ওষুধের দোকানে মদ বিক্রি, বাবা-ছেলেসহ আটক ৩
Published: 19th, September 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে ওষুধের দোকানে মদ বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে লক্ষ্মীপুর সদর থানা রোড এলাকায় ‘জয় ফার্মা’ ও এর পেছনের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—ওষুধের দোকানের মালিক কিশোর কুমার সাহা, তার ছেলে জয় সাহা ও কর্মচারী শ্রীধাম চন্দ্র বাছার। এ সময় ২৩ লিটার মদ জব্দ করা হয়।
কিশোর কুমার সাহা লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী ও পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকার বাসিন্দা। শ্রীধাম বাছার চাঁদপুরের হাইমচর এলাকার মৃত অনিল চন্দ্র বাছারের ছেলে।
সেনাবাহিনীর লক্ষ্মীপুর সদর ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন রাহাত খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, কিশোর কুমার অবৈধভাবে থানা রোড এলাকায় মদ বিক্রি করতেন। তারা বাড়ির সামনেই ওষুধের দোকানে মদ বিক্রি করছিলেন। অভিযান চালিয়ে তাদেরকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অভিযোগ আছে, কিশোর কুমার সাহা লক্ষ্মীপুর শহরের প্রবেশমুখ উত্তর ত্রিমোহনী এলাকাতেও দীর্ঘদিন ধরে দেশি মদের দোকান পরিচালনা করছেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ আছে। এ দোকানকে কেন্দ্র করে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত মদের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা আশা করছেন।
ঢাকা/লিটন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর লক ষ ম প র মদ ব ক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘৭০ ভাগ জনগণ পিআর পদ্ধতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে’
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। এরপর ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। সেই জনগণের ৭০ ভাগ পিআর পদ্ধতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। ঐকমত্য কমিশনে ৩১টি দলের মধ্যে ২৫টি দল পিআরের পক্ষে রয়েছে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে খুলনা নগরের ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বরে জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘একটি দলের কেউ কেউ বলছেন, পিআর খায় না মাথায় দেয়। কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এটা বলতে পারেন না। তাই পিআর বাস্তবায়নের জন্য গণভোট দিন। রায় পিআরের পক্ষে নাকি বিপক্ষে যাচাই করুন। জনগণ যদি পিআর মানে আপনাদেরও মানতে হবে। আর জনগণের রায় যদি পিআরের বিপক্ষে যায়, তাহলে আমরা মেনে নেব। কিন্তু তারা তো গণভোটকে ভয় পাচ্ছে। পিআরের মধ্য দিয়ে সবার অংশীদারির ভিত্তিতে যদি পেশিশক্তি ও কালোটাকামুক্ত কোয়ালিটিপূর্ণ পার্লামেন্ট হয়, সরকার গঠন হয়, তাহলে কোনো দলের পক্ষে ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই। তাই তারা পিআর ঠেকাতে চায়।’
জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরের আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহ আলম ও শেখ জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক আবদুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম এবং কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও খুলনা জেলার আমির মাওলানা এমরান হুসাইন প্রমুখ।
মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘আর্টিকেল ৭-এর ভিত্তিতেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে তার আলোকে নির্বাচন দিতে হবে। এখন যদি দুই-তিন মাস আলোচনার পর একটি দল বলে যে এটা পরে হবে, তাহলে কেন এত পরিশ্রম করালেন? সে জন্যই বলছি আমাদের আন্দোলন রাজনীতির অংশ। আমাদের রাজনীতি জনগণের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরার জন্য। আমরা আলোচনার টেবিলে নিষ্পত্তির জন্য আশাবাদী। আমরা নিরাশ নই।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আপনারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড মেনটেইন করতে পারছেন না। তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কীভাবে? তাই আমাদের দাবি—আপনারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিন। সাংবিধানিক অর্ডার জারি করুন। গণভোট দিন। ফ্যাসিবাদের কার্যক্রম স্থগিত করুন। আপনারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান বিচার করবেন। আমাদেরও দাবি নির্বাচনের আগেই তা দৃশ্যমান করতে হবে।’
মতিউর রহমান আকন্দ আরও বলেন, ‘এই সংস্কার যদি এখন না হয়, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য যদি ঠিক করা না হয়, আর তা যদি নির্বাচনের আগে না হয়, বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামোতে যদি আবার নির্বাচন হয়, তাহলে এই নির্বাচনের মাধ্যমে আরেকটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। বিদ্যমান কাঠামোতে নির্বাচন হলে আরেকটি হাসিনার জন্ম হবে। বাংলার মানুষ আর ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে দেবে না।’
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বর থেকে শুরু হয়ে ফেরিঘাট মোড়, পাওয়ার হাউস মোড় ও সংগীতার সামনে দিয়ে শিববাড়ী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।