সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধে সচেতনতা কর্মসূচি
Published: 5th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ ঘোষণা বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত এক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
আরো পড়ুন:
সচিবালয় দিয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধের যাত্রা শুরু: উপদেষ্টা
চার দিনের ছুটি শেষে সচিবালয়ে প্রাণচাঞ্চল্য
এই কর্মসূচির মাধ্যমে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে প্লাস্টিক বর্জনের প্রয়োজনীয়তা ও পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ড.
তিনি আরো বলেন, “শুধু সরকারি নির্দেশনা নয়, পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যেক নাগরিকের, বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব নিতে হবে। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য আজকের এই কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম-সচিব সালমা সুলতানা, উপ-সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “এ ধরনের সচেতনতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন না হলে শুধু নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে না। প্লাস্টিক বর্জনের পাশাপাশি বিকল্প পণ্যের ব্যবহার নিয়েও আমাদের চিন্তা করতে হবে।”
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শফিক হোসরন বলেন, “আমরা প্রতিদিন এমন অনেক প্লাস্টিক ব্যবহার করি, যেগুলো একবার ব্যবহার করেই ফেলে দিই। আজকের অনুষ্ঠান থেকে বুঝতে পেরেছি, এগুলোর পরিবেশগত ক্ষতি কতটা ভয়াবহ। এখন থেকে নিজেকে এবং আশেপাশের সহকর্মীদেরও সচেতন করতে চেষ্টা করব।”
অনুষ্ঠানে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্ল্যাকার্ড, পোস্টার ও ব্যানার হাতে ‘প্লাস্টিক বর্জন করি, পরিবেশ রক্ষা করি’ শীর্ষক এ কর্মসূচির মাধ্যমে সচিবালয় এলাকায় প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ গঠনের বার্তা ছড়িয়ে দেন।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর একব র ব যবহ র য প ল স ট ক কর মকর ত পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক ২ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের নামে থাকা সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (৯ নভেম্বর) দুদক সূত্র জানায়, নোটিশ পাঠানোর ২১ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। না হলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পৃথক নোটিশে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্য ও অনুসন্ধানের ভিত্তিতে কমিশন বিশ্বাস করেছে যে তারা জ্ঞাত আয়ের বাইরে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
দুদক আইন, ২০০৪-এর ধারা ২৬(১) অনুযায়ী তাদের, তাদের স্ত্রীর এবং নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে থাকা সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস এবং সম্পদ অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ ২১ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে হবে।
দুদক সতর্ক করেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করা বা মিথ্যা তথ্য দেওয়া হলে ধারা ২৬(২) অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ২৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী দুদকে ডা. মাহমুদুল হাসান ও তুহিন ফারাবি বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ এনে অনুসন্ধানের আবেদন করেন। এরপর এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। আর গত ২১ মে সাবেক এই দুই কর্মকর্তাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গত ২৭ মে তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের নামে বিদেশ যাত্রার নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে চিকিৎসক বদলি, টেন্ডার ও প্রশাসনিক তদবিরের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা