‘ট্রাম্পের পদক্ষেপগুলো শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে ব্যাহত করবে’
Published: 4th, October 2025 GMT
নোবেল পুরস্কার প্রদানকারী একটি সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য স্থানে একাডেমিক স্বাধীনতা হুমকির মুখে রয়েছে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ শিক্ষা ও গবেষণার ওপর দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাবের ঝুঁকিতে রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন বা প্রস্তাব করেছেন যা সমালোচকদের মতে শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে ব্যাহত করবে।
রসায়ন, পদার্থবিদ্যা এবং অর্থনীতিতে পুরষ্কার প্রদানকারী রয়েল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইলভা ইংস্ট্রম জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের পরিবর্তনগুলো বেপরোয়া।
ইলভা ইংস্ট্রম বলেছেন, “আমি মনে করি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী উভয়ক্ষেত্রেই এর বিধ্বংসী প্রভাব পড়তে পারে। একাডেমিক স্বাধীনতা .
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্বের বৃহত্তম জৈব চিকিৎসা গবেষণার তহবিল প্রদানকারী জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বাজেট কমানোর প্রস্তাব করেছেন। এছাড়া রাজ্যগুলো যাতে শিক্ষাব্যবস্থায় আরো নিয়ন্ত্রণ পেতে পারে সেজন্য শিক্ষায় ফেডারেল সরকারের ভূমিকা সঙ্কুচিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা বিভাগ ভেঙে দিতে চান ট্রাম্প।
তার প্রশাসন জানিয়েছে, তারা ‘দেশপ্রেমিক শিক্ষা’ভিত্তিক প্রকল্পগুলোতে অনুদানের অর্থ প্রদানকে অগ্রাধিকার দেবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির সীমা ১৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
রয়েল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইলভা ইংস্ট্রম বলেছেন, “গবেষণার ক্ষেত্রে আমেরিকান বিজ্ঞানীরা কী করতে পারেন এবং কী করার অনুমতি পান, কী প্রকাশ করতে পারেন, কীসের জন্য অর্থ পেতে পারেন, তার উপর এটি একটি বড় প্রভাব ফেলবে। তাই এর বড় প্রভাব পড়বে।”
২০২৪ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত আমেরিকান অর্থনীতিবিদ সাইমন জনসন জানান, ট্রাম্পের পদক্ষেপগুলো অবশ্যই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করবে।
তিনি বলেন, “এই নীতিগুলো একেবারে, স্পষ্টতই খুবই নেতিবাচক এবং বিশেষ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য। আমি মনে করি, সমস্ত প্রকৌশল এবং বিজ্ঞান ধরনের কার্যক্রম প্রভাবিত হবে।”
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২২০ বছরের পুরোনো এক আমগাছ তলায় এবার তাঁবুবাস করেছি
ক্লান্ত শরীর অথচ চোখে ঘুম নেই। অন্ধকারে তাঁবুর ভেতর শুয়ে আছি, হঠাৎই কানে এল তাঁবুর কাছে প্রাণীর হাঁটাচলা। তাদের ডাকে অরণ্যের গভীর নিস্তব্ধতা যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল। বুঝতে বাকি থাকল না, দলটা শিয়াল পণ্ডিতদের। মুহূর্তেই পাহারায় থাকা কুকুর মহাশয় দৌড়ে এল গর্জন করতে করতে। শিয়ালরা এক ঝটকায় সটকে পড়ল।
ক্যাম্পসাইটে আসার পরই দেখেছি লেজ নেড়ে নেড়ে ঘুরে বেড়াতে, সেই কুকুর মহাশয়ই এখন অতন্দ্রপ্রহরী। চারদিকে চক্কর দিচ্ছে। জুয়েল হেসে বলল, ‘ওকে কিছু খাবার দিলেই সারা রাতের জন্য সবচেয়ে বিশ্বস্ত পাহারাদার হয়ে যাবে।’
সত্যিই তা–ই হলো। সামান্য খাবারের বিনিময়ে কুকুরটা যেন দায়িত্ব নিল পুরো ক্যাম্পসাইটের। রাতের নিস্তব্ধতা আর শিয়ালের ডাকের ভেতর কুকুরের উপস্থিতি এনে দিল এক অদ্ভুত নিরাপত্তার আশ্বাস।
এই মৌসুমের প্রথম ক্যাম্প। তাঁবু পেতেছি এক প্রাচীন অভিভাবকের ছায়ায়, আনুমানিক ২২০ বছরের পুরোনো এক সূর্যপুরী আমগাছ। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা হরিণমারীর এই গাছের নাম শুনেছি বহুবার, কিন্তু দেখা হয়নি কখনো। আজ অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হলো।
দলেবলে