জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেয়, তাহলে এনসিপি তা মেনে নিবে না। এটা (শাপলা না দেওয়া) করার যদি তারা চেষ্টা করে, তাহলে তাদের ওপর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের কোনো আস্থা থাকবে না।’

আজ সোমবার দুপুরে নাটোরের কানাইখালী এলাকার আরপি কনভেনশন হলে আয়োজিত জেলা সমন্বয় সভার পর এক সংবাদ সম্মেলনে সারজিস এ কথাগুলো বলেন। এনসিপি নাটোর জেলা শাখা এই সভার আয়োজন করে।

আরও পড়ুনশাপলা প্রতীক না পেলে রাজপথে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সারজিস আলমের২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫আরও পড়ুনএনসিপিকে ‘শাপলা’ দিলে মামলা করবেন না মান্না, তবে প্রতিবাদ করবেন০২ অক্টোবর ২০২৫

সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম বলেন, ‘যেহেতু শাপলা প্রতীক পেতে আইনগত কোনো বাধা নাই, নির্বাচন কমিশনও এমন কোনো বাধা দেখাতে পারেনি। তারপরও যদি শাপলা না দেয়, তাহলে তা নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারিতা অথবা বাইরের কোনো চাপ। অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশে একটা স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থেকে এই স্বেচ্ছাচার আচরণ আমরা মেনে নেব, এটা মেনে নিয়ে তাদের মাধ্যমে নির্বাচনে যাব, ওই নির্বাচন স্বচ্ছ হবে, সুষ্ঠু হবে, এই বিশ্বাস আমরা করি না।’

জুলাই সনদে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপির ‘নোট অব ডিসেন্ট’ সম্পর্কে সারজিস আলমের ভাষ্য, ‘কোনো রাজনৈতিক দল দলীয় এজেন্ডা দিয়ে পার পেয়ে যাবে, এ সুযোগ বাংলাদেশে নাই। জুলাই সনদ আইনগত ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত হতে হবে। কেউ যদি এটার বিরুদ্ধে যায়, সেটা যদি কোনো দলও হয়, তার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত প্রক্রিয়ায় যেতে পারি। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ১৭ বছর টিকে গেছে। আর কেউ এ আচরণ করে এত দিন টিকবে না। বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নামবে। রাস্তায় নামলে কী অবস্থা হয়, সেটা আপনারা দেখেছেন।’

সমন্বয় সভায় রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, নাটোর জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জার্জিস কাদির, সিনিয়র যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল মান্নাফ, যুগ্ম সমন্বয়কারী তৌফিক নিয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এনসিপির সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে সাংবাদিকদেরকে সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্র থেকে একটা ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যন্ত শক্তিশালী কমিটি থাকতে হবে। আমরা আশা করছি, নভেম্বর মাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে এনসিপির কমিটি থাকবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

সিঙ্গাপুরে হলিউড তারকা আরিয়ানা গ্রান্ডেকে জড়িয়ে ধরা তরুণের কারাদণ্ড

সিঙ্গাপুরে একটি চলচ্চিত্রের উদ্বোধনমূলক প্রদর্শনীতে নিরাপত্তাবেষ্টনী পেরিয়ে হলিউড তারকা আরিয়ানা গ্রান্ডেকে জড়িয়ে ধরার ঘটনায় এক তরুণকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি আদালত তাঁকে ৯ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার এশিয়া অঞ্চলে ‘উইকড: ফর গুড’ চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে। কারাদণ্ড হওয়া তরুণের নাম জনসন ওয়েন। তিনি অস্ট্রেলীয় নাগরিক। বয়স ২৬ বছর। তাঁর বিরুদ্ধে জনপরিসরে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ওয়েন লাফ দিয়ে নিরাপত্তাবেষ্টনী পার হয়ে দৌড়ে আরিয়ানা গ্রান্ডের দিকে চলে যান। এ সময় আরিয়ানা গ্রান্ডেকে ভীত দেখাচ্ছিল। ওই তরুণ তখন গ্রান্ডের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর কাঁধে হাত রাখেন ও লাফাতে থাকেন।

এ ঘটনায় সিঙ্গাপুরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে ওয়েনকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি তোলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন কনসার্ট ও তারকাদের অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগ ছিল।

পপ তারকা থেকে অভিনেত্রী বনে যাওয়া গ্রান্ডে ২০১৭ সালের মে মাসে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় ২২ জন নিহত এবং কয়েক শ মানুষ আহত হন। এরপর বিভিন্ন সময়ে গ্রান্ডে বলেছেন, ওই হামলার ভয়াবহ স্মৃতি তাঁকে তাড়িয়ে বেড়ায়।

সিঙ্গাপুরের ঘটনায় কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, এমন আচরণের মধ্য দিয়ে ওয়েন নতুন করে গ্রান্ডেকে ভয় পাইয়ে দিয়েছেন।

সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার আদালতে শুনানি চলাকালে বলা হয়, ওয়েন দুবার চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে হুট করে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছিলেন। গ্রান্ডেকে জড়িয়ে ধরার পরপরই সহ-অভিনেত্রী সিনথিয়া এরিভো জোর করে ওয়েনকে সরিয়ে দেন। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা ওয়েনকে বের করে নিয়ে আসেন।

ওয়েন দ্বিতীয়বারও নিরাপত্তাবেষ্টনী পেরোনোর চেষ্টা করেন। তবে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে থামিয়ে দেন।

পরে ওয়েন এ ঘটনার একাধিক ভিডিও তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি গ্রান্ডেকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন যে তিনি পুলিশের কাছ থেকে ‘মুক্ত’ হয়েছেন।

পরদিন সিঙ্গাপুর পুলিশ ওয়েনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে জনপরিসরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অভিযোগ আনা হয়। ওয়েন দোষ স্বীকার করেছেন।

কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেন, ওয়েন ধারাবাহিকভাবে এমন ঘটনা ঘটিয়ে আসছেন। তিনি ইচ্ছে করে এ ধরনের আচরণ করেন এবং অনলাইনে জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য সেগুলো প্রকাশ করে থাকেন।

ওয়েন এর আগে কেটি পেরি এবং দ্য উইকেন্ডের কনসার্টে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার ভিডিও পোস্ট করেছেন। তিনি বিভিন্ন খেলাধুলার ম্যাচেও মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন। অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, তাঁকে কিছু স্টেডিয়ামে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ভয়ের সংস্কৃতিকে আরও শক্তিশালী করছে: টিআইবি
  • নারীদের ওপর ডিজিটাল নিপীড়ন বন্ধে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে
  • পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না: ডিএমপি কমিশনার
  • অস্ট্রেলিয়ার বনের আচরণ বদলে গেছে, কী বদলাল
  • নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে এলেই গ্রেপ্তার হবে: মামদানি
  • ভোটের আমেজ থেকে দূর হোক শোডাউনের সংস্কৃতি
  • সিঙ্গাপুরে হলিউড তারকা আরিয়ানা গ্রান্ডেকে জড়িয়ে ধরা তরুণের কারাদণ্ড