এনআরবি ব্যাংকের ২টি নতুন পণ্য চালু
Published: 30th, September 2025 GMT
এনআরবি ব্যাংক সম্প্রতি ‘এনআরবি প্রতিদিন’ ও ‘অটো ফিক্সড লোন’ নামে দুটি উদ্ভাবনী পণ্য চালু করেছে। এর মধ্যে এনআরবি প্রতিদিন হচ্ছে দৈনিক মুনাফাভিত্তিক পণ্য; আর অটো ফিক্সড লোন হলো প্রি-রেজিস্টার্ড বা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি ক্রয়ের জন্য বিশেষ ঋণসুবিধা। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তারেক রিয়াজ খান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো.
ব্যাংকের প্রধান প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মো. রেজাউল শাহরিয়ার ও ট্র্যানজেকশন ব্যাংকিং বিভাগের কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার সাজা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে পরীক্ষায় ফেলেছে
ভারতের কাছে কিছু বন্ধুত্ব কৌশলগত দিক থেকে যেমন মূল্যবান, তেমনই এর রাজনৈতিক দায়ভারও অনেক বেশি। বাংলাদেশের সাবেক নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে নয়াদিল্লির দীর্ঘদিনের সখ্যা অনেকটা তেমনই।
ক্ষমতায় থাকার ১৫ বছরে শেখ হাসিনা ভারতকে এমন কিছু দিয়েছেন, যা নয়াদিল্লি তার দিক থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সেগুলো হলো স্থিতিশীলতা, যোগাযোগ এবং চীনের পরিবর্তে ভারতের সঙ্গে নিজেদের স্বার্থ সমন্বয় করতে ইচ্ছুক এক প্রতিবেশী।
বর্তমানে শেখ হাসিনা সীমান্তের ওপারে ভারতে অবস্থান করছেন। কিন্তু বাংলাদেশে একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে দমন–পীড়নের কারণে, যে বিক্ষোভে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।
২০২৪ সালের ওই বিক্ষোভ শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করে এবং তাতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পথ সুগম হয়। আগামী বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
এই সব কিছু মিলিয়েই একটি কূটনৈতিক জটিলতা তৈরি হয়েছে। ঢাকা শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চায়, কিন্তু নয়াদিল্লি তাতে সায় দেওয়ার কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এতে কার্যত তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
নয়াদিল্লি যে মানবিক আশ্রয় দিতে চেয়েছিল, তা এখন একটি দীর্ঘ ও অস্বস্তিকর পরীক্ষায় পরিণত হচ্ছে। আর সেটা হলো দিল্লি তার এক পুরোনো মিত্রের জন্য কত দূর যেতে ইচ্ছুক এবং এই প্রক্রিয়ায় সে কূটনৈতিক সক্ষমতার কতটুকু ব্যয় করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
অভূতপূর্ব গণজাগরণে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিজয় উদ্যাপন। ৫ আগস্ট ২০২৪, সংসদ ভবন এলাকায়