শহরে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার অনেক দুর্বল: স্বাস্থ্য সচিব
Published: 6th, October 2025 GMT
সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে পৃথক কমিউনিটি ক্লিনিক করার দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। পাশাপাশি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা যেকোনো সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সোমবার (৬ অক্টোবর) ডিআরইউ আয়োজিত সদস্যদের জন্য চক্ষু শিবির ও ডায়াবেটিস ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব দাবি করা হয়। লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা আইডিয়াল ও লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা জিজেন্ডস এর সহযোগিতায় এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ক্যানসার প্রতিরোধে ভুল ধারণা ও বাস্তবতা
কত বছর বয়সের পরে মেরুদণ্ডের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে?
ক্যাম্পে ডিআরইউর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চক্ষু ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা, চাইল্ডহুড ক্যান্সার ও মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঔষধ ও চশমা বিতরণ এবং চোখের ছানি রোগী শনাক্ত করে পরবর্তীতে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করার অঙ্গিকার করা হয়।
এ চিকিৎসা ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব মো.
সাংবাদিকদের দাবির জবাবে তিনি বলেন, “আপনারা বলেছেন আমার ক্ষমতা অনেক। আমি ক্ষমতা মনে করি না, এটি দায়িত্ব। আমরা দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হব, ইনশাআল্লাহ। কিছু দাবিপূরণের কথাও এসেছে। আপনারা নিবন্ধন করলে আমাদের অনুদান দেওয়া সহজ। আর বাকি বিষয়গুলো প্রক্রিয়া অনুযায়ী এলে আমরা বিবেচনা করব।”
এ সময় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লায়ন্স ক্লাবের সহায়তায় আয়োজিত এ প্রোগ্রামের প্রশংসা করে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, “এনজিওগুলোর দেশের চিকিৎসা সেবায় ভালো ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। দেশের এত বড় জনগোষ্ঠীকে একা সরকারের সবকিছু করার সুযোগ বা সক্ষমতা নেই। এজন্য এনজিওগুলো এখানে কাজ করতে পারে। আমরা ইতোমধ্যে এগুলোর প্রমাণ পেয়েছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় আমরা এনজিওগুলোর সহায়তা পেয়েছি।”
সচিব আরো বলেন, “আমার অনেক কিছু আছে, কিন্তু সুস্থতা নেই, কেউ দেখবে না। নিজের সুস্থতার জন্য নিজেকেই সচেতন থাকতে হবে। খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখতে হবে। অবস্থানের কারণে অহংবোধ করা ঠিক নয়, এটা তকদিরের বিষয়। সুখটা নিজের কাছে, অনেকে বিপুল বিত্তশালী হয়েও সুখী নয়, আবার অনেকে কোনো রকম জীবন যাপন করেও তৃপ্ত এবং সুখী।”
সভাপতির বক্তব্য ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, “ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির দুই হাজার সদস্যের সংগঠন। এ সংগঠনের সদস্যদের বিনামূল্যে পরীক্ষা, ঔষধ ও চশমা বিতরণে লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা আইডিয়াল ও লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা জিজেন্ডসকে আন্তরিক ধন্যবাদ।”
তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের যেমন দায়িত্ববোধ আছে, তেমনি শরীরের প্রতি সচেতনও হতে হবে। আমরা সবাই সচেতন হলে অনেক রোগ থেকে বাচঁতে পারব।”
ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, “সাংবাদিকদের জন্য চক্ষু চিকিৎসা প্রয়োজনীয়তা অনেক। সাংবাদিকদের দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার, মোবাইল ও ক্যামেরার সামনে কাজ করতে হয়। এর ফলে চোখের ক্লান্তি, ঝাপসা দেখা, চোখ জ্বালা, মাথাব্যথা এমনকি দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের মতো সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। সদস্যদের সমস্যার কথা চিন্তা করেই অতীতের ন্যায় এবারো বিনামূল্যে চক্ষু ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা, চাইল্ডহুড ক্যান্সার ও মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঔষধ ও চশমা বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে; এটা অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা।
অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য দেন, লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা আইডিয়ালের পরিচালক নওজাত সারওয়াত ইসলাম, লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা জিজেন্ডস এর প্রেসিডেন্ট মো. রিয়াসাত ইসলাম, ডিআরইউ এর সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক হেলাল, সিনিয়র সদস্য সুকুমার সরকার, আসিফ শওকত কল্লোল প্রমুখ।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র প র ট র স ইউন ট র সদস য ড আরইউ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন মহানগর দায়রা আদালতেও নামঞ্জুর
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন ঢাকার মহানগর দায়রা আদালতেও নামঞ্জুর হয়েছে।
ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন আজ রোববার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী গোলাম রব্বানী।
আইনজীবী গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, শাহবাগ থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গত ১১ সেপ্টেম্বর আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার চিফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। ওই জামিন আবেদন চ্যালেঞ্জ করে লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন করা হয় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে। আজ তাঁর জামিন শুনানি হয়। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করেন। শিগগিরই লতিফ সিদ্দিকীর জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।
গত ২৮ আগস্ট সকালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন শেখ হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশের সংবিধানকে ছুড়ে ফেলার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে জামায়াত-শিবির ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের জুতার মালা পরাচ্ছে।’
শেখ হাফিজুর রহমানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। একপর্যায়ে তাঁরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল এলে তাঁরা পুলিশের কাছে লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মনজুরুল আলমসহ অন্তত ১৬ জনকে তুলে দেন। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। পরদিন তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সেদিন লতিফ সিদ্দিকী ছাড়া অন্যরা জামিনের আবেদন করলে আদালত নাকচ করেছিলেন।
২৯ আগস্ট লতিফ সিদ্দিকীকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তখন তিনি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে রাজি হননি। আদালতের প্রতি তাঁর আস্থা নেই বলে তখন তিনি উপস্থিত আইনজীবীদের বলেছিলেন।