বলিউড অভিনেত্রী কাজল। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ৫১ বছর পূর্ণ করে বায়ান্নে পা দিতে যাচ্ছেন। বিশেষ দিনে ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন কাজল। তার স্বামী অভিনেতা অজয় দেবগনও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। 

ইনস্টাগ্রামে কাজলের সাদা-কালো দুটো ছবি পোস্ট করে মজার ছলে ভালোবাসার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন অজয়। তাতে তিনি লেখেন, “তোমাকে অনেক কিছু বলার ছিল। কিন্তু তুমি চোখ ঘুরিয়ে নেবে।” এরপর হাসির ইমোজি দিয়ে লেখেন, “সুতরাং…শুভ জন্মদিন প্রিয় কাজল।” 

তবে শুধু অজয় নয়, কন্যা নিসাও সমাজিকমাধ্যমে মাকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন। কাজলের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে নিসা লেখেন, “আমার মা, শুভ জন্মদিন।” উত্তরে কাজল লেখেন, “ভালোবাসি সোনা।” 

আরো পড়ুন:

শাহরুখ খানকে যে বার্তা দিলেন ফিফা সভাপতি

অনবদ্য গানে অমর কিশোর কুমার

ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন কাজল। তার পরিবার সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থাকায় খুব ছোটবেলায় রুপালি জগতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান তিনি। তার মা অভিনেত্রী তনুজা মুখার্জি ও বাবা পরিচালক সোমু মুখার্জি। 

তার অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৯২ সালে, ‘বেখুদি’ সিনেমা দিয়ে। মুক্তির পর খুব একটা চলেনি। তারপরই শুরু হয় কাজলের বিজয়রথ। ১৯৯৩ সালে কাজ করেন শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘বাজিগর’ সিনেমায়। প্রথম সিনেমায় নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও ‘বাজিগর’ দিয়ে নিজের জাত চেনান। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি কাজলকে। 

‘হালচাল’ সিনেমার সেটে অজয় ও কাজলের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেন তারা। ‘গুন্ডারাজ’ (১৯৯৫), ‘ইশক’ (১৯৯৫), ‘পেয়ার তো হোনা হি থা’ (১৯৯৮), ‘দিল কিয়া কারে’ (১৯৯৯), ‘রাজু চাচা’ (২০০০), ‘ইউ মি অউর হাম’ (২০০৮), ‘তুনপুর কা সুপারহিরো’ (২০১০) ইত্যাদি সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন এই জুটি। অজয়-কাজলের দুই সন্তান— মেয়ে নিসা ও ছেলে যুগ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ক জল অজয় দ বগন ক জল র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত

এশিয়া কাপে সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হার মেনেছে বাংলাদেশ। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ভারত আগে ব্যাট করতে নেমে অভিষেক শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া ও শুভমান গিলের ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে ১৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানে থামে বাংলাদেশ। হার মানে ৪১ রানে। 

এই জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করল ভারত। অন্যদিকে অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের। বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে ভারতের সঙ্গে ফাইনালেও দেখা হবে বাংলাদেশের।

আরো পড়ুন:

বিসিবি নির্বাচন: তামিমের কাউন্সিলরশিপসহ ৩০ আপত্তি জমা

সেই ১৬৮-তেই থামল ভারত, এবার বাংলাদেশের পালা

রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থতার পরিচয় দেন। বাংলাদেশের কেবল দুইজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান ৫১ বলে ৩টি চার ও ৫ ছক্কায় করেন ৬৯ রান। আর ওয়ান ডাউনে নামা পারভেজ হোসেন ইমন করেন ২ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রান। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা।

বল হাতে ভারতের কুলদীপ যাদব ৪ ওভারে ১৮ রানে ৩টি উইকেট নেন। জাসপ্রিত বুমরাহ ৪ ওভারে ১৮ রানে ২টি ও বরুণ চক্রবর্তী ৪ ওভারে ২৯ রানেন নেন ২টি উইকেট।

তার আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ১৭ রান তোলে ভারত। তানজিম হাসান সাকিব প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দেন। নাসুম আহমেদ দ্বিতীয় ওভারে দেন ৭ রান। পরের ওভারে তানজিম দেন ৭ রান। এই তিন ওভারে বেশ নড়বড়ে ও অস্বস্তিকর ব্যাটিং করেন অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল।

এরপর অবশ্য খোলস ছেড়ে বের হন তারা। নাসুমের করা চতুর্থ ওভারে গিল-অভিষেক দুটি ছক্কা ও এক চারে তোলেন ২১ রান। পঞ্চম ওভারে মোস্তাফিজকে দুই ছক্কা মেরে অভিষেক তোলেন ১৭ রান। এরপর সাইফউদ্দিনের ওভারে চারটি চার মেরে অভিষেক তোলেন আরও ১৭ রান।
প্রথম তিন ওভারে ১৭ ও পরের তিন ওভারে ৫৫! তাতে পাওয়ার প্লে’তে ৭২ রান তুলে ফেলে ভারত বিনা উইকেটে।

সপ্তম ওভারে রিশাদ হোসেন বোলিংয়ে এসে গিলকে ফিরিয়ে ভাঙেন বিপদজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটি। গিল রিশাদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে তানজিমের হাতে ধরা পড়েন ১৯ বলে ২টি চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করে।

এরপর অবশ্য নির্দিষ্ট বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ভারতের রানের চাকা কিছুটা থেমে যায়। তবে অভিষেক যতোক্ষণ ছিলেন ততোক্ষণ মেরে খেলে যান। নবম ওভারের প্রথম বলে রিশাদ আবারও উইকেট নেন। এবার ফেরান শিভম দুবেকে (৩)। তাতে ১০ ওভার শেষে ভারতের রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৯৬। ১১তম ওভারে সাইফউদ্দিন আবার ওভার করতে আসেন। এবার এক ছক্কা ও এক চারে অভিষেক তোলেন ১৬ রান। তাতে মাত্র ৩৭ বলে ৬টি চার ও ৫ ছক্কায় তার রান হয়ে যায় ৭৫।

১২তম ওভারের প্রথম বলে ভয়ঙ্কর এই ব্যাটসম্যান রান আউট হলে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি নামে। এই ওভারের ষষ্ঠ বলে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে উইকেটের পেছনে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মোস্তাফিজ। তিনি ৫ রানের বেশি করতে পারেননি।

গিল, দুবে, অভিষেক ও সূর্য ফিরলেও দাঁড়িয়ে যান হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি সুযোগ পেলেই মারতে থাকেন।

১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে তিলক ভার্মাকে ফেরান তানজিম সাকিব। তিলক আজ ৭ বলে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে পুষিয়ে দেন হার্দিক। তিনি ২৯ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রানের ইনিংস খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন। তার উইকেটটি নেন সাইফউদ্দিন। তাতে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানে গিয়ে থামে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত
  • বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়ে তাইওয়ানে ১৪ জনের মৃত্যু, অচল হংকং
  • সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল–শেখের ইন্তেকাল
  • ‘সারা জীবনের লক্ষ্য হলো মৃত্যু’
  • ব্যালন ডি’অর জয়ে মেসির আর্জেন্টিনাকে ছুঁয়ে ফেলল ফ্রান্স
  • বিন্নি চালের পিঠার রেসিপি
  • বগুড়া আদালত চত্বর থেকে পালালেন জোড়া হত্যা মামলার আসামি
  • ফেনীতে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, চালকের সহকারী নিহত
  • ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ এখন রড-সিমেন্টের কারবারি
  • পাঁচ বছর পর সিপিএলে পঞ্চম শিরোপা জিতল নাইট রাইডার্স