টাঙ্গাইলে বিএনপির ২ পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
Published: 5th, August 2025 GMT
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের মিছিলে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে, কালিহাতী আরএস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজয় মিছিল বের হয়।
আরো পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থান দিবস: ফেনীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ
গোবিপ্রবিতে ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষসহ আহত ১৫
অপরদিকে, কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরেক কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ তালুকদার, ড্যাব নেতা ডা.
মিছিলটি সমাবেশের কাছাকাছি গেলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েকজন আহত হন।
উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ জানান, টিটোর নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থি লোকজন আমাদের সমাবেশস্থলে মিছিল নিয়ে এসে কর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। কালিহাতীর মানুষ হামলা প্রতিহত করতে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এতে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হন।
উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মজনু মিয়া জানান, বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে বিজয় মিছিল বের করে বাসস্ট্যান্ডে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম। পূর্বপরিকল্পিতভাবে লুৎফর রহমান মতিন, শুকুর মাহমুদ, ডা. শাহ আলম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম, আলী আকবর জব্বার ও আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে তাদের কর্মী সমর্থকরা আওয়ামী সমর্থকদের নিয়ে মিছিলের ভিতরে ঢুকে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমাদের ১০-১৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন।
কালিহাতী সার্কেলের এএসপি (ভারপ্রাপ্ত) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “বিএনপির উভয় পক্ষের কর্মসূচি ছিল। পাশাপাশি বিজয় মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ অভ য গ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
‘পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা হলে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে’
‘‘প্রয়োজন হলে বাংলাদেশে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে, কিন্তু পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেওয়া যাবে না।’’
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীতে পথসভায় এমন কথা বলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের স্থানীয় নেতারা। দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলের আগে শহরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়।
আরো পড়ুন:
গকসু নির্বাচন: যত্রতত্র প্রচারে বিরক্ত শিক্ষার্থীরা
চাকসু নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে চবি প্রশাসনের মতবিনিময়
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী মহানগর ও জেলার উদ্যোগে আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য দেন, দলটির রাজশাহী জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী, মহানগরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহমদ, জেলার সাধারণ সম্পাদক তারিক উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘‘গত ৫৪ বছরে যারা শাসক হিসেবে ছিলেন, তারা কখনোই শাসন করেননি, শোষণ করেছেন। স্বাধীনতার পর দেশের মানুষ মুক্তির যে আশা করেছিল, এখন পর্যন্ত তা দেখতে পায়নি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশবাসী মুক্তির যে পথ দেখে ছিল, বর্তমানে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে একটি বিশেষ দলের চাপে সরকার রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া তাড়াতাড়ি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তা হতে দেওয়া হবে না।’’
তারা বলেন, ‘‘বর্তমানে একটি দল আবারো ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসনের জন্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি ছাড়া তাড়াতাড়ি নির্বাচন চাচ্ছে। দেশের সম্পদ লুটপাট করার জন্য তারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না। তারা পিআর বোঝেন না কিন্তু চাঁদাবাজি বোঝেন। আগে গণঅভ্যুত্থানের বিচার হবে, তারপর সংস্কার, তারপরে নির্বাচন। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে, কিন্তু পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হবে না।’’
এর আগে জুমার নামাজের পর জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে সাহেববাজার বড়মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শহরের সাহেববাজার ও মনিচত্বর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
এতে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান মোজাহিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি ফয়সাল হোসেন মনি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সভাপতি আবুল বাশার, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলার সভাপতি হাফেজ আবুল হাসান, ইসলামী যুব আন্দোলনের মহানগরের সভাপতি হাসিবুর রহমানসহ দলটির প্রায় ২০০ জন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/কেয়া/বকুল