এবার রংপুরের পীরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ৬ রোগী
Published: 21st, October 2025 GMT
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ছয়জন রোগী পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার অপরজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, সর্বশেষ অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গে আক্রান্ত এসব রোগীর বাড়ি উপজেলার দাঁড়িয়াপুরে। তাঁদের মধ্যে পুরুষ চারজন, নারী একজন। তাঁরা শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন।
আক্রান্ত রোগীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় টুটুল মিয়ার একটি গাভি অসুস্থ হলে গত ১১ নভেম্বর জবাই করে গ্রামবাসীর মধ্যে বিতরণ করা হয়। এরপর ১২ অক্টোবর মাংস কাটাকাটির সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁদের শরীরে ঘা দেখা দেয়।
স্থানীয় নারী শান্তি বেগম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাশুরের অসুস্থ গরু জবাই করার পর ৮-৯ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দেয়। তবে তাঁরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাননি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, গতকাল সোমবার পর্যন্ত রংপুরের পীরগাছায় ৩৮, কাউনিয়ায় ১৮, মিঠাপুকুরে ১২, গঙ্গাচড়ায় ৭, পীরগঞ্জে ১ জনসহ মোট ৭৮ জন সন্দেহজনক অ্যানথ্রাক্স রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পীরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের নতুন পাঁচ রোগীর তথ্য এখনো এই হিসাবে যুক্ত হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১। তবে অ্যানথ্রাক্স সন্দেহজনক রোগীর সংখ্যা বেশি। এর কারণ অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের রোগীর নমুনা নিতে হলে শরীরে কাচা ঘা থাকতে হয়। কিন্তু ঘা শুকিয়ে গেলে আর নমুনা নেওয়া সম্ভব হয় না। তাঁরা কিছু রোগী পেয়েছেন, যাঁরা চিকিৎসা শুরু করাচ্ছেন, ঘা শুকিয়ে গেছে।
গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে রংপুরের পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ নিয়ে দুই নারী ও পুরুষ মারা গেলে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের বিষয়টি আলোচনায় আসে। পরে গাইবান্ধায়ও অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের রোগী পাওয়া যায়। ৪ অক্টোবর অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের রোজিনা বেগম (৪৫) মারা যান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়েছে কি না, তা যাচাই করবেন যেভাবে
জিমেইল এখন কেবল ই–মেইল আদান–প্রদানের মাধ্যম নয়। ব্যাংকের নোটিফিকেশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বার্তা, বিভিন্ন অ্যাপের সতর্কতা, ক্লাউডে সংরক্ষিত নথি, ফোনের ব্যাকআপ, কন্ট্যাক্ট ও ব্যক্তিগত তথ্য সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু। ফলে জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হলে বেশ বিপদে পড়তে হয়। তবে জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হলেও অনেক ব্যবহারকারী তা শনাক্ত করতে পারেন না। গুগলের নিরাপত্তা সেটিংসে থাকা বিশেষ টুল ব্যবহার করে জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়েছে কি না, তা সহজেই জানা যায়। পদ্ধতিটি দেখে নেওয়া যাক।
জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকড করে কেউ অন্য কোনো যন্ত্রে ব্যবহার করছে কি না, তা জানার জন্য প্রথমে কম্পিউটার থেকে গুগল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে লগইন করতে হবে। লগইন করার পর এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে ওপরের দিকে বেশ কিছু অপশন দেখা যাবে। এরপর সিকিউরিটি ট্যাবে ক্লিক করে ‘ইয়োর ডিভাইসেস’ অপশনে প্রবেশ করতে হবে। এবার ম্যানেজ অল ডিভাইসেস অপশন নির্বাচন করলেই যেসব যন্ত্রে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে, তার তালিকা দেখা যাবে।
অপরিচিত বা সন্দেহজনক কোনো যন্ত্রের নাম তালিকায় থাকলে সেটি নির্বাচন করে পরবর্তী পেজে থাকা ‘সাইন আউট’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। যন্ত্রটি সন্দেহজনক মনে হলে ‘ডোন্ট রিকগনাইজ সামথিং’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। অন্য কোনো যন্ত্রে অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেলে দ্রুত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে।
আরও পড়ুনজিমেইলে আদান-প্রদান করা তথ্য কি নিরাপদ২৪ নভেম্বর ২০২৫জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবেজিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে অবশ্যই টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন প্রযুক্তি সক্রিয় রাখতে হবে। এর ফলে পাসওয়ার্ড ফাঁস হলেও কেউ সহজে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। এ ছাড়া একই পাসওয়ার্ড একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার না করা, স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে ব্যবহৃত সফটওয়্যার ও নিরাপত্তা নিয়মিত হালনাগাদ করার পাশাপাশি অন্যদের পাঠানো ই–মেইলের সঙ্গে যুক্ত অচেনা লিংক বা অ্যাটাচমেন্টে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুনজিমেইলে ই-মেইলের নিরাপত্তায় নতুন এনক্রিপশন প্রযুক্তি, তবে০৫ অক্টোবর ২০২৫