ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে আজ—১০ আগস্ট। এই তারিখটা ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণির জীবনে এক বিশেষ অর্থ বহন করে। কারণ, এ দিনেই তার কোলে এসেছিলে পুত্র শাহীম মুহাম্মদ পুণ্য। 

সময় যেন পাখির ডানায় ভর করে উড়ে গেছে। তিন বছর পূর্ণ হল পুণ্যর। জীবনের কত উত্থান-পতন, কত সম্পর্কের ভাঙাগড়া—সবকিছুর মাঝেও একটিমাত্র সত্য অটুট থেকেছে, তা হলো মায়ের ভালোবাসা। 

গতকাল দিবাগত রাত ঠিক ১২টা পেরোতেই ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে আবেগঘন একটি পোস্ট দেন পরীমণি। লিখলেন, “আজ আমার ছেলের তৃতীয় জন্মদিন। কীভাবে সময় চলে যাচ্ছে, বাচ্চা আমার জীবনে আসার পর থেকে আর টেরই পাই না। এখন শুধু বাঁচতে চাই। শুধুই বাঁচতে চাই ওদের সঙ্গে।” 

আরো পড়ুন:

মেয়েকে অবহেলার গুঞ্জনে ক্ষুব্ধ পরীমণির কড়া জবাব

বিমান দুর্ঘটনার ভিডিও দেখে পরীমণির প্যানিক অ্যাটাক

মায়ের কণ্ঠে এই ‘ওরা’ মানে শুধু পুণ্য নয়, সাফিরা সুলতানা প্রিয়মও। গত বছর জুনে ছয় দিন বয়সি কন্যাশিশুকে দত্তক নেন পরীমণি। দুই সন্তানের এই সংসার এখন একাই সামলাচ্ছেন পরীমণি। প্রাক্তন স্বামী রাজ নেই, কিন্তু সন্তানদের ঘিরে তার পৃথিবী যেন পূর্ণ। 

পুণ্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পরীমণি লিখেছেন, “হ্যাপি বার্থ ডে বাজান। আমার জীবনের ডানা। আই লাভ ইউ।” 

দোয়া চেয়ে যোগ করেন, “আপনাদের ভালোবাসায়, দোয়ায় রাখবেন ওদের। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।” 

পুণ্যের জন্মের এক বছর পর আলাদা পথে হাঁটেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। রাজ ব্যস্ত হয়েছেন তার অভিনয়জীবনে, আর পরীমণি নিজের জীবনকে সাজিয়েছেন দুই সন্তানের জন্য।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর মন চলচ চ ত র র জ বন

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জকসু নির্বাচন চায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে করার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা বলেন, বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহুল প্রতীক্ষিত জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে একধরনের উত্তেজনা ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তফসিলে নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অনেকাংশে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা অভিযোগ করেন, জকসু নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিসেম্বর বছরের শেষ মাস। এ সময় শিক্ষার্থীরা সারা বছরের একাডেমিক চাপ শেষে ছুটি কাটাতে বাড়ি যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সময় ক্যাম্পাসে থাকে না। নির্বাচনের জন্য এমন সময় নির্ধারণের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে ভোটারদের অংশগ্রহণ সীমিত করা।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে। এমন সময়ে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, ‘একটি সুস্থ ও সর্বোচ্চ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয়ে থাকবে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন, যা সংকটে জর্জরিত এই ক্যাম্পাসের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রাখে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ