সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছে আগের ম্যাচেই। সেই অর্থে শারজায় আজ হতে যাওয়া বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচটি ‘ডেড রাবার’। তবে অতীত ইতিহাস মনে রাখলে বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচের গুরুত্ব কম নয়।

২০১৮ সালে দুই দলের খেলা প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজে বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল আফগানরা। আজ বাংলাদেশ জিতলে অন্তত পুরোনো সেই হিসাবটা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। পাল্টা হিসাব নেওয়ার ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ কেমন হতে পারে?

আগের দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতায় আজও টপ অর্ডারে থাকার কথা তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ও সাইফ হাসানের। এশিয়া কাপে পারভেজ একাদশে জায়গা হারানোর পর ওপেনিং করেছিলেন সাইফ, তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে খেলেছেন তিন নম্বরে।

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শত রানের জুটি গড়েছিলেন তানজিদ ও পারভেজ। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ১৬ রানেই ভেঙে গেছে উদ্বোধনী জুটি। স্কোয়াডে থাকা সৌম্য সরকার ভিসা–জটিলতায় আরব আমিরাত যেতে পারেননি। তিনি না থাকায় শেষ ম্যাচেও টপ অর্ডারের তিন জায়গা অপরিবর্তিত থাকছে।

পরের তিনটি জায়গাও অপরিবর্তিত থাকার কথা। চারে জাকের আলী, পাঁচে শামীম হোসেন আর ছয়ে নুরুল হাসান। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় জ্বরের কারণে প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি।

আজ সুস্থ থাকলে একাদশে ফিরতে পারেন তিনি। সে ক্ষেত্রে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আসবে। কিন্তু কার জায়গায় খেলবেন হৃদয়?

দলে ফিরতে পারেন হৃদয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অর ড র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি বন্ধ করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়সহ সব শাখা কার্যালয় থেকে সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড বিক্রিসহ পাঁচ ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই সেবা বন্ধের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী, সিলেট, সদরঘাট, বরিশাল ও রংপুর কার্যালয় থেকে এই পাঁচ সেবা দেওয়া বন্ধ। সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড ছাড়া বন্ধ হওয়া সেবার তালিকায় আরও রয়েছে ছেঁড়াফাটা নোট বদল, সরকারি চালানের টাকা জমা দেওয়া ও চালানসংক্রান্ত ভাংতি টাকা প্রদান। এখন থেকে গ্রাহকদের এসব সেবা নিতে হবে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার ও ক্যাশ বিভাগ আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এসব সেবা বন্ধ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বিশ্বের কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাউন্টার থেকে সরাসরি সাধারণ মানুষকে এ ধরনের সেবা দেওয়া হয় না। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহক–সংশ্লিষ্ট এসব সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষকে এসব সেবা দেয়, তা নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়াবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে এ সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ১ ডিসেম্বর থেকে এই সেবা বন্ধের কথা বলা হয়। এরপর ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব শাখা কার্যালয় থেকে এ ধরনের সব সেবা বন্ধের পরিকল্পনা নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে একাধিক সভার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আজ বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এখন তার আগে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যালয় থেকে এসব সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজই এসব সেবা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ