মহাকাশে হবে তথ্যভান্ডার, জানালেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস
Published: 5th, October 2025 GMT
পৃথিবীর কক্ষপথে নিরবচ্ছিন্ন সৌরশক্তি ব্যবহার করে ভালো মানের তথ্যভান্ডার (ডেটা সেন্টার) তৈরি করা সম্ভব। এসব তথ্যভান্ডার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ ও ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে বিপ্লব ঘটাতে পারে। আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে মহাকাশভিত্তিক তথ্যভান্ডার তৈরি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। ইতালির তুরিন শহরে অনুষ্ঠিত ‘ইতালিয়ান টেক উইক’-এ এসব কথা বলেন তিনি।
জেফ বেজোসের মতে, কক্ষপথে থাকা তথ্যভান্ডার নিরবচ্ছিন্ন সৌরশক্তিতে চলবে। মহাকাশের বিভিন্ন কাঠামো ইতিমধ্যেই স্যাটেলাইট ও টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পৃথিবীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে। কক্ষপথে থাকা তথ্যভান্ডারও এআই প্রশিক্ষণ, ক্লাউড কম্পিউটিংসহ বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহারের নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
বেজোস বিশ্বাস করেন, কক্ষপথে থাকা তথ্যভান্ডারের ওপর মেঘ, বৃষ্টি বা আবহাওয়াগত কোনো প্রভাব পড়বে না। আর তাই মহাকাশে গিগাওয়াট ক্ষমতার তথ্যভান্ডার তৈরির সুযোগ রয়েছে। মহাকাশে তথ্যভান্ডার তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকলেও সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘণ্টা সৌরশক্তি ব্যবহার করতে পারবে তথ্যভান্ডারগুলো।
আরও পড়ুনঅ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সাফল্যের পেছনের রহস্য১১ অক্টোবর ২০২৪কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উত্থানকে ইন্টারনেটের প্রাথমিক দিনগুলোর সঙ্গে তুলনা করে বেজোস জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ে উন্মাদনা ও জল্পনা অনিবার্য। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সুবিধাগুলো বাস্তব ও দীর্ঘস্থায়ী। স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা থেকে শুরু করে অর্থ ও উৎপাদন পর্যন্ত শিল্পগুলোকে উন্নত করার সম্ভাবনা এ প্রযুক্তির রয়েছে। মহাকাশের তথ্যভান্ডারগুলো এআই প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুনমঙ্গল অভিযানে ইলন মাস্ককে টেক্কা দেবেন অ্যামাজনের জেফ বেজোস১৯ আগস্ট ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত ম জন র
এছাড়াও পড়ুন:
নীলফামারীতে বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, রেড অ্যালার্ট
ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
রোববার সকাল ছয়টায় লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ১২ ঘণ্টার ব্যবধানের সন্ধ্যা ছয়টায় সেখানে ৮৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। সকাল ৬টায় প্রবাহিত হচ্ছিল ৫১ দশমিক ৪৩ মিটার দিয়ে। সন্ধ্যা ছয়টায় সেখানে প্রবাহিত হচ্ছিল ৫২ দশমিক ২৮ মিটার দিয়ে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার ডান তীরের বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে বাশের পাইলিং করে বালির বস্তা নিক্ষেপ করছে পাউবো।
তিস্তার তীরবর্তী ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম এবং চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বাড়িঘরে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান জানান, রোববার দুপুরের পর থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে, যা অব্যাহত আছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিয়নের ঝাড় সিংহেরস্বর ও পূর্ব ছাতনাই গ্রামের বোল্ডারের চর, খোকার চর, খাড়াপাড়া, ফ্লাটপাড়াসহ তিস্তাপারের বিভিন্ন চরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বাড়িঘরে পানি উঠতে শুরু করেছে। টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, দুপুরের পর থেকে তিস্তা নদীর পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিস্তীর্ণ এলাকার রোপা আমন খেত তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন বাড়িঘরে পানি উঠতে শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সূত্রমতে, রোববার সকাল ছয়টায় লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ৫১ দশমিক ৪৩ মিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৪৮ মিটার, দুপুর ১২টায় ৫২ মিটার, বেলা তিনটায় ৫২ দশমিক ১৪ মিটার এবং সন্ধ্যা ৬টায় ৫২ দশমিক দশমিক ২৮ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল তিস্তা নদীর পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার সকাল ছয়টায় বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬টায় ৮৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা নদীর জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি কালীগঞ্জ নামের স্থানে তিস্তার ডান তীরের প্রধান বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেটির মেরামতকাজ চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি (৪৪ টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করে সন্ধ্যায় মাইকিং করা হয়েছে। রাত ৮টার দিকে পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।