পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. মাসুদুর রহমান হামলার শিকার হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবগঠিত উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের কমিটির শুভেচ্ছা বিনিময় ও আনন্দ মিছিল শেষে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন মাসুদুর রহমান। পথে মুসলিমপাড়া এলাকায় মুখ বাঁধা কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। খবর পেয়ে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.

আল আমিন বলেন, ‘কিছু দিন আগে দশমিনা উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের নতুন কমিটি হয়। এ উপলক্ষে আমরা গতকাল রাতে আনন্দ মিছিল করি। মিছিল শেষে মাসুদুর রহমান বাসায় ফেরেন। কিছুক্ষণ পর তিনি আমাকে ফোন দিয়ে জানান, তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করি।’

হামলার শিকার মাসুদুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে উপজেলা থেকে ফেরার পথে মুখ বাঁধা কিছু ব্যক্তি তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে। তাঁর ধারণা, কমিটিকে কেন্দ্র করে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এ হামলা হতে পারে।

দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আলীম প্রথম আলোকে বলেন, মাসুদুর রহমানের ওপর হামলার অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম স দ র রহম ন দশম ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাসচাপায় শিশুশিক্ষার্থী নিহত, বাসে আগুন

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় বাসের ধাক্কায় এক মাদ্রাসাছাত্রী নিহত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার রান্ধুনীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের বেতকা-সিরাজদিখান সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বাসটিতে আগুন দেয় উত্তেজিত জনতা।

নিহত আরবী (৬) বেতকা ইউনিয়নের রান্ধুনীবাড়ি এলাকার আলমগীরের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নূরানী শাখার ছাত্রী ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল আরবী। এ সময় একটি বাস টঙ্গিবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরবীকে চাপা দেয়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পরপর বাসের চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে যান। একপর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন যাত্রীদের নামিয়ে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পরে ঘণ্টাখানেক ধরে সিরাজদিখান-বেতকা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় বাসটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, স্বজনেরা শিশুটির লাশ বাড়ি নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ