যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত এক শিক্ষার্থী দেশে ফিরে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বিক্রির জন্য ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেটি দেখে ৭৮ হাজার টাকায় মুঠোফোনটি কিনে নেন এক ব্যক্তি। তবে মূল্য হিসেবে পরিশোধ করেন জাল টাকা। পাঁচ বছর আগের এ ঘটনায় করা মামলায় জাল টাকা দেওয়া ওই ব্যক্তির ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরা এ রায় দেন। আদালতে নিযুক্ত সরকারি কৌঁসুলি মোরশেদুর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কারাদণ্ড পাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মহিউদ্দিন আল আজাদ। তাঁর বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী এলাকায়। তবে তিনি চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানা এলাকায় থাকতেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ প্রথম আলোকে বলেন, আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, জালিয়াতির ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর। মুঠোফোনটি বিক্রি করেন ফাহিম মোর্শেদ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেট্রোপলিটন স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। দেশে বেড়াতে তিনি নিজের ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বিক্রির জন্য ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। তাঁর পোস্ট দেখে মহিউদ্দিন আল আজাদ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর মূল্য হিসেবে ৭৮টি এক হাজার টাকার নোট দেন। ফাহিম মোর্শেদ পরে জানতে পারেন, মুঠোফোন বিক্রি করে পাওয়া সব টাকা জাল। তবে তিনি বিদেশে চলে যাওয়ায় তাঁর মামা নিজামুদ্দিন এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে মুঠোফোন কেনা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরু হয়। ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত রায় দিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ঠ ফ নট

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে জমি নিয়ে বিরোধে চাচাতো ভাইকে ‘চোর’ তকমা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ