বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী দুঃশাসন ও স্বৈরশাসন বাংলাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। তাদের জুলুম-অত্যাচারে মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ৫ আগস্ট। তাই, এদিন ছাত্র-জনতাসহ সারা দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঢাকার রাজপথে নেমে আসে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে নরসিংদীর পলাশে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের আয়োজিত বিজয় র‌্যালিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের সময় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মামলা দেওয়া হয়। এসব মামলা থেকে রক্ষা পায়নি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান তারেক রহমানসহ তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মী।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, তারা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করে না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যতিরেকে কোনো সভ্য দেশ সৃষ্টি হতে পারে না। অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সেই গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।

ঘোড়াশাল বাইপাস সড়ক থেকে শুরু হয় বিজয় র‌্যালি। এটি নরসিংদী-২ (পলাশ) নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

ঢাকা/হৃদয়/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮ হাজার গ্যালন জ্বালানি নিয়ে কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়াল দেওয়ার পরপর একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। আকাশযানটিতে ৩৮ হাজার গ্যালন জ্বালানি ছিল।

দেশটির ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ (এফএএ) জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইউপিএস ফ্লাইট ২৯৭৬ কার্গো বিমানটি লুইসভিল মোহাম্মদ আলী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হাওয়াইয়ের হনলুলুর উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিল।

হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বিশিয়ার বলেন, কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১ জন। তাঁদের কয়েকজনের জখম বেশ গুরুতর। তাই নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কার্গো বিমানটি ম্যাকডোনেল ডগলাস এমডি–১১ মডেলের একটি আকাশযান ছিল, যা ৩৪ বছরের পুরোনো। ১৯৯১ সালে থাই এয়ারওয়েজের হয়ে এটির প্রথম ব্যবহার শুরু হয়। ২০০৬ সালে এটিকে ইউপিএস কার্গো হিসেবে রূপান্তর করা হয়।

আকাশপথে পণ্য পরিবহনের মার্কিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ইউপিএস। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিধ্বস্ত কার্গো বিমানটিতে তিনজন ক্রু ছিলেন। তাঁদের সর্বশেষ পরিণতি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দুর্ঘটনার পরপর লুইসভিল মোহাম্মদ আলী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, বিধ্বস্ত কার্গো বিমানটিতে ৩৮ হাজার গ্যালন বা প্রায় ১ লাখ ৪৪ হাজার লিটার জ্বালানি ছিল। এর সম্মিলিত ওজন প্রায় এক লাখ কেজির মতো।

বিপুল পরিমাণ জ্বালানি থাকার কারণে বিধ্বস্তের পর এখনো আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে কাজ করছেন। তাঁরা জনগণকে দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে না যেতে অনুরোধ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে লুইসভিলের মেয়র ক্রেইগ গ্রিনবার্গ বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য একটি ট্র্যাজেডি। আমরা এটা কখনোই ভুলতে পারব না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ