হার্ট অ্যাটাকের এই লক্ষণগুলো এড়িয়ে যাবেন না
Published: 24th, September 2025 GMT
হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ ব্যহত হলে এর কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হয় না। হার্টে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালী যদি কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে হার্টে রক্ত পৌঁছাতে পারে না। হার্টের মাংসপেশি অক্সিজেনশূন্য হয়ে পড়ে। হার্ট অ্যাটাকের বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে, যেগুলো কোনো একটি উপসর্গ তীব্র আকারে দেখা দিলে রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে। ব্যক্তিভেদে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গগুলো আলাদা হতে পারে। সাধারণ উপসর্গগুলো জেনে নিন।
বুকের মাঝ বরাবর ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ হলো বুকের মাঝ বরাবর ব্যথা অনুভূত হওয়া। আক্রান্ত ব্যক্তির মনে হতে পারে বুকের মধ্যে কেউ ছুরি চালাচ্ছে বা বুকের মধ্যে হাতি পাড়া দিচ্ছে এবং বুকের হাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে। বুকে তীব্র ব্যথার সাথে সাথে যদি চরম অস্বস্তিবোধ থাকে তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
আরো পড়ুন:
বাস্তবে নেই, কাগজে-কলমেই আছে নাচোলের ৩ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র
শরীরচর্চার পরে গরম নাকি ঠান্ডা পানিতে গোসল করা ভালো
হাত ও ঘাড় ব্যথা
হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহে বাঁধা তৈরি হয়ে বাম হাত ও ঘাড়ের দিকে ছড়িয়ে পড়বে। যাকে বলা হয় ‘ব্যথাটা রেডিয়েট’ করা। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ডেভিড নিউবি বলেন, ‘‘যদি ব্যক্তির বাম হাতে ব্যথা নিচের দিকে নামতে থাকে এবং সেই সাথে গলায় চেপে ধরা ভাব থাকে তাহলে সেটি হার্টের সমস্যার লক্ষণ।’’
পেটে তীব্র ব্যথা
আক্রান্ত ব্যক্তির বুকের প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এই ব্যথাকে অনেকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা মনে করতে পারেন। সেক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার চেয়ে তীব্র হয়ে থাকে। ব্যথার সঙ্গে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়াও থাকবে।
কাশি ও শ্বাসকষ্ট
হার্ট অ্যাটাকের গুরুত্বর উপসর্গ হলো কাশি ও শ্বাসকষ্ট। হার্ট ফেইলর হলে ফুসফুসে পানি আসে। এর কারণে রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এই অবস্থা দেখা দিলে হার্ট আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে, ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তখন সারা দেহে পানি এসে পড়ে।
অতিরিক্ত ঘাম
আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর অস্থির হয়ে পড়ে, বুকে ব্যথা হয়, তাই তখন অস্বাভাবিক বা প্রচণ্ড রকমের ঘাম হয়। তখন বুকে ব্যথার সাথে সাথে ঘাম শুরু হয়, অস্থির লাগে।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
হার্ট অ্যাটাক হলে বুকের ব্যথা অনেক সময় এতটা তীব্র হতে পারে যে, এতে আক্রান্ত রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন।
বমি বমি ভাব ও বমি
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন-সিডিসি'র তথ্য,‘‘ আক্রান্ত রোগী কোনো কারণ ছাড়াই বমি শুরু করতে পারেন। এবং কারণ ছাড়াই ক্লান্ত হতে পারেন, এর সঙ্গে বুকে ব্যথা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।’’
সূত্র: বিবিসি
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন উপসর গ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্প যদি নোবেল শান্তি পুরস্কার চান, গাজার যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে: এমানুয়েল মাখোঁ
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সত্যিই নোবেল শান্তি পুরস্কার জিততে চান, তবে তাঁকে গাজার যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
নিউইয়র্ক থেকে ফ্রান্সের বিএফএম টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাখোঁ বলেন, শুধু ট্রাম্পেরই ক্ষমতা আছে ইসরায়েলকে যুদ্ধ শেষ করার জন্য চাপ দেওয়ার।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘এ বিষয়ে কিছু করার ক্ষমতা একজনের আছে। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।’
আরও পড়ুনট্রাম্প কি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাবেন, নিয়ম কী বলছে১১ জুলাই ২০২৫মাখোঁ আরও বলেন, ‘আরেকটি কারণে তিনি (ট্রাম্প) আমাদের চেয়ে বেশি করতে পারেন। তা হলো, আমরা এমন কোনো অস্ত্র সরবরাহ করি না, যা গাজায় যুদ্ধ চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। আমরা এমন কোনো সামগ্রী সরবরাহ করি না, যা গাজায় যুদ্ধ চালানোর সুযোগ করে দেয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা করে।’
আমাদের অবিলম্বে গাজার যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। আমাদের অবিলম্বে শান্তি আলোচনা শুরু করতে হবে।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্টএদিন ট্রাম্প জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় কড়া ভাষায় বক্তৃতা দেন। তিনি পশ্চিমা মিত্রদের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, এটি হামাসের জন্য পুরস্কার হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের অবিলম্বে গাজার যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। আমাদের অবিলম্বে শান্তি আলোচনা শুরু করতে হবে।’
আরও পড়ুনট্রাম্প ও নেতানিয়াহু মূলত ‘জেনোসাইড পুরস্কারের’ যোগ্য ২৭ আগস্ট ২০২৫ট্রাম্পের বক্তৃতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মাখোঁ বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্টকে দেখি, যিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছেন। আজ সকালে পডিয়াম থেকে তিনি পুনরায় বলেছেন, “আমি শান্তি চাই। আমি সাতটি সংঘাত সমাধান করেছি।” তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার চান। নোবেল শান্তি পুরস্কার শুধু তখনই সম্ভব, যদি আপনি এই সংঘাত (গাজা যুদ্ধ) বন্ধ করেন।’
কাম্বোডিয়া, ইসরায়েল, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ ট্রাম্পকে এ বছর নোবেল পুরস্কার দেওয়ার জন্য মনোনয়ন দিয়েছে।
গতকাল ট্রাম্প জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় কড়া ভাষায় বক্তৃতা দেন। তিনি পশ্চিমা মিত্রদের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, এটি হামাসের জন্য পুরস্কার হবে।ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এ পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য, যা তাঁর চারজন পূর্বসূরি প্রেসিডেন্টকে দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি বলেছেন, ‘যাঁরা জাতিসংঘে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তির জন্য একাই তাঁদের সবার চেয়ে বেশি কাজ করেছেন।’
আরেকটি কারণে তিনি (ট্রাম্প) আমাদের চেয়ে বেশি করতে পারেন। তা হলো, আমরা এমন কোনো অস্ত্র সরবরাহ করি না, যা গাজায় যুদ্ধ চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। আমরা এমন কোনো সামগ্রী সরবরাহ করি না, যা গাজায় যুদ্ধ চালানোর সুযোগ করে দেয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা করে।এমানুয়েল মাখোঁ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টমুখপাত্র আরও বলেন, ‘শুধু এই প্রেসিডেন্টই বিশ্বে স্থিতিশীলতার জন্য এত কিছু অর্জন করতে পেরেছেন। কারণ, তিনি কার্যত যুক্তরাষ্ট্রকে আবার শক্তিশালী করেছেন।’
আরও পড়ুনট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দেওয়ার সুপারিশ করবে পাকিস্তান, রহস্য কী২১ জুন ২০২৫