ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। পদত্যাগের পর জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেবেন, এমনটি ধরে নেওয়া উচিত নয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তিনি বলেন, উপদেষ্টা বা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছেন, এমন যে কারও রাজনীতি কিংবা নির্বাচন করার ইচ্ছা থাকলে তাঁদের সবার পদত্যাগ করা উচিত। যেন কোনোভাবেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। নির্বাচনে নিরপেক্ষতার স্বার্থে এমনটি করা উচিত।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেন, ‘যেহেতু আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বারবারই বলছেন যে আমরা ইতিহাসের একটা শ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে চাই, আর সেটা আমরাও চাই। যেহেতু আমরা এই সরকারের অংশ। এই ঐতিহাসিক দায় তো আমাদের ওপরে থাকবে, যদি নির্বাচনটা সুষ্ঠু না হয়।’

গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার তিন দিন পর গত বছর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। ওই সরকারে আসিফ মাহমুদ ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা হন। পরে তাঁদের আরেক সহযোদ্ধা মাহফুজ আলমও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হন।

এরই মধ্যে নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে অভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ভূমিকা রাখা ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক হয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারে প্রথমে ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়া আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। তাঁদের অপর সহযোদ্ধা মাহফুজ আলম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন।

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট অন্যদেরও পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এই সরকারে তো আরও অনেকে আছেন, যাঁদের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক পরিচয় আছে। এখনো হয়তো আছে এবং সামনেও রাজনীতি করবেন কিংবা নির্বাচনও করবেন। সরকারের বিভিন্ন জায়গায় হয়তো আরও অনেকে এ রকম আছেন। আমি মনে করি যে সবারই তফসিলের আগে পদত্যাগ করা উচিত একটা স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু, কোনো প্রকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন আয়োজনের জন্য।’

পদত্যাগের পর এনসিপিতে যোগ দেবেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, তিনি এনসিপিতেই যোগ দেবেন, এমনটা ধরে নেওয়া উচিত না। সেটি তিনি বিবেচনা করবেন।

সরকারের এক বছরে জনগণের আকাঙ্ক্ষা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত না পারার পাল্লাটাই ভারী। গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার জায়গা থেকে অনেক আকাঙ্ক্ষাই পূরণ হয়নি, আবার অনেক আকাঙ্ক্ষাই সরকার পূরণ করার চেষ্টা করেছে। অর্থনীতিতে অনেক ভালো হয়েছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে মূল্যায়নটা জনগণ করলেই সবচেয়ে ভালো হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র উপদ ষ ট উপদ ষ ট র সরক র র ই সরক র র জন ত এনস প করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই পদত্যাগ করবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। পদত্যাগের পর জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেবেন, এমনটি ধরে নেওয়া উচিত নয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তিনি বলেন, উপদেষ্টা বা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছেন, এমন যে কারও রাজনীতি কিংবা নির্বাচন করার ইচ্ছা থাকলে তাঁদের সবার পদত্যাগ করা উচিত। যেন কোনোভাবেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। নির্বাচনে নিরপেক্ষতার স্বার্থে এমনটি করা উচিত।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেন, ‘যেহেতু আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বারবারই বলছেন যে আমরা ইতিহাসের একটা শ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে চাই, আর সেটা আমরাও চাই। যেহেতু আমরা এই সরকারের অংশ। এই ঐতিহাসিক দায় তো আমাদের ওপরে থাকবে, যদি নির্বাচনটা সুষ্ঠু না হয়।’

গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার তিন দিন পর গত বছর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। ওই সরকারে আসিফ মাহমুদ ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা হন। পরে তাঁদের আরেক সহযোদ্ধা মাহফুজ আলমও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হন।

এরই মধ্যে নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে অভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ভূমিকা রাখা ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক হয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারে প্রথমে ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়া আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। তাঁদের অপর সহযোদ্ধা মাহফুজ আলম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন।

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট অন্যদেরও পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এই সরকারে তো আরও অনেকে আছেন, যাঁদের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক পরিচয় আছে। এখনো হয়তো আছে এবং সামনেও রাজনীতি করবেন কিংবা নির্বাচনও করবেন। সরকারের বিভিন্ন জায়গায় হয়তো আরও অনেকে এ রকম আছেন। আমি মনে করি যে সবারই তফসিলের আগে পদত্যাগ করা উচিত একটা স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু, কোনো প্রকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন আয়োজনের জন্য।’

পদত্যাগের পর এনসিপিতে যোগ দেবেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, তিনি এনসিপিতেই যোগ দেবেন, এমনটা ধরে নেওয়া উচিত না। সেটি তিনি বিবেচনা করবেন।

সরকারের এক বছরে জনগণের আকাঙ্ক্ষা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত না পারার পাল্লাটাই ভারী। গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার জায়গা থেকে অনেক আকাঙ্ক্ষাই পূরণ হয়নি, আবার অনেক আকাঙ্ক্ষাই সরকার পূরণ করার চেষ্টা করেছে। অর্থনীতিতে অনেক ভালো হয়েছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে মূল্যায়নটা জনগণ করলেই সবচেয়ে ভালো হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ