চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে: বিডা চেয়ারম্যান
Published: 10th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, ‘‘চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের চলমান সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত শেষ হলে, ২০৩০ সালের মধ্যে বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।’’
চেয়ারম্যান আজ রবিবার (১০ আগস্ট) বিকালে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে শিপিং এবং লজিস্টিক এজেন্ট ডেস্ক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ সব কথা বলেন।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল, চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড নৌবাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৩০ শতাংশ এবং জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় কমেছে ১৩ ঘণ্টা। ফলশ্রুতিতে বন্দর ব্যবহারে দুর্নীতি ও হয়রানি আগের চেয়ে অনেক কমে আসছে।’’
চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘‘চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রধান প্রধান বন্দরে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় সরকার। এ বছরের শেষ নাগাদ দেশের সবগুলো বন্দরের ক্ষেত্রে এল সি টি, লালদিয়া এবং বে টার্মিনাল এই তিনটি প্রকল্পের অপারেটর নিয়োগ করে দেয়া সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।’’
তিনি বলেন, ‘‘এল সি টি প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সুবিধা, ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম এবং উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু হবে। অপরদিকে বে টার্মিনাল সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিদিনের পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। লালদিয়া উন্নয়ন প্রকল্প চট্টগ্রাম বন্দরে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। এলাকায় নতুন জেটি, উন্নত নৌপথ, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে। লালদিয়ার সম্প্রসারণ সম্পন্ন হলে একসঙ্গে আরো বেশি সংখ্যক বড় জাহাজ নোঙর করতে পারবে এবং পণ্য ওঠা-নামার সময় অর্ধেকে নেমে আসবে।’’
ব্রিফিং শেষে চেয়ারম্যান বন্দরে সংস্কার কাজ পরির্দশন এবং ভেহিক্যাল ও কন্টেইনার ডিজিটাল একচেঞ্জ সিস্টেম উদ্বোধন করেন।
এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে আকাশপথে অচলাবস্থা, আরো ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল
বাজেট পাসকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের শাটডাউনের কারণে দ্বিতীয় দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দেরিতে ছেড়েছে প্রায় ৬ হাজার ফ্লাইট।
ফ্লাইট সংস্থার তথ্য মতে, শনিবার (৮ নভেম্বর) আগের দিনের চেয়ে বিলম্বিত ফ্লাইটের সংখ্যাটা কিছুটা কমেছে। খবর বিবিসির।
কয়েক দফা চেষ্টার পরও সিনেটে ব্যয় বিল পাসে ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার শাটডাউনে পড়েছে। বেতন না হওয়ায় বিমানবন্দরগুলোতে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের মতো কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ আবার অসুস্থতার কারণে কাজে যোগ দিতে পারছেন না।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, কর্মী–সংকটের কারণে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ৪ শতাংশ থেকে কমানো শুরু হবে। পরবর্তী সপ্তাহের শেষ নাগাদ পুরোপুরি ১০ শতাংশ কমানো হবে। এতে প্রতিদিন ৪ হাজারের মতো ফ্লাইট বাতিল কিংবা বিলম্বিত হতে পারে।
১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই শাটডাউন এখন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ। শনিবার ছিল এই অচলাবস্থার ৩৯তম দিন। অচলাবস্থা কাটাতে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দল এখনো কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি।
ডেমোক্র্যাটরা ব্যয় বিলে স্বাস্থ্যসেবা খাতকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছে। বিপরীতে রিপাবলিকানরা শুধুই একটি ব্যয় বিলের জন্য চাপ দিচ্ছে। উভয়পক্ষ একমত না হওয়ায় সিনেটে কয়েক দফা ভোটাভুটির পরও বিলটি পাস হয়নি।
শনিবার এক বিবৃতিতে আমেরিকান এয়ারলাইন্স ওয়াশিংটনের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানায়, যেন তারা দ্রুত এই সংকটের সমাধান করেন।
নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সবচেয়ে বেশি বিলম্বের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেল পর্যন্ত আগমনকারী ফ্লাইটগুলো গড়ে চার ঘণ্টারও বেশি দেরিতে পৌঁছেছে, আর যাত্রা শুরুর ফ্লাইটগুলো গড়ে দেড় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে।
২৭ নভেম্বরের থ্যাংকস গিভিং ছুটি সামনে রেখে এটি যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে ব্যস্ত ভ্রমণ মৌসুমগুলোর একটি। ফলে এই বিপর্যয় যাত্রীদের ভোগান্তি আরো বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুধু বাণিজ্যিক নয়, ব্যক্তিগত জেট বিমানের ওপরও সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।
২০১৮ সালেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়কালে শাটডাউন দেখা গিয়েছিল। সেই সময় প্রায় ১০ শতাংশ নিরাপত্তা কর্মী বিনা বেতনে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
ঢাকা/ইভা