ওয়াকিটকি কেনায় অনিয়মের অভিযোগে ডিএনসিসিতে দুদকের অভিযান
Published: 17th, August 2025 GMT
ওয়াকিটকি কেনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দুদক।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও একটি দেশি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি একটি চীনা কোম্পানির সনদ ব্যবহার করেছে বলেও জানা গেছে।
অভিযান পরিচালনাকারী দল ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংগ্রহ করেছে।
প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএনসিসির ক্রয়কৃত ওয়াকিটকির দাম অন্যান্য সরকারি সংস্থার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। এ বিষয়ে প্রকিউরমেন্ট-সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। যাচাই শেষে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদকের টিম।
এদিকে ঘুষের বিনিময়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলিল রেজিস্ট্রেশনের অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী সাবরেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুদক। অভিযোগের ভিত্তিতে বাউনিয়া মৌজার ১০ শতাংশ জমির রেজিস্ট্রেশন দলিল, খতিয়ান, দাখিলা ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করে।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, জমিটি ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রি করা হয়। খতিয়ান অনুযায়ী এটি পুকুর শ্রেণিভুক্ত হলেও খাজনা রসিদে বাণিজ্যিক শ্রেণিভুক্ত দেখানো হয়েছে। একই জমি ২০১২ সালে পুকুর (বাণিজ্যিক) শ্রেণিতে রেজিস্ট্রি হয়েছিল। হঠাৎ শ্রেণি পরিবর্তনকে অস্বাভাবিক মনে করছে দুদক টিম।
দুদক জানিয়েছে, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস থেকে অতিরিক্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও যাচাই করে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড এনস স
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ