টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের মিছিলে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে, কালিহাতী আরএস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজয় মিছিল বের হয়।

আরো পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থান দিবস: ফেনীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

গোবিপ্রবিতে ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষসহ আহত ১৫

অপরদিকে, কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরেক কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ তালুকদার, ড্যাব নেতা ডা.

শাহ আলম ও কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ শফি সিদ্দিকী তোরণের পাশে সমাবেশ করছিলেন।

মিছিলটি সমাবেশের কাছাকাছি গেলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েকজন আহত হন। 

উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ জানান, টিটোর নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থি লোকজন আমাদের সমাবেশস্থলে মিছিল নিয়ে এসে কর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। কালিহাতীর মানুষ হামলা প্রতিহত করতে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এতে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হন।

উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মজনু মিয়া জানান, বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে বিজয় মিছিল বের করে বাসস্ট্যান্ডে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম। পূর্বপরিকল্পিতভাবে লুৎফর রহমান মতিন, শুকুর মাহমুদ, ডা. শাহ আলম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম, আলী আকবর জব্বার ও আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে তাদের কর্মী সমর্থকরা আওয়ামী সমর্থকদের নিয়ে মিছিলের ভিতরে ঢুকে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমাদের ১০-১৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। 

কালিহাতী সার্কেলের এএসপি (ভারপ্রাপ্ত) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “বিএনপির উভয় পক্ষের কর্মসূচি ছিল। পাশাপাশি বিজয় মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” 

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ অভ য গ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

‘এত বড় আন্দোলনের সঙ্গে থাকতে পারাটা আমার জন্য বিরাট পাওয়া’

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানের মুখে দেশ ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ আন্দোলনের শুরু থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন নির্মাতা আশফাক নিপুন। কখনো ফেসবুকে, কখনো দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজের ব্যানারে রাজপথে দাঁড়িয়েছেন। 

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে  গণমাধ্যমে কথা বলেছেন নিপুন। এই গণ-অভ্যুত্থানে যুক্ত হতে পারাকে বড় প্রাপ্তি বলে মনে করেন তিনি। তার ভাষায়, “বিশ্বের অনেক বড় বড় শিল্পী আছেন, যারা একজীবনে রাষ্ট্র, সমাজ, রাজনীতি নিয়ে এত বড় গণ–অভ্যুত্থানের অংশ হতে পারেননি। সেখানে বাংলাদেশের মতো একটা জায়গায় একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে এত বড় মুভমেন্টের (আন্দোলন) সঙ্গে থাকতে পারলাম, এটা আমার জন্য বিরাট পাওয়া।” 

এ আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে এই নির্মাতা বলেন, “বহু বছর ধরেই আমার আন্দোলন চলছে, ১৫ বছর ধরেই চলছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন করেছি। সাংবাদিক কাজল গুম, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল, কিশোর–মুশতাকের ওপর অত্যাচার থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার—সব ক্ষেত্রেই রাস্তায় সরব ছিলাম। বিবেক থেকে আন্দোলনে নামার তাড়নাটা আসে, এটা আর কোনো কিছু না। গত ১৫ বছরে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটা আমার কাছে দরকার মনে হয়েছে।” 

আরো পড়ুন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে বন্ধ থাকবে স্টার সিনেপ্লেক্স

মেয়েকে অবহেলার গুঞ্জনে ক্ষুব্ধ পরীমণির কড়া জবাব

সরকারের দমনপীড়ন উপেক্ষা করার সাহস কোথায় পেয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নিপুন বলেন, “আন্দোলনের সময়ে এলিটাকে (স্ত্রী এলিটা করিম) ফোন দিয়ে, প্রযোজকদের ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, আমাকে কীভাবে থামানো যায়! আমাকে (তুলে) নেওয়ার জন্য পরিকল্পনাও করছিল। আমার জন্য জুলাইটা অন্য ধরনের সেলিব্রেশন। কারণ গত ১৫ বছর বিভিন্ন ইস্যুতে আমি দাঁড়িয়েছিলাম। তখন আমি ছিলাম একা। মহানগর বানানোর পর গোয়েন্দারা এসে আমাকে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বাসায় পুলিশ আসা, লুকিয়ে থাকা—এগুলো আমাকে এত দিন একা ফেস করতে হয়েছে। জুলাইয়ে আমার মনে হয়েছে, এখন আমি আর একা না। কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এটা একটা কালেক্টিভ (সম্মিলিত) সাহস ছিল।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টাঙ্গাইলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে জামায়াতের গণমিছিল
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থাণের আলোচনা সভা শেষে ছাত্রদলের তোপের মুখে শাবিপ্রবি উপাচার্য
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস: মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠান চলছে
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে মহানগর যুবদলের পুষ্পস্তবক অর্পণ
  • গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধাদের দুই গ্রুপের ধস্তাধস্তি
  • জাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারী ১৮৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর শাস্
  • ওয়ান ইলাভেনের দিকে যাবে দেশ: এবি পার্টি
  • শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধায় সারা দেশে পালিত হচ্ছে গণঅভ্যুত্থান দিবস
  • ‘এত বড় আন্দোলনের সঙ্গে থাকতে পারাটা আমার জন্য বিরাট পাওয়া’