জন্মদিনে কাজলকে কী বার্তা দিলেন অজয়?
Published: 5th, August 2025 GMT
বলিউড অভিনেত্রী কাজল। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ৫১ বছর পূর্ণ করে বায়ান্নে পা দিতে যাচ্ছেন। বিশেষ দিনে ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন কাজল। তার স্বামী অভিনেতা অজয় দেবগনও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ইনস্টাগ্রামে কাজলের সাদা-কালো দুটো ছবি পোস্ট করে মজার ছলে ভালোবাসার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন অজয়। তাতে তিনি লেখেন, “তোমাকে অনেক কিছু বলার ছিল। কিন্তু তুমি চোখ ঘুরিয়ে নেবে।” এরপর হাসির ইমোজি দিয়ে লেখেন, “সুতরাং…শুভ জন্মদিন প্রিয় কাজল।”
তবে শুধু অজয় নয়, কন্যা নিসাও সমাজিকমাধ্যমে মাকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন। কাজলের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে নিসা লেখেন, “আমার মা, শুভ জন্মদিন।” উত্তরে কাজল লেখেন, “ভালোবাসি সোনা।”
আরো পড়ুন:
শাহরুখ খানকে যে বার্তা দিলেন ফিফা সভাপতি
অনবদ্য গানে অমর কিশোর কুমার
ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন কাজল। তার পরিবার সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থাকায় খুব ছোটবেলায় রুপালি জগতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান তিনি। তার মা অভিনেত্রী তনুজা মুখার্জি ও বাবা পরিচালক সোমু মুখার্জি।
তার অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৯২ সালে, ‘বেখুদি’ সিনেমা দিয়ে। মুক্তির পর খুব একটা চলেনি। তারপরই শুরু হয় কাজলের বিজয়রথ। ১৯৯৩ সালে কাজ করেন শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘বাজিগর’ সিনেমায়। প্রথম সিনেমায় নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও ‘বাজিগর’ দিয়ে নিজের জাত চেনান। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি কাজলকে।
‘হালচাল’ সিনেমার সেটে অজয় ও কাজলের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেন তারা। ‘গুন্ডারাজ’ (১৯৯৫), ‘ইশক’ (১৯৯৫), ‘পেয়ার তো হোনা হি থা’ (১৯৯৮), ‘দিল কিয়া কারে’ (১৯৯৯), ‘রাজু চাচা’ (২০০০), ‘ইউ মি অউর হাম’ (২০০৮), ‘তুনপুর কা সুপারহিরো’ (২০১০) ইত্যাদি সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন এই জুটি। অজয়-কাজলের দুই সন্তান— মেয়ে নিসা ও ছেলে যুগ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ক জল অজয় দ বগন ক জল র
এছাড়াও পড়ুন:
ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে সিরিজ সমতায় দ. আফ্রিকা
অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরে এসেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ঝলক দেখালেন কুইন্টন ডি কক। তার ঝলমলে ইনিংসের কল্যাণে ফয়সালাবাদে পাকিস্তানকে একেবারে পাত্তাই দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় জয়ে সমতায় ফিরেছে প্রোটিয়ারা।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ৯ উইকেটে ২৬৯ রানের সংগ্রহ গড়ে। জবাবে ৫৯ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ম্যাথু ব্রিটজকের দল। এই জয় দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। এর চেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড তাদের আছে কেবল ২০২৩ বিশ্বকাপে চেন্নাইয়ে (২৭১ রান)।
রান তাড়ায় ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ছিল দারুণ আগ্রাসী। পাকিস্তানি বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন ডি কক ও তার সঙ্গীরা। পুরো ইনিংসে দলীয়ভাবে আসে ১১টি ছক্কা। যা পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের ওয়ানডে ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। ১১৯ বলের ঝলমলে ইনিংসে ১২৩ রান করে ম্যাচসেরা হন ডি কক।
রান তাড়া করতে নেমে লুহান প্রিটোরিয়াস ও ডি ককের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮১ রান, যা দলের ভিত্তি গড়ে দেয়। ৪০ বলে ৪৬ করা প্রিটোরিয়াস মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর ডি ককের সঙ্গে ক্রিজে আসেন টনি ডি জর্জি। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ১৫৩ রানের দারুণ পার্টনারশিপ। এই সময় পাকিস্তানি বোলারদের ওপর চলে নির্দয় ব্যাটিং। ফাহিম আশরাফ ডি কককে ফেরালেও তখন দক্ষিণ আফ্রিকা জয় থেকে মাত্র ৩৬ রান দূরে। ডি ককের ব্যাট থেকে আসে অসাধারণ ২২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
৬৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে জর্জও দলীয় সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখেন। শেষ পর্যন্ত ব্রিটজকের সঙ্গে কাজ সারেন ডি কক। নিশ্চিত করেন সহজ জয়।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভয়াবহ সূচনা করে পাকিস্তান। মাত্র ২২ রানে সাজঘরে ফেরেন তিন টপ-অর্ডার ফখর জামান (০), বাবর আজম (১১) ও মোহাম্মদ রিজওয়ান (৪)। প্রোটিয়া পেসার নান্দ্রে বার্গার ও করবিন বশ তাদের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান।
চতুর্থ উইকেটে সায়েম আইয়ুব ও সালমান আলি আগা মিলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। যা কিছুটা ভরসা ফেরায় স্বাগতিক শিবিরে। ৬৬ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন সায়েম। এরপর আবার ধস নামে ব্যাটিংয়ে। ৩০ ওভারেই পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ১৩০/৫।
শেষ দিকে সালমান আগার ৬৯ (১০৬ বলে) ও মোহাম্মদ নওয়াজের ঝড়ো ৫৯ (৫৯ বলে) রানে দল কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। ফাহিম আশরাফও যোগ করেন ১৮ বলে ২৮ রান। তবে সেটি দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
প্রোটিয়াদের বোলারদের মধ্যে নান্দ্রে বার্গার নেন ৪ উইকেট। পিটার ৩টি ও বশের ঝুলিতে যায় ২ উইকেট।
এই জয়ে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। আগামী শনিবার একই ভেন্যুতে সিরিজের শেষ ম্যাচটি পরিণত হলো এক অঘোষিত ফাইনালে। যেখানে দুই দলই মরিয়া থাকবে ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে।
ঢাকা/আমিনুল