দুবাইয়ের শীর্ষ ধনী নন কোনো তেল ব্যবসায়ী, শেখ বা প্রিন্স, তাহলে কে তিনি
Published: 6th, October 2025 GMT
কে এই শীর্ষ ধনী
তিনি রাশিয়ায় জন্ম নেওয়া প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। ৪০ বছর বয়সী এই ধনীর নাম পাভেল দুরভ, যিনি রহস্যময় জীবনযাপন, বিতর্কের জন্য পরিচিত।
পাভেল দুরভের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, টাকায় যা ২ লাখ কোটির বেশি। মূলত ক্লাউডভিত্তিক ক্রস–প্ল্যাটফর্ম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে তিনি এই বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েছেন। বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় তাঁর অবস্থান ১৩৭তম।
সকাল দেখে বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবেপাভেল দুরভের জন্ম ১৯৮৪ সালের ১০ অক্টোবর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে। তাঁর বাবা ভ্যালোরি দুরভ। পাভেলের ভাষাতত্ত্ববিদ বাবা ছিলেন পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। রাশিয়ার প্রাচীন ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে পণ্ডিত। পাভেলের মায়ের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না। তবে তিনি দর্শন বিষয়ে শিক্ষকতা করতেন।
পুরোদস্তুর শিক্ষক–পরিবারে বড় হয়েছেন পাভেল। তিনি নিজেও পিটার্সবার্গ স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিষয়ে স্নাতক করেছেন। আর ভাষাতত্ত্ব নিয়ে স্নাতকোত্তর। তাঁর বড় ভাই নিকোলাই দুরভ ছিলেন প্রতিভাবান গণিতবিদ ও প্রোগামার। তাঁর কাছে পাভেল ছোটবেলায়ই শিখে নিয়েছিলেন প্রোগ্রামিং। আর টেলিগ্রামের এনক্রিপশন সিস্টেম তৈরিতে তা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুনইলন মাস্কের পছন্দের খাবারের তালিকা কি স্বাস্থ্যকর?০৪ মার্চ ২০২৫ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে—‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’। পাভেল দুরভ তা আবারও সত্য প্রমাণ করেছেন। ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়ে ওঠেন পাভেল। রুশ স্কুলগুলোর একটা নিয়ম হলো, স্কুলজীবন শেষ করার অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষাৎ করেন।
সেদিন তাঁরা বড় হয়ে কী হতে চান, সে বিষয়ে জানান শিক্ষকদের। সেটির রেকর্ড রাখা হয়। বড় হয়ে তাঁরা সত্যিই সেই পেশায় গেছেন কি না, তা পরে মিলিয়ে দেখার জন্যই এই নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। পাভেল সেই ছোট্টবেলায় বলেছিলেন, তিনি অনলাইন দুনিয়ায় সাড়া জাগানো উদ্যোক্তা হবেন।
২০০৬ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে পাভেল তৈরি করেন ভিকে ডটকম.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি বন্ধ করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়সহ সব শাখা কার্যালয় থেকে সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড বিক্রিসহ পাঁচ ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই সেবা বন্ধের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী, সিলেট, সদরঘাট, বরিশাল ও রংপুর কার্যালয় থেকে এই পাঁচ সেবা দেওয়া বন্ধ। সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড ছাড়া বন্ধ হওয়া সেবার তালিকায় আরও রয়েছে ছেঁড়াফাটা নোট বদল, সরকারি চালানের টাকা জমা দেওয়া ও চালানসংক্রান্ত ভাংতি টাকা প্রদান। এখন থেকে গ্রাহকদের এসব সেবা নিতে হবে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার ও ক্যাশ বিভাগ আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এসব সেবা বন্ধ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বিশ্বের কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাউন্টার থেকে সরাসরি সাধারণ মানুষকে এ ধরনের সেবা দেওয়া হয় না। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহক–সংশ্লিষ্ট এসব সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষকে এসব সেবা দেয়, তা নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়াবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে এ সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ১ ডিসেম্বর থেকে এই সেবা বন্ধের কথা বলা হয়। এরপর ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব শাখা কার্যালয় থেকে এ ধরনের সব সেবা বন্ধের পরিকল্পনা নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে একাধিক সভার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আজ বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এখন তার আগে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যালয় থেকে এসব সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজই এসব সেবা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।