হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলা সিনেমার এক সময়ের দর্শকনন্দিত পরিচালক এফ আই মানিক। দীর্ঘ দিন ধরে হার্নিয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন। তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
দীর্ঘ চার ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর এফ আই মানিককে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। শুরুতে তার পাশে স্ত্রীসহ পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে চলচ্চিত্র পরিবারের লোকজন তার পাশে দাঁড়ান। তবে অপারেশনের সময় তার তিন বোনসহ পরিবারের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিসিটিআইয়ের স্বল্পমেয়াদি কোর্সের সনদ প্রদান
৫৮ বছর বয়সে বাবা হলেন আরবাজ
অনেক দিন ধরে হার্নিয়ার যন্ত্রণায় ভুগছিলেন এফ আই মানিক। সেই যন্ত্রণা এতটাই বাড়ে যে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জরুরি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল রাতে সেই অপারেশনের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন মানিক।
অস্ত্রোপচারের খবর জানাতে গিয়ে পরিচালক গাজী মাহবুব আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, “এখন অনেকটা ভালো আছেন মানিক ভাই। কথাও বলছেন। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যেই আবার বাসায় ফিরবেন।”
ঢাকাই সিনেমার সোনালি দিনে একের পর এক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন এফ আই মানিক। সেই মানুষটিকে হাসপাতালের চার দেয়ালের ভেতর দেখতে অনেকেরই কষ্ট হয়।
নব্বই দশক আর দুই হাজার সালের শুরুতে এফ আই মানিকের সিনেমা মানেই হলে দর্শকের ঢল। তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো—‘স্বপ্নের বাসর’, ‘ফুল নেব না অশ্রু নেব’, ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘চাচ্চু’, ‘মনের মধ্যে ভালোবাসা’, ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’।
এফ আই মানিক শুধু একজন নির্মাতা নন, তিনি ঢালিউডের বাণিজ্যিক সিনেমার এক ইতিহাস। তার ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের বিশ্বাস—যেভাবে তিনি পর্দায় গল্প বুনে কোটি দর্শকের হৃদয় জিতে নিয়েছিলেন, সেভাবেই জীবনযুদ্ধেও জয়ী হয়ে আবার ফিরবেন।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
পুরুষ ও মহিলা কাবাডি দলকে জেলা প্রশাসকের আর্থিক অনুদান প্রদান
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুরুষ ও মহিলা কাবাডি দলকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
শনিবার রাতে (৪ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক দুই দলের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। আগামী ৫, ৬ ও ৭ অক্টোবর গোপালগঞ্জে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডির প্রচার ও প্রসারে ক্রীড়ামুখী ও তারুণ্যবান্ধব এই উদ্যোগ নারায়ণগঞ্জ জেলার ক্রীড়াঙ্গনে জেলা প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকরা।
দেশীয় ও ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়ার উন্নয়ন ও প্রতিভা বিকাশে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা অ্যাডহক কমিটির সদস্য ও সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার মো. জাকারিয়া ইমতিয়াজ রবিবার বলেন, খেলাধুলা থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জ জেলায় সবকিছুই এখন সুশৃঙ্খলভাবে চলছে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসকের অনেক অবদান আছে।
তিনি নারায়ণগঞ্জ ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামের সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যেই বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছেন। দ্রুতই ফুটবল মাঠ সংস্কার হবে।