ঢাকা দক্ষিণে এক বছর পরও পূর্ণাঙ্গ প্রশাসক নেই, ঢিমেতালে চলছে কাজ
Published: 6th, October 2025 GMT
রাজধানীর সবচেয়ে জনবহুল সিটি করপোরেশন ঢাকা দক্ষিণে নেই পূর্ণাঙ্গ প্রশাসক, শূন্য পড়ে আছে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ পদ। এতে ভেঙে পড়েছে সেবা কার্যক্রম, বাড়ছে নাগরিক দুর্ভোগ। সড়ক মেরামত থেকে শুরু করে মশা নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা—সবখানেই চরম স্থবিরতা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান মিয়াকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ঢাকা ওয়াসারও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। একদিকে সিটি করপোরেশন, অন্যদিকে রাজধানীর প্রধান পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সংস্থা—এভাবে একই কর্মকর্তার ওপর দুটি গুরু দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ায় কার্যত কোনো প্রতিষ্ঠানই সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
আমরা কর দিই, কিন্তু সেবার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ওয়ার্ড অফিসে গিয়ে দেখি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নেই, কাগজপত্র ঝুলে থাকে মাসের পর মাস। এটা কি সিটি করপোরেশন চালানোর ধরন?আফজাল হোসেন, ধানমন্ডির বাসিন্দাখোদ ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তারাই বলছেন, স্থায়ী প্রশাসক না থাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রধান ব্যক্তিদের পদ শূন্য থাকায় নাগরিক সেবা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ভাঙাচোরা রাস্তা মেরামত করা, মশার উৎপাত থেকে নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরানো, সিটি করপোরেশনের সম্পদ রক্ষা করা, জন্মনিবন্ধন সনদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সনদ প্রদানে নাগরিকদের দুর্ভোগ কমানো—সব কাজই ঢিমেতালে চলছে। এতে মানুষজন সিটি করপোরেশনের ওপর দিন দিন ভীষণ বিরক্ত হয়ে পড়ছেন।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে স্থায়ী প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। উত্তর সিটির সব কাজই দক্ষিণ সিটির তুলনায় দ্রুত এগোচ্ছে।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই ব্যক্তি দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে কোনো প্রতিষ্ঠানই পূর্ণ মনোযোগ পায় না। এর ফলে নাগরিক সেবা ব্যাহত হয়, প্রশাসনিক জটিলতা বাড়ে।
আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই এটা হয়ে যাবেস্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াগত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দুই দিন আগে দেশ ছেড়ে যান সংস্থাটির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তিনজন কর্মকর্তা ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে বর্তমান প্রশাসক দায়িত্ব পালন করছেন চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। একই ব্যক্তি একাধিক দায়িত্বে থাকার কারণে দক্ষিণ সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে নিয়মিত আসতে পারছেন না মো.
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে একজন পূর্ণ প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই এটা হয়ে যাবে।’
১১ পদে নেই কর্মকর্তাঢাকা দক্ষিণ সিটির সচিব দপ্তর সূত্র বলছে, বর্তমানে সংস্থাটির ১১টি গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনো কর্মকর্তা নেই। এর মধ্যে রয়েছে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা। প্রতিটি পদই সংস্থার মূল কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে অপরিহার্য।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ছোটখাটো সমস্যার সমাধানের জন্যও তাঁদের বারবার সিটি করপোরেশনের মূল কার্যালয়ে যেতে হচ্ছে।সংস্থাটির দুজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা না থাকায় সিটি করপোরেশনের আয় বাড়ানোর কাজ স্থবির হয়ে আছে। সম্পত্তি কর্মকর্তা না থাকায় কিছু কিছু এলাকায় দখলমুক্ত করা জমি আবারও দখল হয়ে যাচ্ছে। প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে ডেঙ্গু ও অন্যান্য জনস্বাস্থ্য সংকটে সঠিক উদ্যোগ নিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদের অনুপস্থিতিতে উন্নয়নকাজ হচ্ছে পরিকল্পনাহীনভাবে, যা নগরের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ডেকে আনছে। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও নিরীক্ষক না থাকায় আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাও সম্ভব হচ্ছে না।
এ ছাড়া সংস্থাটির পাঁচ অঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তা নেই। অঞ্চল-১, অঞ্চল-৩, অঞ্চল-৭, অঞ্চল-৯ ও অঞ্চল-১০—প্রতিটি অঞ্চলে একাধিক ওয়ার্ড রয়েছে। ওই সব অঞ্চলের সড়ক মেরামত, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্নতা ও নাগরিক সেবা তদারকির দায়িত্বে থাকেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা। কিন্তু এতগুলো অঞ্চল নির্বাহী কর্মকর্তাশূন্য থাকায় সেবা কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ছোটখাটো সমস্যার সমাধানের জন্যও তাঁদের বারবার সিটি করপোরেশনের মূল কার্যালয়ে যেতে হচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির সম্পত্তি বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, গুলিস্তান এলাকায় সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বিপণিবিতানগুলোতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। একটি চক্র ভেঙে ফেলা সেসব দোকান আবার তৈরি করে বাণিজ্য করছে। এ ছাড়া করপোরেশনের বিভিন্ন সম্পত্তি নানাভাবে বেহাত হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংস্থাটির রাজস্ব বিভাগের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা না থাকার কারণে করপোরেশনের সচিব অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এই পদ সামলাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সচিব নিজেই তাঁর দপ্তরের কাজ শেষ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে রাজস্ব বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ সামলানো তাঁর পক্ষে অসম্ভব।
গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে কর্মকর্তা না থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, সারা দেশে স্থানীয় প্রশাসন এখন সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়েই চলছে। এর ফলে কর্মকর্তাদের একটা শূন্যতা তো আছেই। একই সঙ্গে ভালো, যোগ্য ও সৎ কর্মকর্তা পাওয়াটাও অনেক সময় মুশকিল হয়ে যায়। যদিও এখন ঢাকা দক্ষিণ সিটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে ইতিমধ্যে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই নিয়োগগুলো হয়ে গেলে স্থবিরতা অনেকটাই কাটবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাস্তা, ড্রেনেজ, ময়লা অপসারণ, স্বাস্থ্যসেবা—সবকিছুই নির্ভর করে এই প্রতিষ্ঠানের ওপর। কিন্তু শীর্ষ পদগুলো শূন্য থাকায় নাগরিকেরা প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।সেবার সংকটে নাগরিকেরাএক বছরের বেশি সময় ধরে সরকার একজন ব্যক্তিকে ঠিক করতে পারেনি, যিনি এই সিটির স্থায়ী প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন। এটা সরকারের অনেক বড় গাফিলতি।আজিমপুর এলাকার বাসিন্দা তসলিম হোসেনঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রায় এক কোটির বেশি নাগরিক বসবাস করেন। তাঁদের প্রতিদিনের জীবনের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কাজ সরাসরি জড়িত। রাস্তা, ড্রেনেজ, ময়লা অপসারণ, স্বাস্থ্যসেবা—সবকিছুই নির্ভর করে এই প্রতিষ্ঠানের ওপর। কিন্তু শীর্ষ পদগুলো শূন্য থাকায় নাগরিকেরা প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
ধানমন্ডির এলাকার বাসিন্দা আফজাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা কর দিই, কিন্তু সেবার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ওয়ার্ড অফিসে গিয়ে দেখি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নেই, কাগজপত্র ঝুলে থাকে মাসের পর মাস। এটা কি সিটি করপোরেশন চালানোর ধরন?’
নাগরিকদের সেবা প্রদানে ধীরগতি ও চরম অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজধানীর আজিমপুর এলাকার বাসিন্দা তসলিম হোসেন বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে সরকার একজন ব্যক্তিকে ঠিক করতে পারেনি, যিনি এই সিটির স্থায়ী প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন। এটা সরকারের অনেক বড় গাফিলতি। দ্রুত শূন্য পদে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে নাগরিক সেবা আরও নির্বিঘ্ন করতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স থ ন য় সরক র কর মকর ত র প রথম আল ক সরক র র প রক শ বলছ ন র ওপর বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
তিস্তার পানি কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ওপরে, লালমনিরহাটে নিচে
কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে আজ সোমবার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গাধর নদের পানিও বেড়েছে। তবে লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে সকালে তিস্তা নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে গতকাল রোববার তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপরে উঠেছিল।
কুড়িগ্রাম
তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দ এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই তিন ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উজানের হঠাৎ বন্যার খবরে কেউ কেউ তিস্তার চর থেকে গৃহপালিত পশু ও শিশুদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে।
ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গাধর নদের পানি বেড়ে চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আমন ধান ও শীতকালীন সবজির খেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
আজ সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর পানি বেড়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে। তাই বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই। দ্রুতই পানি নেমে যাবে বলে তিনি জানান।
ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাব খাঁ গ্রামের বাসিন্দা উকিল উদ্দিন বলেন, চরাঞ্চলের অনেক বসতবাড়িতে হাঁটু পরিমাণ পানি উঠেছে। ধানখেত তলিয়ে গিয়ে শিষ অবধি পানি হয়েছে। বন্যার পানি স্থায়ী হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল ইমরান বলেন, গতকাল তিস্তায় পানি বাড়তে শুরু করলে চরাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে কয়েকটি পরিবারকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নীলফামারী
লালমনিরহাটের দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে আজ সকাল ৯টায় তিস্তার পানি কমে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে নেমেছে। এর আগে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছিল।
গতকাল তিস্তাতীরবর্তী নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চলের ১০ সহস্রাধিক মানুষ বন্যাকবলিত হয়। আজ সেই পানি নেমে গেছে।
পাউবো বলছে, গতকাল সন্ধ্যায় প্রবল বেগে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে। রাতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। দিবাগত রাত ১২টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর অবশ্য পানি কমতে শুরু করে।
ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সকালে পানি নেমে গেলেও পরিবারগুলো ক্ষতির মুখে পড়েছে। তিস্তা নদীর পানির সঙ্গে আসা বালু জমে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, আজ সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তিস্তা জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি কালীগঞ্জে তিস্তা ডান তীর প্রধান বাঁধের ভাঙন ঠেকানো গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক আছে।