লাওতারো রিভেরো: ফুটপাতের বিস্কুট বিক্রেতা থেকে আর্জেন্টিনা দলে মেসির সতীর্থ
Published: 5th, October 2025 GMT
বয়স এখনো ২১ হয়নি। কিন্তু এ অল্প বয়সেই জীবন যেন সব রং, সব স্বাদ দেখিয়ে দিয়েছে লাওতারো রিভেরোকে। গতকাল রাত পর্যন্তও আর্জেন্টিনার বাইরে তেমন কেউ চিনত না এ নামটি। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন রিভেরো। তাঁকে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডেকেছেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। আর দলে ডাক পাওয়ার পর সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে গেছে তাঁর জীবনের গল্পটা—সংগ্রাম, বঞ্চনা আর ফিরে আসার লড়াইয়ের গল্প।
কয়েক মাস আগেও ধারে খেলছিলেন সেন্ট্রাল কর্দোবার হয়ে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে রিভার প্লেট তাঁকে ফিরিয়ে নেয় দলে। এই সেন্টারব্যাক রিভেরোকে ফেরাতে তারা কার্যকর করে তাঁর বাই-আউট ক্লজ, যাতে তিনি ক্লাব বিশ্বকাপেও খেলতে পারেন।
সেই সুযোগে এখন তিনি রিভার প্লেটের রক্ষণের নির্ভরযোগ্য মুখ। আর আন্তর্জাতিক বিরতিতে আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলা ও পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে খেলার ডাকও পেয়েছেন। তবে তাঁর সাফল্যের এই অধ্যায়ের আগে আছে এক কঠিন, কণ্টকাকীর্ণ পথচলা। কয়েক বছর আগেও তাঁর বাস্তবতা ছিল একেবারে অন্য রকম।
আরও পড়ুনতিন চমক নিয়ে আর্জেন্টিনা দল ঘোষণা করলেন স্কালোনি২২ ঘণ্টা আগেআরও অনেক আর্জেন্টাইন ফুটবলারের মতোই দারিদ্র্যের মধ্যেই কেটেছে রিভেরোর শৈশব। পাঁচ ভাই-বোনের সংসারে প্রতিদিনই ছিল টানাপোড়েন। ঘরে খাবার জোগাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আলফাখোরস (একধরনের মিষ্টি জাতীয় বিস্কুট) বিক্রি করতেন তিনি। শুধু নিজের পেটের দায়ে নয়, পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতেও।
২০২২ সালে রিভার প্লেটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে নিজের সেই দিনগুলোর কথা বলেছিলেন রিভেরো, ‘আমরা খুব সাধারণ ও পরিশ্রমী পরিবার। আমার প্রথম লক্ষ্য সব সময় ছিল, পরিবার যেন ভালো থাকে—মা-বাবা আর ভাইবোনেরা যেন কিছুতে কষ্ট না পায়। তাদের জন্যই আমি এখানে। কঠিন সময় পার করতে হয়েছে, কিন্তু ওরাই আমাকে এগিয়ে যেতে শিখিয়েছে।’
সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ আলো ছড়াচ্ছেন রিভেরো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি বন্ধ করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়সহ সব শাখা কার্যালয় থেকে সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড বিক্রিসহ পাঁচ ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই সেবা বন্ধের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী, সিলেট, সদরঘাট, বরিশাল ও রংপুর কার্যালয় থেকে এই পাঁচ সেবা দেওয়া বন্ধ। সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড ছাড়া বন্ধ হওয়া সেবার তালিকায় আরও রয়েছে ছেঁড়াফাটা নোট বদল, সরকারি চালানের টাকা জমা দেওয়া ও চালানসংক্রান্ত ভাংতি টাকা প্রদান। এখন থেকে গ্রাহকদের এসব সেবা নিতে হবে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার ও ক্যাশ বিভাগ আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এসব সেবা বন্ধ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বিশ্বের কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাউন্টার থেকে সরাসরি সাধারণ মানুষকে এ ধরনের সেবা দেওয়া হয় না। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহক–সংশ্লিষ্ট এসব সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষকে এসব সেবা দেয়, তা নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়াবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে এ সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ১ ডিসেম্বর থেকে এই সেবা বন্ধের কথা বলা হয়। এরপর ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব শাখা কার্যালয় থেকে এ ধরনের সব সেবা বন্ধের পরিকল্পনা নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে একাধিক সভার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আজ বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এখন তার আগে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যালয় থেকে এসব সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজই এসব সেবা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।