নির্বাচনে ৪৭ হাজার কেন্দ্রে দেওয়া হবে বডি ক্যামেরা
Published: 6th, August 2025 GMT
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো জোরদার করতে ৪৭ হাজার আসনে একটি করে বডি ক্যামেরা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৬ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এক বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আজ আমরা আলোচনা করেছি সারা দেশের নির্বাচন পরিচালনার জন্য কত ফোর্স প্রয়োজন হবে এসব বিষয়ে। এছাড়া আমার সিদ্ধান্ত নিয়েছি সবাইকে বডি ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা করব। ওইটা কার কাছে কীভাবে থাকবে সে বিষয়ে আলোচনা করছি। প্রিজাইডিং অফিসাররা যেন কারো বাসায় না থেকে নির্বাচনী কেন্দ্রে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। তাদের সাথে আনসার ও পুলিশ সবাই থাকবে।”
আরো পড়ুন:
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জনের দাফন সম্পন্ন
নেত্রকোনায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
কারা বডি ক্যামেরা পাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের ৪৭ হাজার ভোট কেন্দ্রের প্রতি কেন্দ্রেই একটি করে বডি ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা করব। পুলিশের সিনিয়র পোস্টে যিনি থাকবেন, তার কাছে থাকবে।সবগুলো বাহিনীকে আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। এছাড়া নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, তারা যেন পোলিং অফিসার এবং প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেন। আমাদের বাহিনীর প্রশিক্ষণের পর আমরা একটু মহড়াও দিব। নির্বাচনটা যাতে ভালোভাবে হতে পারে সেই অনুশীলনও করব।”
তিনি বলেন, “নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা আট লাখের মতো থাকবে। আনসার থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী পর্যন্ত সবাই থাকবে এর মধ্যে। সব বাহিনীকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।”
৭৬ কর্মকর্তাকে সংযুক্ত বদলি করার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “এটা রুটিন বিষয়। চলতে থাকবে এটা।”
ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো.
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ষ ট র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকাসহ সারা দেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৯
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ৮ দিনে ২৯ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ম্যাগাজিন, দেশীয় অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১১ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অবৈধ অস্ত্রধারী, মাদক ব্যবসায়ী, চোর, প্রতারক, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য, মাদকাসক্তসহ ২৯ জনকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটক হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১টি ম্যাগাজিন, ১০টি গুলি, দেশীয় অস্ত্র, মাদক, জাল পরিচয়পত্র, সামরিক বাহিনীর ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার পরিচয়পত্র, জাল ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড, রুপা, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত রয়েছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সাধারণ মানুষকে যেকোনো সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কাছের সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।