মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে এক্সপ্রেসওয়েতে থেমে থাকা একটি বাসে অন্য আরেক বাসের ধাক্কায় চালকের সহকারী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার সকাল সোয়া আটটার দিকে ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের চালতিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শরিয়তুল্লা (২০) ইমাদ পরিবহনের চালকের সহকারী ছিলেন। তিনি পিরোজপুর সদরের হরিনা গাজীপুর এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলার দিকে যাচ্ছিল। এক্সপ্রেসওয়ের চালতিপাড়া এলাকায় বাসটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। চালতিপাড়া কবরস্থানের কাছে বাসটি মেরামত করা হচ্ছিল। ওই পথেই ইমাদ পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে আসছিল। সকাল সোয়া আটটার দিকে পেছন সেটি হানিফ পরিবহনের বাসের পেছনে ধাক্কা দেয়। ইমাদ পরিবহন বাসের তিনজন গুরুতর আহত হন। বাসটির চালকের সহকারী ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন।

শ্রীনগর ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে আমরা খবর পাই। মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর বহন র

এছাড়াও পড়ুন:

অসময়ের ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষে চমক দেখালেন দুলাল

হবিগঞ্জর বাহুবল উপজেলায় অসময়ে ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ চাষ করে চমক দেখিয়েছেন মো. দুলাল মিয়া নামে এক কৃষক। মাচা পদ্ধতিতে বাড়ির পেছনের ২০ শতক জমিতে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে তিন এই ফলটির আবাদ করেছেন। ভালো ফলন হওয়ায় এই কৃষক আশা করছেন, তিনি তরমুজ বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।

দুলাল মিয়া উপজেলার উত্তর হাফিজপুর গ্রামের বাসিন্দা। ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষে তাকে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম।

আরো পড়ুন:

পঙ্গুত্ব তাকে ভিক্ষুক নয়, বানিয়েছে ব্যবসায়ী

ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির

উত্তর হাফিজপুর গ্রামে দুলালের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ কচি লতাপাতার মাঝে প্রায় ৬০০ গাছে ঝুলছে কালো রঙের শত শত তরমুজ। ছোট-বড় তরমুজে নুয়ে পড়েছে মাচা। মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। পোকা দমনে ব্যবহার হয়েছে ফেরোমন ফাঁদ। ফলে কীটনাশক তেমন একটা ব্যবহার করতে হচ্ছে না। দুলাল মিয়ার এই তরমুজ চাষ দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী।   

দুলাল মিয়া জানান, এ বছর তিনি প্রায় ২০ শতক জমিতে ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজের চারা রোপণের জন্য কিছুদূর পরপর তৈরি করেন বেড। পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পর বেডের নির্দিষ্ট স্থান ফুটো করে বীজ রোপণ করেন। চারা গজালে বাঁশ ও সুতা দিয়ে মাচা তৈরি করেন। বাঁশের খুঁটি দিয়ে মাচায় চারা তুলে ক্ষেত প্রস্তুত করেছেন।

তিনি জানান, তরমুজ চাষে প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন। বর্তমান বাজারে কালো রঙের তরমুজের প্রতি কেজির দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সে হিসেবে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, “এ অঞ্চলের মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলে কৃষি উন্নয়ণ প্রকল্পের আওতায় মাচায় তরমুজ প্রদর্শনী করেন কৃষক মো. দুলাল মিয়া। তিনি তরমুজ আবাদ করে সফল। তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি। তার তরমুজ চাষে সফলতা দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হয়েছেন।”

তিনি বলেন, “কৃষকরা পরামর্শ চাচ্ছেন। তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এক কথায়, কালো রঙের তরমুজ চাষে কৃষক দুলাল চমক দেখিয়েছেন।”  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চিন্ময় কর অপু বলেন, “তরমুজ চাষ বাহুবলে ছিল না। আমরা কৃষকদের উৎসাহ দিয়েছি। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তরমুজ চাষ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে উত্তর হাফিজপুর গ্রামে অসময়ে কালো রঙের তরমুজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন দুলাল নামে এক কৃষক।”

তিনি বলেন, “কালো তরমুজ চাষের জন্য বাহুবলের মাটি বেশ উপযোগী। এ জাতের তরমুজ রসালো ও সুস্বাদু হয়।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ