আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো জোরদার করতে ৪৭ হাজার আসনে একটি করে বডি ক্যামেরা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বুধবার (৬ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এক বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আজ আমরা আলোচনা করেছি সারা দেশের নির্বাচন পরিচালনার জন্য কত ফোর্স প্রয়োজন হবে এসব বিষয়ে। এছাড়া আমার সিদ্ধান্ত নিয়েছি সবাইকে বডি ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা করব। ওইটা কার কাছে কীভাবে থাকবে সে বিষয়ে আলোচনা করছি। প্রিজাইডিং অফিসাররা যেন কারো বাসায় না থেকে নির্বাচনী কেন্দ্রে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। তাদের সাথে আনসার ও পুলিশ সবাই থাকবে।”

আরো পড়ুন:

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জনের দাফন সম্পন্ন

নেত্রকোনায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

কারা বডি ক্যামেরা পাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের ৪৭ হাজার ভোট কেন্দ্রের প্রতি কেন্দ্রেই একটি করে বডি ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা করব। পুলিশের সিনিয়র পোস্টে যিনি থাকবেন, তার কাছে থাকবে।সবগুলো বাহিনীকে আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। এছাড়া নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, তারা যেন পোলিং অফিসার এবং প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেন। আমাদের বাহিনীর প্রশিক্ষণের পর আমরা একটু মহড়াও দিব। নির্বাচনটা যাতে ভালোভাবে হতে পারে সেই অনুশীলনও করব।”

তিনি বলেন, “নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা আট লাখের মতো থাকবে। আনসার থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী পর্যন্ত সবাই থাকবে এর মধ্যে। সব বাহিনীকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।”

৭৬ কর্মকর্তাকে সংযুক্ত বদলি করার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “এটা রুটিন বিষয়। চলতে থাকবে এটা।”

ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো.

খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ষ ট র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, কারণ জনগণ এটি চায়: ফখরুল 

রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, “জনগণই এখন নির্বাচন চায় এবং তারাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবচেয়ে বড় প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে।” 

বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, “১৯৯১ সালে একটি ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের পরে নির্বাচন হয়েছিলো। তখন তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। এখন এই নির্বাচন আরো সম্ভব, কারণ জনগণ এটি চায়।” 

দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব কি না, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জনগণই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সবচেয়ে বড় প্রহরী হয়ে দাঁড়াবে।”

তিনি বলেন, “আমরা ও পুরো জাতি মনে করে, দ্রুত নির্বাচনই একমাত্র পথ, যা দিয়ে আমরা বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ করে গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে পারি।” 

তিনি আরো বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস এখন পর্যন্ত যতগুলো কাজ করেছেন, তাতে তিনি প্রমাণ করেছেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য উনি এমন কিছু করবেন না, যাতে করে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।” 

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “গতকালের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সংবিধানের যাবতীয় সংস্কার-সংশোধনী বাস্তবায়ন করবে। এটিই বৈধ, আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া।”

ঢাকা/কেএন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে এসপি-ওসির পদায়ন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ভোটের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে ইসি: সিইসি
  • তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, কারণ জনগণ এটি চায়: ফখরুল 
  • অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে গেলেন শেখ হাসিনা
  • সত্য আড়াল করার চেষ্টা ছিল
  • মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত রুই-কাতলা ধরা পড়ছে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ১১ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ৭৬১ মামলা, গ্রেপ্তার ৬১
  • ৫ আগস্ট নিয়ে সরকার সতর্ক, নিরাপত্তাশঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা