বন্দরে ভরণ পোষনের টাকা চাওয়ায় বৃদ্ধা মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সন্তান ও নাতি-নাতনির বিরুদ্ধে। আশ্রয়হারা হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন ৭০ বছরের হতভাগ্য এই মা। হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন  মা রাশিদা বেগম।

ঘরবাড়ি আর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হারিয়ে এখন দিশেহারা তিনি। এমন ঘটনা ঘটেছে  বন্দর থানার ২৫নং ওয়ার্ডের লক্ষনখোলা এলাকায়। এ ব্যাপারে মা রাশিদা বেগম বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে ছেলে শাহীন ও নাতি নাতনীদের আসামি করে বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

জানা যায়, স্বামী তারা মিয়া মারা গেছেন ১৫ বছর আগে। এরপর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বড় ছেলেকে করেছেন প্রতিষ্ঠিত।  অথচ স্বামী মারা যাওয়ার পর মা রাশিদার কপালে নেই সুখের দেখা। এই বড় সন্তানের বিরুদ্ধেই রাশিদার অভিযোগ। তবে এই অভিযোগের তীর সবচেয়ে বেশি বড় ছেলে শাহীন,ছেলের বউ স্বপ্না আক্তার,নাতি সৌরভ ও নাতনী তানজিমার বিরোদ্ধে।

মা রাশিদা বেগম জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর রেখে যাওয়া ফসলি জমি বিক্রি করে সন্তানদের মানুষ করেছেন। বর্তমানে স্বামীর ভিটেমাটি  ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। আর বাড়ির ১৫ শতাংশ জমি বিভিন্ন সময়ে  লিখে নিতে সন্তানরা আমাকে চাপ দেয়। আমার বড় ছেলে শাহীন ৫ বছর যাবৎ আমাকে কোন ভরন পোষন দেয় না।

আমাকে বিভিন্ন সময়ে মানসিক ও শারিরীকভাবে অত্যাচার করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৬ আগষ্ট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে আমার থাকার ঘরের দরজার সামনে টয়লেট স্থাপন করে আমার চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

আমি প্রতিবাদ করলে আমার বড় ছেলে শাহীন, তার স্ত্রী ও নাতি-নাতনীরা সবাই মিলে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় আঘাত ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এমনকি আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বার্ধক্যে মৃত্যু হয়েছে বলে হুমকি প্রদান করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ বড় ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ