পপসম্রাজ্ঞী ম্যাডোনা যে কারণে চেলসির সমর্থক
Published: 5th, October 2025 GMT
প্রিমিয়ার লিগে গতকাল রাতে শেষ মুহূর্তের গোলে লিভারপুলকে হারিয়ে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে চেলসি। ২-১ গোলের এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার ৬ নম্বরে উঠে এসেছে এনজো মারেসকার দল।
পাশাপাশি ফিরেছে শিরোপার লড়াইয়েও। আর সেই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ স্টামফোর্ড ব্রিজের গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেছেন পপসম্রাজ্ঞী, ‘দ্য কুইন অব পপ’খ্যাত ম্যাডোনা। ফলে চেলসির নাটকীয় জয়ের সঙ্গে আলোচনায় এসেছে তাঁর সরব উপস্থিতিও।
অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার গ্যালারিতে বসে চেলসিকে সমর্থন করতে দেখা গেছে ম্যাডোনাকে। প্রায় এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল একটি ভিডিও।
আরও পড়ুনআবারও যোগ করা সময়ে গোল খেয়ে হারল লিভারপুল, এবার চেলসির কাছে১৭ ঘণ্টা আগেসেখানে ব্রাইটনের বিপক্ষে চেলসির গোল উদ্যাপন করতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর গত এপ্রিলে কনফারেন্স লিগে লেগিয়া ওয়ারশর বিপক্ষে ম্যাচেও ছিলেন তিনি। তবে সেদিন মাঠের খেলার চেয়ে ফোনেই যেন বেশি মনোযোগ ছিল তাঁর।
কিন্তু গতকাল লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি মনোযোগী ছিলেন ম্যাডোনা। ৬৭ বছর বয়সী এই পপ তারকার সঙ্গে ছিলেন তাঁর ২৯ বছর বয়সী সঙ্গী আকেম মরিস। তবে এদিন চিরচেনা গ্ল্যামারাস রূপে হাজির হননি তিনি। কোনো মেকআপ ছাড়াই শীতকালীন কালো কোট পরে হাজির হন স্টেডিয়ামে।
এখন প্রশ্ন উঠছে—কীভাবে ম্যাডোনা চেলসির ভক্ত হলেন? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস জানিয়েছে দুটি সম্ভাব্য কারণ। প্রথমত, ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন পরিচালক গাই রিচির স্ত্রী। রিচি চেলসির নিবেদিত সমর্থক।
সঙ্গীকে নিয়ে প্রায় চেলসির খেলা দেখতে চান ম্যাডোনা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ লস র
এছাড়াও পড়ুন:
সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি বন্ধ করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়সহ সব শাখা কার্যালয় থেকে সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড বিক্রিসহ পাঁচ ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই সেবা বন্ধের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী, সিলেট, সদরঘাট, বরিশাল ও রংপুর কার্যালয় থেকে এই পাঁচ সেবা দেওয়া বন্ধ। সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড ছাড়া বন্ধ হওয়া সেবার তালিকায় আরও রয়েছে ছেঁড়াফাটা নোট বদল, সরকারি চালানের টাকা জমা দেওয়া ও চালানসংক্রান্ত ভাংতি টাকা প্রদান। এখন থেকে গ্রাহকদের এসব সেবা নিতে হবে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার ও ক্যাশ বিভাগ আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এসব সেবা বন্ধ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বিশ্বের কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাউন্টার থেকে সরাসরি সাধারণ মানুষকে এ ধরনের সেবা দেওয়া হয় না। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহক–সংশ্লিষ্ট এসব সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষকে এসব সেবা দেয়, তা নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়াবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে এ সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ১ ডিসেম্বর থেকে এই সেবা বন্ধের কথা বলা হয়। এরপর ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব শাখা কার্যালয় থেকে এ ধরনের সব সেবা বন্ধের পরিকল্পনা নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে একাধিক সভার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আজ বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এখন তার আগে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যালয় থেকে এসব সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজই এসব সেবা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।