দফা দাবিতে খেলাফত মজলিসের গণ‌মি‌ছিল
  • নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আধুনিক প্রযুক্তিপণ্য নিয়ে ঢাকায় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু
  • খাজা শরফুদ্দীন চিশতির মাজারে হাত দিলে পরিণাম হবে ভয়াবহ: আহলে সুন্
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • প্রাথমিকে গানের শিক্ষক বাদ দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
  • মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন 
  • পনেরো বছরে থেমে গেল শিশুশিল্পীর জীবন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
  • আলোচনা অব্যাহত থাকা অবস্থায় কর্মসূচি দেওয়া স্ববিরোধিতা মনে করছে বিএনপি