আজ থেকে শুরু নোবেল পুরস্কার ঘোষণা
Published: 6th, October 2025 GMT
চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা মাধ্যমে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বহুল-কাঙ্ক্ষিত নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম থেকে আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ঘোষণা করা হবে এবারের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর প্রথম নাম।
এই বছরের নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা ৬-১৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। পুরস্কার ঘোষণার সবকিছু ‘নোবেল প্রাইজ’ নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হবে।
আরো পড়ুন:
নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু ৬ অক্টোবর
ঘুমানোর অর্থ মৃত্যু আর জেগে ওঠা হলো জীবনের স্বপ্ন দেখা: হোর্হে লুই বোর্হেস
সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। প্রথম দিনে ঘোষণা করা চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল পুরস্কারজয়ীর নাম। এরপর ছয়টি বিভাগে ছয় দিন নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
নোবেল প্রাইজ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (৬ অক্টোবর) চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। পরদিন ৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময়ে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে জানা যাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীদের নাম। রসায়নে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীদের নাম জানা যাবে ৮ অক্টোবর, বুধবার বাংলাদেশ সময়ে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে। ৯ অক্টোবর সাহিত্য, ১০ অক্টোবর সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার শান্তিতে নোবেল জয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
এছাড়া ১৩ অক্টোবর অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা।
নোবেল পুরস্কার দেওয়ার প্রবর্তন করেছিলেন সুইডিশ উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেল। তিনি তার উইলে (ইচ্ছাপত্র) উল্লেখ করেছিলেন, তার সম্পত্তি মানবকল্যাণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য পুরস্কার প্রদানের কাজে ব্যয় করা হবে। নোবেল ১৮৯৫ সালে মারা যান। তবে তার উইল নিয়ে আইনি লড়াইয়ের পর ১৯০১ সালে প্রথম নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব ল প রস ক র ন ব ল প রস ক র প রস ক র ঘ জয় র ন ম ঘ প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি বন্ধ করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়সহ সব শাখা কার্যালয় থেকে সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড বিক্রিসহ পাঁচ ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই সেবা বন্ধের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী, সিলেট, সদরঘাট, বরিশাল ও রংপুর কার্যালয় থেকে এই পাঁচ সেবা দেওয়া বন্ধ। সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড ছাড়া বন্ধ হওয়া সেবার তালিকায় আরও রয়েছে ছেঁড়াফাটা নোট বদল, সরকারি চালানের টাকা জমা দেওয়া ও চালানসংক্রান্ত ভাংতি টাকা প্রদান। এখন থেকে গ্রাহকদের এসব সেবা নিতে হবে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার ও ক্যাশ বিভাগ আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এসব সেবা বন্ধ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বিশ্বের কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাউন্টার থেকে সরাসরি সাধারণ মানুষকে এ ধরনের সেবা দেওয়া হয় না। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহক–সংশ্লিষ্ট এসব সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষকে এসব সেবা দেয়, তা নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়াবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে এ সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ১ ডিসেম্বর থেকে এই সেবা বন্ধের কথা বলা হয়। এরপর ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব শাখা কার্যালয় থেকে এ ধরনের সব সেবা বন্ধের পরিকল্পনা নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে একাধিক সভার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আজ বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এখন তার আগে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যালয় থেকে এসব সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজই এসব সেবা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।