নাটোরে পাখি শিকার করতে নিষেধ করায় গুলি, একজন আহত
Published: 5th, October 2025 GMT
নাটোরের লালপুরে পাখি শিকার করতে নিষেধ করায় রিপন কাজী (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করেছেন পাখি শিকারিরা। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কলসনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত রিপন কাজী ওই গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভবানীপুর গ্রামের জাহিদ (২৫), সামাউন (৩০) ও আশরাফুল (৩২)—এই তিনজন রিপন কাজীর বাড়ির সামনে এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার করছিলেন। এ সময় রিপন তাঁদের পাখি শিকার করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে জাহিদ হাতে থাকা এয়ারগান দিয়ে রিপনের পেটে গুলি করেন।
আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন রিপনকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, তাঁর পেটের চামড়ায় এয়ারগানের গুলি আটকে আছে। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলেই জাহিদ, সামাউন ও আশরাফুলকে পিটুনি দিয়ে আটক করে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের একটি মোটরসাইকেল ও একটি এয়ারগানসহ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিজের প্রতি ‘অবহেলার অভ্যাস’ কাটিয়ে উঠুন
আপনি হয়তো মনে প্রাণে একজন সুপার মা, সুপার স্ত্রী, সুপার পেশাজীবী কিংবা সুপার নারী হতে চাচ্ছেন। সবকিছুতে পারফেক্ট হতে গিয়ে হয়তো নিজের দিকেই খেয়াল করার সময় পাচ্ছেন না। নিজেকে অবহেলা করা হয়তো আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে! ভেবে দেখেছেন কী—আপনি যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে কী হবে? সব কিছু থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া ছাড়া আপনার হাতে আর কোনো উপায়ই অবশিষ্ট থাকবে না। তাই ঘর গুছিয়ে নেওয়ার আগে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিন। ব্যায়াম করার জন্য সময় ও সুযোগ বের করুন। মাঝে মধ্যে নিজের শখগুলোকে প্রাধান্য দিন। কখনও একটি আইসক্রিম শুধু নিজের জন্য কিনুন। নিজেকে ভালোবাসতে ভুল করবেন না যেন! আপনি যদি মানসিক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন—দেখবেন আর কোথাও ‘পারফেকশনিজম’ টিকিয়ে রাখতে পারছেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন. ‘পারফেকশনিজম’ আপনার মনের ভীতি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আরো পড়ুন:
পাখি কেন ভি আকারে ওড়ে
ছোট মগে নাকি বড় মগে কফি পান করা ভালো?
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ও উইসকনসিনের স্টেটস অব ওয়েলনেস কাউন্সেলিংয়ের একজন সাইকোথেরাপিস্ট শ্যানন গার্সিয়া বলেছেন, ‘‘পারফেকশনিজম হলো এক ধরনের উদ্বেগ। এটি এলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা আপনার ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাওয়ার বদলে পিছিয়ে দিতে পারে। দেখা যায়, আপনি হয় ভয়ে কাজগুলো এড়িয়ে চলতে শুরু করেছেন—এই ভেবে যে, হয়তো নিখুঁতভাবে কাজটি আর করাই হয়ে উঠবে না। কিংবা আপনি কোনো একটি কাজ নিখুঁত করার চেষ্টায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে ফেলবেন।’’
নিউজার্সি-ভিত্তিক সাইকোথেরাপিস্ট অ্যাঞ্জেলা ক্ল্যাক বলেন, ‘‘পারফেকশনিস্ট মানসিকতায় আপনি যখন আপনার লক্ষ্যে পৌঁছান, তখন আপনার পরবর্তী চিন্তা থাকে শুধু, এর পরে কী আসবে? সেই বিষয়ে।’’
পারফেকশনিস্টরা তাদের প্রতিযোগীদের দিকে তাকিয়ে আরও পরিশীলিত, আরও নিখুঁত হতে চায়। যার ফলে, তারা কখনই তাদের জয়ের মুহূর্তগুলোও উপভোগ করতে পারেন না।’’
এর ফলে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। দেখা দিতে পারে মাথাব্যথা, অনিদ্রা, ডিপ্রেশনসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। তাই সবার কাছে, সব কাজে পারফেকশনিস্ট হতে যাবেন না। এতে নিজের প্রতি অবহেলা বাড়তে পারে।
আর নিজের প্রতি অবহেলা করার মধ্যে ‘সত্যিকার অর্থ ভালো কিছু নেই।’ নিজের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনুন, নিজের যত্ন নিন। সবার আগে, সবকিছুর আগে নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিন!
ঢাকা/লিপি