পারস্পরিক সৌহার্দ্যই আমাদের শক্তি: হাসানাত
Published: 29th, September 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘‘আমি দেশের সকল নাগরিক, সকল সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের অনুরোধ করব— আপনারা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতামূলক ও সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকুন। সম্প্রীতি বা পারস্পরিক সৌহার্দ্যই আমাদের শক্তি।’’
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
নিউইয়র্কে ডিমকাণ্ড: হার্ড লাইনে এনসিপি, ‘প্রভাব পড়বে রাজনীতিতে’
দারোয়ান পরিবর্তন করে আমরা ৫০ বছর দেখেছি: হাসনাত
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে দুর্গাপূজা উৎসব কেন্দ্র করে সমাজে এক আতঙ্ক ও উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল।’’
হাসানাত আবদুল্লাহ আরো লেখেন, ‘‘রাজনৈতিক কূটচালের অংশ হিসেবে হিন্দুদের বারবার রাজনৈতিক বলির শিকার করা হয়েছে। শাসকদলের আশ্রয়ে থাকা দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলার অপচেষ্টা করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির ঘৃণ্য খেলায় মেতেছিল। এর ফলস্বরূপ, উৎসবের আনন্দ বদলে গিয়েছিল নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্কে।’’
গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশে রাজনৈতিক কূটচালের শিকার হতে দেওয়া হবে না বলে জানান এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক। তিনি লিখেছেন, ‘‘গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া এই নতুন বাংলাদেশে, আমরা সেই সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি ও ভয়ের সংস্কৃতিকে চিরতরে বিদায় জানাতে বদ্ধপরিকর। কোনো ধর্মীয় উৎসবকে আর কখনোই রাজনৈতিক কূটচালের শিকার হতে দেওয়া হবে না।’’
অন্তর্বর্তী সরকার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেন, ‘‘আপনারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। প্রতিটি পূজামণ্ডপ, প্রতিটি ঘর এবং প্রত্যেকটি হিন্দু ধর্মালম্বী নাগরিক যেন নির্বিঘ্নে ও নিশ্চিন্তে এই উৎসব সম্পন্ন করতে পারেন। আমরা কঠোরভাবে নিশ্চিত করব, অতীতের কোনো অপচেষ্টা যেন এই সময়ে পুনরাবৃত্তি না হয়।’’
পরিশেষে তিনি লেখেন, ‘‘আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রমাণ করি, নতুন বাংলাদেশ হলো নিরাপত্তা, সম্মান, এবং সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের বাংলাদেশ।’’
সারা দেশে সনাতন ধর্মালম্বীরা দুর্গাপূর্জা উদযাপন করছে। আগামী বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূর্জা শেষ হবে।
ঢাকা/রায়হান/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।