লক্ষ্মীপুরে বাবার বিরুদ্ধে শিশুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
Published: 6th, October 2025 GMT
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় নিজের মেয়েশিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক বাবার বিরুদ্ধে। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের আঁধার মানিক গ্রামে কাদির মাঝির বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শিশুর নাম ফারিহা সুলতানা। বয়স ৬ বছর। শিশুর বাবার নাম মো. ফারুক। তিনি ওই এলাকার কাদির মাঝির ছেলে। ফারুক দিনমজুরের কাজ করেন। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশুর বাবা মো.
স্থানীয় লোকজন বলছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির মাদকাসক্তি নিয়ে পরিবারে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিল। কয়েকবার গ্রামের লোকজনও তাঁকে মাদক ছাড়াতে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই নেশাই কাল হলো নিষ্পাপ শিশুটির জন্য।
তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লুৎফুর রহমান বলেন, শিশুটিকে হত্যার পর ফারুক ঘরের ভেতর দা হাতে অবস্থান করেন। আতঙ্কে স্থানীয় লোকজন ঘরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। পরে বাড়ির বাসিন্দারা জরুরি জাতীয় সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে আটক করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রেজাউল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদকাসক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তি শিশুটিকে হত্যা করেছেন। ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। তাঁকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা, পুলিশ বলছে তিনি ‘গ্রেনেড বাবু’র সহযোগী
খুলনা নগরে ইমরান মুন্সি (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তিনি খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘গ্রেনেড বাবু’ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
আজ সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরের ২ নম্বর কাস্টমঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইমরান মাদারীপুরের মুন্সীবাড়ির বাবুল মুন্সীর ছেলে। তিনি খুলনা নগরের মুন্সীপাড়ার দ্বিতীয় গলিতে ভাড়ায় থাকতেন এবং ইট–বালুর ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৮টার দিকে ইমরান নতুনবাজার এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মোটরসাইকেলে আসা তিন যুবক তাঁর গতি রোধ করে এবং পিস্তল ঠেকিয়ে মাথায় গুলি করে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইমরান মুন্সি খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গ্রেনেড বাবুর অন্যতম সহযোগী ‘কাউয়া মিরাজের’ সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্যরাই তাঁকে হত্যা করেছে।
ওসি আরও জানান, হামলাকারী ব্যক্তিরা গুলি করে মোটরসাইকেল চালিয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে চলে যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ চলছে।