ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্লাবগুলোর অন্যতম। ইংল্যান্ডের বাইরেও এই ক্লাবের কোটি কোটি সমর্থক ছড়িয়ে আছে। সাম্প্রতিক ব্যর্থতার কারণে জনপ্রিয়তার টানে কিছুটা ভাটা পড়লেও জনপ্রিয়তা খুব বেশি কমেনি।

অনেক বছর ধরে ধীরে ধীরে বড় একটা সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি হয়ে আছে ক্লাবটির, যারা যেকোনো পরিস্থিতিতে দলটিকে সমর্থন করে। কিন্তু সেই ইউনাইটেডকে নিয়ে এবার বিস্ফোরক এক দাবি করলেন ক্লাবের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়ার। বলেছেন, ইংল্যান্ডের বেশির ভাগ মানুষ ক্লাবটিকে ঘৃণা করে।

ইউনাইটেড কিংবদন্তি রিও ফার্ডিনান্ডের সঙ্গে এক পডকাস্টে ম্যাগুয়ার বলেছেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ওপরই চোখ বেশি রাখা হয়। কারণ, দেশের বেশির ভাগ মানুষ দলটিকে পছন্দ করে না। এটা একটা সত্যি কথা। প্রিমিয়ার লিগের সবাই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে অপছন্দ করে এবং তারা চায় না ইউনাইটেড ভালো করুক। ফলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ওপর বেশি চাপ পড়ে।

আরও পড়ুনহ্যারি ম্যাগুয়ার: এভাবেও ফিরে আসা যায় ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

এ সময় ত্রিশোর্ধ্ব খেলোয়াড়দের ইংল্যান্ডে পছন্দ করা হয় না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড অন্য একটা ব্যাপার। ইংল্যান্ডে যখন একজন খেলোয়াড় ৩০ বছর পার করে, তখন সমর্থকেরা ভাবতে শুরু করে “এবার তুমি বিদায় নাও”। তারা চায় সেই তরুণ খেলোয়াড়দের খেলাতে, যারা উঠে আসছে এবং যাদের অসাধারণ হাইলাইটস টুইটারসহ অন্যান্য জায়গায় দেখা যাচ্ছে।’

বিভিন্ন সময় সমর্থকদের হতাশ করেছেন ম্যাগুয়ার নিজেও.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ